alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

চার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি মাদরাসার চার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় একই মাদরাসার শিক্ষক (বরখাস্ত) মো. নাছির উদ্দিনকে (৪১) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি জিকু বড়ুয়া রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত নাছির উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ছোট বেউলা গ্রামে। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও আবাসিক প্রধান ছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি নাছির উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথিতে বলা হয়, ১০ বছর বয়সী এক শিশুর বাবার অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর তার ছেলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় চলে আসে। পালিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, শিক্ষক নাছির উদ্দিন তাকেসহ চারজনকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই মাস ধরে প্রতি রাতে ধর্ষণ করত।

২০২০ সালের ১২ অক্টোবর রাত ১টার দিকে ওই শিশুকে ঘুম থেকে তুলে নাছির উদ্দিন তার নিজের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ভয়ে চিৎকার করলে তার মুখও চেপে ধরেন ওই শিক্ষক।

আদালতের দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিশেষ পিপি জিকো বড়ুয়া বলেন, “আদালত বলেছেন, আসামি একজন সিরিয়াল রেপিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। ভিকটিমদেরকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাদানের পরিবর্তে আসামি নিজেই ধর্ষণের মত ঘৃণিত ও জঘন্য অপরাধে জড়িয়েছেন। দিনের পর দিন ভিকটিমদেরকে ভয়ভীতির মধ্যে রেখে জোর পূর্বক বলাৎকার করেছেন, যা তার স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে।

“যা আসামির ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি এবং ভিকটিমদের ২২ ধারার জবানবন্দি পর্যালোচনায় সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এসব বিষয় পর্যালোচনায় আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত।“

মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার আগে পাঁচ বছর বিদেশে ছিলেন নাছির। তার এসব কাজের কথা জানজানি হলে ২০১৮ সালে সন্তানকে নিয়ে নাছিরের স্ত্রী আলাদা হয়ে যান।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন নাছির। ২০২১ সালের ৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে আদালত তার বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

বিচার চলাকালে মোট ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রোববার নাছিরকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।

ছাত্রদল নেতাসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

ছাত্রদল নেতাসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

গ্রাহকের সাড়ে তিন কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমবায় কর্মকর্তা

রাজধানীতে ২০৯টি মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭

নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি, ঢাকা থেকে একজন গ্রেপ্তার

হত্যার টার্গেট নিয়ে পুলিশের ওপর এই হামলা

ছবি

কোটা আন্দোলন : বাসার ভেতরে গুলিতে শিশুর করুণ মৃত্যু

নাশকতার অভিযোগে সারাদেশে সাড়ে ৫ হাজার গ্রেপ্তার

কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে জন্মদাতার যাবজ্জীবন

ছবি

সিলেটে ৭ জুয়াড়ি গ্রেফতার

প্রশ্নপত্র কিনে সহযোগী দুই ভাইকে দিতেন পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল

ছবি

গরুকাণ্ডে ফাঁসছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান ও প্রাণিসম্পদের কর্মকর্তারা

ছবি

এমপি আজীম খুন : আরও দুই খুনি ভারতে

ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, নির্যাতন

ছবি

প্রশ্ন ফাঁস: বরখাস্ত ৫ কর্মীর বিষয়ে তদন্ত করতে দুদকে চিঠি দিলো পিএসসি

ছবি

স্ত্রীসহ ডিপিডিসির ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

প্রশ্নফাঁসের মাস্টারমাইন্ড নোমান সিদ্দিক

ছবি

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় পিএসসির ২ উপপরিচালকসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার

ছবি

অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূস

ছবি

জয়পুরহাটে তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ছবি

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

জাটকা নিধন রোধে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮ হাজার জেলে

ছবি

ঘোড়াঘাটে টিকটকের আড়ালে সমকামী ভিডিও তৈরি, পুলিশের জালে দুই যুবক

ছবি

এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউরের পরিবারের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

ছবি

ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিনের মেয়াদ ফের বাড়লো

ছবি

"অবৈধ সম্পদ: চিত্রনায়ক শান্ত খানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের"

ছবি

১৩ বছর পর সাভারে সাবেক এমপির স্ত্রী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

ছবি

সাজা কখনও স্থগিত হয় না : ড. ইউনূসের মামলার পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট

ছবি

সাবেক ডিসি ও জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র দাখিল

ছবি

নকল কসমেটিকস উৎপাদন : ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সাড়ে ১৪ লাখ টাকা

চাঁদপুরে কোহিনুর হত্যা মামলায় ২ আসামীর মৃত্যুদণ্ড

ছবি

মাথাচাড়া দিচ্ছে নিত্য-নতুন সাইবার অপরাধ: সিক্যাফ’র গবেষণা

ছবি

কেন্দ্রে প্রভাষকসহ ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছাগলকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে আরও দুর্নীতি

সোনারগাঁয়ে বিচার শালিসে সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক গুলিবিদ্ধ

ছবি

নরসিংদীতে ভূয়া পুলিশ আটক

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

চার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি মাদরাসার চার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় একই মাদরাসার শিক্ষক (বরখাস্ত) মো. নাছির উদ্দিনকে (৪১) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি জিকু বড়ুয়া রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত নাছির উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ছোট বেউলা গ্রামে। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও আবাসিক প্রধান ছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি নাছির উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথিতে বলা হয়, ১০ বছর বয়সী এক শিশুর বাবার অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর তার ছেলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় চলে আসে। পালিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, শিক্ষক নাছির উদ্দিন তাকেসহ চারজনকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই মাস ধরে প্রতি রাতে ধর্ষণ করত।

২০২০ সালের ১২ অক্টোবর রাত ১টার দিকে ওই শিশুকে ঘুম থেকে তুলে নাছির উদ্দিন তার নিজের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ভয়ে চিৎকার করলে তার মুখও চেপে ধরেন ওই শিক্ষক।

আদালতের দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিশেষ পিপি জিকো বড়ুয়া বলেন, “আদালত বলেছেন, আসামি একজন সিরিয়াল রেপিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। ভিকটিমদেরকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাদানের পরিবর্তে আসামি নিজেই ধর্ষণের মত ঘৃণিত ও জঘন্য অপরাধে জড়িয়েছেন। দিনের পর দিন ভিকটিমদেরকে ভয়ভীতির মধ্যে রেখে জোর পূর্বক বলাৎকার করেছেন, যা তার স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে।

“যা আসামির ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি এবং ভিকটিমদের ২২ ধারার জবানবন্দি পর্যালোচনায় সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এসব বিষয় পর্যালোচনায় আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত।“

মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার আগে পাঁচ বছর বিদেশে ছিলেন নাছির। তার এসব কাজের কথা জানজানি হলে ২০১৮ সালে সন্তানকে নিয়ে নাছিরের স্ত্রী আলাদা হয়ে যান।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন নাছির। ২০২১ সালের ৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে আদালত তার বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

বিচার চলাকালে মোট ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রোববার নাছিরকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।

back to top