অনলাইনে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারনা,জুয়াসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিট (ডিবি) এসে কয়েকজন ভুক্তিভোগী এই অভিযোগ করেন।
ভুক্তিভোগীরা বলছেন, ওই ব্যক্তি নিজেকে ব্যবসায়ী দেখিয়ে কিছু নগদ টাকা দিয়ে ডলার কিনে বাকি অর্থ অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রাতে বিনিয়োগ করায়। আর বেশি লাভের আশায় তার ফাঁদে পড়ে অনেকে পুঁজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।’ ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করেন, তারা বিনিয়োগের টাকা ফেরত পেতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদেরকে মামলাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হামলার হুমকি দেয় সাইফুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি।
গতকাল পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিট (ডিবি) আসেন রাজধানীর মিরপুরের রফিক মোহাম্মদ ভূইয়া। তিনি জানান,তিনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন দেশে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে কিছু ডলার উপার্জন করে। সাইফুল তাকে নগদ ৩ লাখ টাকা লাভ দেখিয়ে বিদেশী একটি একাউন্ট নিয়ে দেয়। এরপর ২ মাস পর বিটকয়েন থেকে টাকা ফেরত দেবে জানায়। এখন টাকা চাইতে গেলে হুমকি দিচ্ছে। অবৈধভাবের হুন্ডি ব্যবসায় সঙ্গেও জড়িত সাইফুল বলেও জানান ভুক্তিভোগীরা। তারা বলছেন, ‘এই সাইফুলকে ঘিরে একটি সিন্ডিকেটও রয়েছে এই হুন্ডি ব্যবসার।’
গতকাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তিভোগী অনেকেই বলছেন, ঢাকার গুলশানে অফিস খুলে এবং নিজে ইমর্পোটার পরিচয়ের আড়ালে শত শত ফেইসবুক একাউন্ট খুলে ফ্রিল্যান্সারদের ফেইসবুক ম্যাসেজে এ অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিটকয়েন কেনায় সাইফুল।
এরপর নিজেকে ব্যবসায়ী দেখিয়ে কিছু নগদ দিয়ে ডলার কিনে বাকি অর্থ বিভিন্ন অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রাতে বিনিয়োগ করায়। আর বেশি লাভের আশায় তার ফাঁদে পরে অনেকে পুজি হারিয়ে এখন অসহায়। ভুক্তভোগীরা জানায়, কোনো উচ্চবাচ্য করলে তাদেরকে মামলাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হামলার হুমকি দিচ্ছে সাইফুল।
সাইফুলের সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিটের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন ভুক্তিভোগী আমার কাছে এসেছেন। ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে যে কাউকেই আইনের আওতায় আনা যাবে। মানি লন্ডারিং এবং আর্থিক জালিয়াতি কারণে দেশের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের রেমিটেন্সের উপর প্রভাব পড়ছে। তাই এদের ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ভুক্তভোগীরা নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করার পাশাপাশি সিটিটিসি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিটিআরসির সহযোগিতা এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। আর শুধুমাত্র ডিএমপি থেকেই এই অর্থবছরে এখন পর্যন্ত অর্ধশত জুয়ারী ও মানি লন্ডারিং এর সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
অনলাইনে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারনা,জুয়াসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিট (ডিবি) এসে কয়েকজন ভুক্তিভোগী এই অভিযোগ করেন।
ভুক্তিভোগীরা বলছেন, ওই ব্যক্তি নিজেকে ব্যবসায়ী দেখিয়ে কিছু নগদ টাকা দিয়ে ডলার কিনে বাকি অর্থ অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রাতে বিনিয়োগ করায়। আর বেশি লাভের আশায় তার ফাঁদে পড়ে অনেকে পুঁজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।’ ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করেন, তারা বিনিয়োগের টাকা ফেরত পেতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদেরকে মামলাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হামলার হুমকি দেয় সাইফুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি।
গতকাল পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিট (ডিবি) আসেন রাজধানীর মিরপুরের রফিক মোহাম্মদ ভূইয়া। তিনি জানান,তিনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন দেশে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে কিছু ডলার উপার্জন করে। সাইফুল তাকে নগদ ৩ লাখ টাকা লাভ দেখিয়ে বিদেশী একটি একাউন্ট নিয়ে দেয়। এরপর ২ মাস পর বিটকয়েন থেকে টাকা ফেরত দেবে জানায়। এখন টাকা চাইতে গেলে হুমকি দিচ্ছে। অবৈধভাবের হুন্ডি ব্যবসায় সঙ্গেও জড়িত সাইফুল বলেও জানান ভুক্তিভোগীরা। তারা বলছেন, ‘এই সাইফুলকে ঘিরে একটি সিন্ডিকেটও রয়েছে এই হুন্ডি ব্যবসার।’
গতকাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তিভোগী অনেকেই বলছেন, ঢাকার গুলশানে অফিস খুলে এবং নিজে ইমর্পোটার পরিচয়ের আড়ালে শত শত ফেইসবুক একাউন্ট খুলে ফ্রিল্যান্সারদের ফেইসবুক ম্যাসেজে এ অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিটকয়েন কেনায় সাইফুল।
এরপর নিজেকে ব্যবসায়ী দেখিয়ে কিছু নগদ দিয়ে ডলার কিনে বাকি অর্থ বিভিন্ন অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রাতে বিনিয়োগ করায়। আর বেশি লাভের আশায় তার ফাঁদে পরে অনেকে পুজি হারিয়ে এখন অসহায়। ভুক্তভোগীরা জানায়, কোনো উচ্চবাচ্য করলে তাদেরকে মামলাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হামলার হুমকি দিচ্ছে সাইফুল।
সাইফুলের সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিটের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন ভুক্তিভোগী আমার কাছে এসেছেন। ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে যে কাউকেই আইনের আওতায় আনা যাবে। মানি লন্ডারিং এবং আর্থিক জালিয়াতি কারণে দেশের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের রেমিটেন্সের উপর প্রভাব পড়ছে। তাই এদের ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ভুক্তভোগীরা নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করার পাশাপাশি সিটিটিসি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিটিআরসির সহযোগিতা এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। আর শুধুমাত্র ডিএমপি থেকেই এই অর্থবছরে এখন পর্যন্ত অর্ধশত জুয়ারী ও মানি লন্ডারিং এর সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’