ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকার আতঙ্ক নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না। অন্তত ৩০ মামলা ও অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হলেও জমি দখল, হামলা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ চলছে সমান তালে। তার সমর্থকদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকাবাসীর। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক ৩ হাজার টাকা বেতনে ভাঙারির দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড। তার কর্মকাণ্ড দিন দিন এতই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া। জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি ক্রয় করেন। নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি। প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। জমির কাছে গেলেই লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার জানান। এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে ও তার জমি দখল করে নেয়।
এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই সন্ত্রাসী দলে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গর সদস্যও রয়েছে। জমি দখলে জাল দলিল দেখিয়ে তার নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. কোম্পানির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া লোভনীয় মূল্যে ফ্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ও ফ্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণকাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানি মামলা করলে আদালত নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান। পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক। এ সময় অভিযানে আসা রাজউকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন। ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকা-কে অবৈধ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন।
অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে। সর্বশেষ মারওয়া টাওয়ারে অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে তোপের মুখে ফেলার বিষয়ে বলেন, রাজউকের উচিত ছিল তাকে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার সুযোগ দেয়া।
শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকার আতঙ্ক নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না। অন্তত ৩০ মামলা ও অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হলেও জমি দখল, হামলা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ চলছে সমান তালে। তার সমর্থকদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকাবাসীর। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক ৩ হাজার টাকা বেতনে ভাঙারির দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড। তার কর্মকাণ্ড দিন দিন এতই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া। জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি ক্রয় করেন। নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি। প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। জমির কাছে গেলেই লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার জানান। এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে ও তার জমি দখল করে নেয়।
এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই সন্ত্রাসী দলে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গর সদস্যও রয়েছে। জমি দখলে জাল দলিল দেখিয়ে তার নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. কোম্পানির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া লোভনীয় মূল্যে ফ্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ও ফ্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণকাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানি মামলা করলে আদালত নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান। পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক। এ সময় অভিযানে আসা রাজউকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন। ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকা-কে অবৈধ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন।
অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে। সর্বশেষ মারওয়া টাওয়ারে অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে তোপের মুখে ফেলার বিষয়ে বলেন, রাজউকের উচিত ছিল তাকে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার সুযোগ দেয়া।