দাম মোবাইলের লক খোলা ও আইএমইআই পাল্টে দেয়ার কাজ করতেন তারা। এর জন্য তারা দোকানে বসিয়েছেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন। সম্প্রতি পুলিশের একটি ইউনিট অনুসন্ধান তদন্ত চালিয়ে এই চোরাই মোবাইলের চক্রের সন্ধান পায়। অভিযান চালিয়ে চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
এপিবিএন-২ মুক্তাগাছা অতিরিক্ত ডিআইজি (অধিনায়ক) আলী আহমদ খান জানিয়েছেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের লক খোলা ও আইএমইআই পাল্টিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে।
অনুসন্ধান তদন্ত করে গতকাল ২৫ মার্চ রাতে মুক্তাগাছা শান্তার মোবাইল সিটি নামক দোকানের কাছ থেকে ১. সার্ব্বির মির্জা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ত্ৎাক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার কাছে চোরাই মোবাইল আছে বলে স্বীকার করে। তার মধ্যে কিছু মোবাইল ২ নম্বর আসামি রাসেল আহমেদ ওই সব মোবাইল কম দামে কিনেছে।
এরপর গ্রেপ্তারকৃত সার্ব্বির মির্জার তথ্য মতে, এপিবিএনের সাইবার ক্রাইম সেল উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ২ নম্বর আসামি রাসেল আহম্মেদের অবস্থান নিশ্চিত করে। একই দিন (২৫ মার্চ) গভীররাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া তেলিগ্রাম বাজারের তাইবা টেলিকম নামক দোকানের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অভিযুক্তদের একটি গ্রুপ মোবাইল ছিনতাই ও চুরি করে। আরেক গ্রুপ চোরাই মোবাইল কম টাকায় কিনে। আর তৃতীয় গ্রুপ ২ থেকে ১০ হাজারি টাকার বিনিময়ে ২ মিনিটের মধ্যে মোবাইলের লক খুলে এবং আইএমইআই পাল্টে দেয়। এরপর আরেকটি গ্রুপ এই সব মোবাইল বাজারে বিক্রি করে। এদের দেশজুড়ে নেটওয়ার্ক রয়েছে।
তারা স্বীকার করে আরও বলেছে, মোবাইল ফোনের লক খুলতে ও আইএমইআই পাল্টাতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে অত্যাধুনিক মেশিন কিনেছে। তারা সফটওয়ার ব্যবহার করে ২ খেকে ৩ মিনিটের মধ্যে চোরাই মোবাইল আইএমইআই পাল্টে নতুন করে আবার একই মোবাইল বেশি দামে বিক্রি করছে।
এই সব চক্র দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম চালাচ্ছে। তাদের চোরাই মোবাইল দেশের বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। আর চক্রে কারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এই চক্রের কাছ থেকে ৫৫টি দাবি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-২ এই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবির সূত্র ধরে ৫০০ বেশি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করছে। অধিকাংশ মোবাইল আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধায় ২-এপিবিএনের অধিনায়ক সংবাদকে জানান, চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে তাদের অভিযান চলছে। তাদের সাইবার ইউনিট টিম কাজ করছেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রামে মাবাইল ফোন সেটের আইএমইআই পাল্টানোর ‘কারিগর’ সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার সরোয়ার হোসেন সুজন ওরফে শাহনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী মৌসুমী আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তার কাছ থেকে আইএমইআই পাল্টানো ৫২টি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (সিএমপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে স্নাতক এ যুবক আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) পাল্টানোর কাজে বিদেশি সফটওয়্যারও কিনেছেন। এই কাজে তাকে সহায়তা করতে বিদেশি সহযোগীও রয়েছে। গত ৬ মাসে তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আব্দুল মান্নান মিয়া সাংবাদিকদেরকে জানান, ওই যুবক প্রথমে ‘শখের বশে’ মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করলেও এখন সেটি তার পেশা। নগরীর অলংকার শপিং কমপ্লেক্সে তার একটি মোবাইল বিক্রির দোকানও আছে। ‘মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কিনে সেগুলোর আইএমইআই পাল্টে নিজের দোকানে কিংবা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করেন।’ শাহনের আইএমইআই পাল্টানোর কারবারের সঙ্গে পাকিস্তানি ও ইন্দোনেশিয়ার মোবাইল টেকনিশিয়ানদের যোগসূত্র পেয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শাহন মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করতে না পারলে তাদের (বিদেশি সহযোগীদের) সাথে যোগাযোগ করে সেগুলোর নম্বর পাল্টে ফেলেন। এজন্য তাদের তিনি ডলারে অর্থ পরিশোধ করেন।’
‘দক্ষ’ হতে অনলাইনে ‘প্রশিক্ষণ’ শাহন ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শিক্ষকতা করার কথাও পুলিশের কাছে তুলে ধরেছেন। বলেছেন, প্রোগ্রামিংসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ভালো ধারণা থাকায় এক সময় তার আইএমইআই পাল্টানোর কৌশল শেখার আগ্রহ জন্মায়।
অভিযুক্ত ‘শাহন জানিয়েছে, ফেইসবুকের মাধ্যমে বছর খানেক আগে তার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার এক মোবাইল টেকনিশিয়ানের পরিচয় হয়। তার (বিদেশির) কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে নেন নিজের ল্যাপটপে। পাশাপাশি অনলাইনে প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন বলে পুলিশ দাবি করছেন। এছাড়া পাকিস্তানি মোবাইল টেকনিশিয়ানের কাছ থেকেও একইভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নিজে কোনো আইএমইআই পাল্টাতে না পারলে তার দ্বারস্ত হন শাহন। টিমভিউয়ার (স্ক্রিন শেয়ারিং) সফটওয়্যারের মাধ্যমে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে মোবাইল ফোনের আইএমইআই পাল্টে নেন।’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আইএমইআই পাল্টানোর আরও অনেক মোবাইল কারিগর চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। তারা মূলত সাধারণ মানের মোবাইল ফোনের আইএমইআই পাল্টাতে পারলেও শাহন সবধরনের মোবাইল ফোনের আইএমইআই পাল্টাতে পারেন।
পুলিশ বলছে, শাহন গত ৬ মাস ধরে নিজে যেমন চোরাই মোবাইল সংগ্রহ করে আইএমইআই পাল্টিয়ে বেচতেন, তেমনই চোরাই মোবাইলের অনেক ক্রেতাও তার মাধ্যমে আইএমইআই পাল্টাতেন। এজন্য তিনি ফোনভেদে ১ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিতেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, ‘আগে আমাদের কাছে ধারণা ছিল, আইফোন এবং বেশি দামি মোবাইল ফোনের আইএমইআই পালটানো যায় না। কিন্তু শাহন সব ধরনের আইএমইআই পাল্টাতে পারেন। ‘দামি ফোনের বেশির ভাগ সে তার পরিচিত বিদেশি দুই মোবাইল টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে করিয়ে নেন। বিনিময়ে তিনি তাদের অর্থ পরিশোধ করেন।’
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
দাম মোবাইলের লক খোলা ও আইএমইআই পাল্টে দেয়ার কাজ করতেন তারা। এর জন্য তারা দোকানে বসিয়েছেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন। সম্প্রতি পুলিশের একটি ইউনিট অনুসন্ধান তদন্ত চালিয়ে এই চোরাই মোবাইলের চক্রের সন্ধান পায়। অভিযান চালিয়ে চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
এপিবিএন-২ মুক্তাগাছা অতিরিক্ত ডিআইজি (অধিনায়ক) আলী আহমদ খান জানিয়েছেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের লক খোলা ও আইএমইআই পাল্টিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে।
অনুসন্ধান তদন্ত করে গতকাল ২৫ মার্চ রাতে মুক্তাগাছা শান্তার মোবাইল সিটি নামক দোকানের কাছ থেকে ১. সার্ব্বির মির্জা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ত্ৎাক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার কাছে চোরাই মোবাইল আছে বলে স্বীকার করে। তার মধ্যে কিছু মোবাইল ২ নম্বর আসামি রাসেল আহমেদ ওই সব মোবাইল কম দামে কিনেছে।
এরপর গ্রেপ্তারকৃত সার্ব্বির মির্জার তথ্য মতে, এপিবিএনের সাইবার ক্রাইম সেল উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ২ নম্বর আসামি রাসেল আহম্মেদের অবস্থান নিশ্চিত করে। একই দিন (২৫ মার্চ) গভীররাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া তেলিগ্রাম বাজারের তাইবা টেলিকম নামক দোকানের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অভিযুক্তদের একটি গ্রুপ মোবাইল ছিনতাই ও চুরি করে। আরেক গ্রুপ চোরাই মোবাইল কম টাকায় কিনে। আর তৃতীয় গ্রুপ ২ থেকে ১০ হাজারি টাকার বিনিময়ে ২ মিনিটের মধ্যে মোবাইলের লক খুলে এবং আইএমইআই পাল্টে দেয়। এরপর আরেকটি গ্রুপ এই সব মোবাইল বাজারে বিক্রি করে। এদের দেশজুড়ে নেটওয়ার্ক রয়েছে।
তারা স্বীকার করে আরও বলেছে, মোবাইল ফোনের লক খুলতে ও আইএমইআই পাল্টাতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে অত্যাধুনিক মেশিন কিনেছে। তারা সফটওয়ার ব্যবহার করে ২ খেকে ৩ মিনিটের মধ্যে চোরাই মোবাইল আইএমইআই পাল্টে নতুন করে আবার একই মোবাইল বেশি দামে বিক্রি করছে।
এই সব চক্র দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম চালাচ্ছে। তাদের চোরাই মোবাইল দেশের বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। আর চক্রে কারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এই চক্রের কাছ থেকে ৫৫টি দাবি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-২ এই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবির সূত্র ধরে ৫০০ বেশি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করছে। অধিকাংশ মোবাইল আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধায় ২-এপিবিএনের অধিনায়ক সংবাদকে জানান, চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে তাদের অভিযান চলছে। তাদের সাইবার ইউনিট টিম কাজ করছেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রামে মাবাইল ফোন সেটের আইএমইআই পাল্টানোর ‘কারিগর’ সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার সরোয়ার হোসেন সুজন ওরফে শাহনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী মৌসুমী আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তার কাছ থেকে আইএমইআই পাল্টানো ৫২টি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (সিএমপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে স্নাতক এ যুবক আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) পাল্টানোর কাজে বিদেশি সফটওয়্যারও কিনেছেন। এই কাজে তাকে সহায়তা করতে বিদেশি সহযোগীও রয়েছে। গত ৬ মাসে তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আব্দুল মান্নান মিয়া সাংবাদিকদেরকে জানান, ওই যুবক প্রথমে ‘শখের বশে’ মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করলেও এখন সেটি তার পেশা। নগরীর অলংকার শপিং কমপ্লেক্সে তার একটি মোবাইল বিক্রির দোকানও আছে। ‘মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কিনে সেগুলোর আইএমইআই পাল্টে নিজের দোকানে কিংবা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করেন।’ শাহনের আইএমইআই পাল্টানোর কারবারের সঙ্গে পাকিস্তানি ও ইন্দোনেশিয়ার মোবাইল টেকনিশিয়ানদের যোগসূত্র পেয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শাহন মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করতে না পারলে তাদের (বিদেশি সহযোগীদের) সাথে যোগাযোগ করে সেগুলোর নম্বর পাল্টে ফেলেন। এজন্য তাদের তিনি ডলারে অর্থ পরিশোধ করেন।’
‘দক্ষ’ হতে অনলাইনে ‘প্রশিক্ষণ’ শাহন ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শিক্ষকতা করার কথাও পুলিশের কাছে তুলে ধরেছেন। বলেছেন, প্রোগ্রামিংসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ভালো ধারণা থাকায় এক সময় তার আইএমইআই পাল্টানোর কৌশল শেখার আগ্রহ জন্মায়।
অভিযুক্ত ‘শাহন জানিয়েছে, ফেইসবুকের মাধ্যমে বছর খানেক আগে তার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার এক মোবাইল টেকনিশিয়ানের পরিচয় হয়। তার (বিদেশির) কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে নেন নিজের ল্যাপটপে। পাশাপাশি অনলাইনে প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন বলে পুলিশ দাবি করছেন। এছাড়া পাকিস্তানি মোবাইল টেকনিশিয়ানের কাছ থেকেও একইভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নিজে কোনো আইএমইআই পাল্টাতে না পারলে তার দ্বারস্ত হন শাহন। টিমভিউয়ার (স্ক্রিন শেয়ারিং) সফটওয়্যারের মাধ্যমে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে মোবাইল ফোনের আইএমইআই পাল্টে নেন।’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আইএমইআই পাল্টানোর আরও অনেক মোবাইল কারিগর চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। তারা মূলত সাধারণ মানের মোবাইল ফোনের আইএমইআই পাল্টাতে পারলেও শাহন সবধরনের মোবাইল ফোনের আইএমইআই পাল্টাতে পারেন।
পুলিশ বলছে, শাহন গত ৬ মাস ধরে নিজে যেমন চোরাই মোবাইল সংগ্রহ করে আইএমইআই পাল্টিয়ে বেচতেন, তেমনই চোরাই মোবাইলের অনেক ক্রেতাও তার মাধ্যমে আইএমইআই পাল্টাতেন। এজন্য তিনি ফোনভেদে ১ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিতেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, ‘আগে আমাদের কাছে ধারণা ছিল, আইফোন এবং বেশি দামি মোবাইল ফোনের আইএমইআই পালটানো যায় না। কিন্তু শাহন সব ধরনের আইএমইআই পাল্টাতে পারেন। ‘দামি ফোনের বেশির ভাগ সে তার পরিচিত বিদেশি দুই মোবাইল টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে করিয়ে নেন। বিনিময়ে তিনি তাদের অর্থ পরিশোধ করেন।’