নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গভীর রাতে ঘর থেকে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে আড়াইহাজার পৌরসভার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাতনামা ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করে বলে জানান ওসি আহসান উল্লাহ।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় পাশের ঘরে কিশোরীর বাবা-মা ঘুমাচ্ছিলেন। ওই কিশোরীকে পরে কাছের একটি খালি ঘরে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরে কিশোরীকে তার বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা নিয়ে কাউকে না বলতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় অপরাধ সংঘটনকারীরা।
ভুক্তভোগী পরিবারটি মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিল। কয়েকমাস আগে আড়াইহাজারে বাড়ি করে এখানে থাকা শুরু করে। এলাকায় নতুন হওয়াতে আসামিদের কাউকে চিনতে পারেনি। তবে পুলিশ এই ঘটনাটিকে গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে, বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোমেনুল হক শুভ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। ভুক্তভোগী পরিবারটির বাড়ি নদীর পাশে। ওইখানে রাতভর নেশাগ্রস্ত যুবকরা আড্ডা দেয়। ওরা কেউ এমনটা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছি।
তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যায়নি জানিয়ে ওসি আহসান বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা যায়নি। তরুণী এখন পুলিশের হেফাজতে আছে। শনিবার সকালে মেডিকেল করা হবে।
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গভীর রাতে ঘর থেকে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে আড়াইহাজার পৌরসভার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাতনামা ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করে বলে জানান ওসি আহসান উল্লাহ।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় পাশের ঘরে কিশোরীর বাবা-মা ঘুমাচ্ছিলেন। ওই কিশোরীকে পরে কাছের একটি খালি ঘরে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরে কিশোরীকে তার বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা নিয়ে কাউকে না বলতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় অপরাধ সংঘটনকারীরা।
ভুক্তভোগী পরিবারটি মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিল। কয়েকমাস আগে আড়াইহাজারে বাড়ি করে এখানে থাকা শুরু করে। এলাকায় নতুন হওয়াতে আসামিদের কাউকে চিনতে পারেনি। তবে পুলিশ এই ঘটনাটিকে গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে, বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোমেনুল হক শুভ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। ভুক্তভোগী পরিবারটির বাড়ি নদীর পাশে। ওইখানে রাতভর নেশাগ্রস্ত যুবকরা আড্ডা দেয়। ওরা কেউ এমনটা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছি।
তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যায়নি জানিয়ে ওসি আহসান বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা যায়নি। তরুণী এখন পুলিশের হেফাজতে আছে। শনিবার সকালে মেডিকেল করা হবে।