ঢাকার বাড্ডায় এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগের আনোয়ার হোসেন আনু, শরীয়তপুরের পালং থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম এবং শেরপুরের বলদিয়ার চরের আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।
রায়ের সময় আনু ও বোরহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আর আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক।
তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা এলাকার পূর্ব খিল বাড়ির টেক এর সুতিভুলা খালের পাশে কচুরিপানা ভর্তি একটি ডোবা থেকে ৩০/৩৫ বছরের এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বেশ কিছুদিন আগে পুকুরে ফেলায় মৃতদেহটি পচে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় লোকজনও তখন লাশটি শনাক্ত করতে কিংবা পুলিশকে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন এসআই আবু বকর মাতুব্বর। তদন্তের এক পর্যায়ে টাঙ্গাইলের এক নারী নিহত ওই ব্যক্তিকে তার স্বামী সুরুজ মিয়া হিসেবে শনাক্ত করেন।
পুলিশ আনু ও বোরহানকে গ্রেপ্তার করলে বোরহান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সেখানে আব্দুল্লাহর নাম আসে।
পরে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সেখানে বলা হয়, টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে সুরুজ মিয়াকে খুন করে বস্তায় লাশ ভরে ডোবায় ফেলে দেয় আসামিরা।
এ আদালতের পেশকার আরিফুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি শওকত আলম।
দণ্ডিতদের অন্যতম আইনজীবী মুহা. মাহবুবুর রহমান সুজন বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
ঢাকার বাড্ডায় এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগের আনোয়ার হোসেন আনু, শরীয়তপুরের পালং থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম এবং শেরপুরের বলদিয়ার চরের আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।
রায়ের সময় আনু ও বোরহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আর আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক।
তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা এলাকার পূর্ব খিল বাড়ির টেক এর সুতিভুলা খালের পাশে কচুরিপানা ভর্তি একটি ডোবা থেকে ৩০/৩৫ বছরের এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বেশ কিছুদিন আগে পুকুরে ফেলায় মৃতদেহটি পচে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় লোকজনও তখন লাশটি শনাক্ত করতে কিংবা পুলিশকে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন এসআই আবু বকর মাতুব্বর। তদন্তের এক পর্যায়ে টাঙ্গাইলের এক নারী নিহত ওই ব্যক্তিকে তার স্বামী সুরুজ মিয়া হিসেবে শনাক্ত করেন।
পুলিশ আনু ও বোরহানকে গ্রেপ্তার করলে বোরহান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সেখানে আব্দুল্লাহর নাম আসে।
পরে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সেখানে বলা হয়, টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে সুরুজ মিয়াকে খুন করে বস্তায় লাশ ভরে ডোবায় ফেলে দেয় আসামিরা।
এ আদালতের পেশকার আরিফুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি শওকত আলম।
দণ্ডিতদের অন্যতম আইনজীবী মুহা. মাহবুবুর রহমান সুজন বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।