ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ৫নং বাশাঁটি ইউপি চেয়রম্যান উজ্জল চন্দ্র চন্দকে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ীতে গলাটিপে হত্যা করে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ তার ব্যক্তিগত গাড়ীর চালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তাগাছার বলেরসড়ক নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদ ও দায়ীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবীতে শুক্রবার বিকালে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তার ব্যক্তিগত গাড়ীর চালক মনিরামবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন(২৩) ও ছিনতাইকারী শেরপুর জেলার পাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুজন মিয়া(২৪)।
পুলিশ ও ঘটনার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বাঁশাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উজ্জল চন্দ্র চন্দ তার অটোরাইস মিলের চাল বিক্রির টাকা আনতে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে যান। ১১ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে করে মুক্তাগাছায় ফেরার পথে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মনতলা ব্রীজ পার হতেই চালক গাড়ীটি রহস্যজনকভাবে চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে তার গাড়ীর পেছনের সিটে পূর্বে থেকে লুকিয়ে থাকা দুই ছিনতাইকারী পেছন থেকে তার গলা চেপে ধরে। নিজেকে রক্ষা করতে চেয়ারম্যান একজনের হাতের আঙ্গুল কামড়ে ছিড়ে ফেলেন। এতে ওই ছিনতাইকারী দমে গেলেও অপর ছিনতাইকারীর সাথে গাড়ীতেই তার ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে গাড়ীর চালক গাড়িটি সড়কের পাশের খাতে নামিয়ে দেয়। সড়ক দুর্ঘটনা মনে করে পথচারীরা ঘটনাস্থলে এলে এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যায। আর অন্য ছিনতাইকারী সুজন মিয়াকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। এ ঘটনার সথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাইভেটকার চালক আব্দুল মতিনকেও গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আহত হন।
এ ঘটনায় শুক্রবার মুক্তাগাছায় একটি মামলা হয়।
এদিকে চেয়ারম্যানকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে তার ইউনিয়নের লোকজন শুক্রবার বিকেল ৪টার সময় মুক্তাগাছা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ইছাহাক আলী সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, বোরহান উদ্দিন আকন্দ, মর্জিনা আক্তার বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জল চন্দ্র চন্দ বলেন, তার গাড়ী চালকের সহযোগিতকায় আগে থেকে পেছনের সিটে দুইজন ছিনতাইকারী লুকিয়ে ছিল। পথে হঠাৎ পেছন থেকে তার গলা টিপে ধরে। পরে পথচারীদের সহযোহিতায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান বলে তিনি জানান। এ সময় তার সঙ্গে চাল বিক্রির সাড়ে ১১ লাখ টাকা ছিল।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচাজ ফারুক আহম্মেদ বলেন, ছিনতাইকারীরা ময়মনসিংহের একটি ওয়ার্কসপে কাজ করত। চেয়ারম্যানের গাড়ীর চালকের সঙ্গে তাদের ছিল আগে থেকেই সখ্যতা। চেয়ারম্যানের টাকা ছিনতাইয়ের লক্ষেই তারা আগে থেকে চালকের সহযোগিতায় গাড়ীতে লুকিয়ে ছিল। একজন পালিয়ে গেলেও অন্যজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের টাকা নিতে পারেনি বলে জানান ওসি। প্রয়োজনে চেয়ারম্যানকে হত্যা করে টাকা ছিনিয়ে নেবার অভিসন্ধি ছিল বলেও ওসি জানান।
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ৫নং বাশাঁটি ইউপি চেয়রম্যান উজ্জল চন্দ্র চন্দকে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ীতে গলাটিপে হত্যা করে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ তার ব্যক্তিগত গাড়ীর চালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তাগাছার বলেরসড়ক নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদ ও দায়ীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবীতে শুক্রবার বিকালে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তার ব্যক্তিগত গাড়ীর চালক মনিরামবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন(২৩) ও ছিনতাইকারী শেরপুর জেলার পাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুজন মিয়া(২৪)।
পুলিশ ও ঘটনার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বাঁশাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উজ্জল চন্দ্র চন্দ তার অটোরাইস মিলের চাল বিক্রির টাকা আনতে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে যান। ১১ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে করে মুক্তাগাছায় ফেরার পথে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মনতলা ব্রীজ পার হতেই চালক গাড়ীটি রহস্যজনকভাবে চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে তার গাড়ীর পেছনের সিটে পূর্বে থেকে লুকিয়ে থাকা দুই ছিনতাইকারী পেছন থেকে তার গলা চেপে ধরে। নিজেকে রক্ষা করতে চেয়ারম্যান একজনের হাতের আঙ্গুল কামড়ে ছিড়ে ফেলেন। এতে ওই ছিনতাইকারী দমে গেলেও অপর ছিনতাইকারীর সাথে গাড়ীতেই তার ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে গাড়ীর চালক গাড়িটি সড়কের পাশের খাতে নামিয়ে দেয়। সড়ক দুর্ঘটনা মনে করে পথচারীরা ঘটনাস্থলে এলে এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যায। আর অন্য ছিনতাইকারী সুজন মিয়াকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। এ ঘটনার সথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাইভেটকার চালক আব্দুল মতিনকেও গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আহত হন।
এ ঘটনায় শুক্রবার মুক্তাগাছায় একটি মামলা হয়।
এদিকে চেয়ারম্যানকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে তার ইউনিয়নের লোকজন শুক্রবার বিকেল ৪টার সময় মুক্তাগাছা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ইছাহাক আলী সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, বোরহান উদ্দিন আকন্দ, মর্জিনা আক্তার বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জল চন্দ্র চন্দ বলেন, তার গাড়ী চালকের সহযোগিতকায় আগে থেকে পেছনের সিটে দুইজন ছিনতাইকারী লুকিয়ে ছিল। পথে হঠাৎ পেছন থেকে তার গলা টিপে ধরে। পরে পথচারীদের সহযোহিতায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান বলে তিনি জানান। এ সময় তার সঙ্গে চাল বিক্রির সাড়ে ১১ লাখ টাকা ছিল।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচাজ ফারুক আহম্মেদ বলেন, ছিনতাইকারীরা ময়মনসিংহের একটি ওয়ার্কসপে কাজ করত। চেয়ারম্যানের গাড়ীর চালকের সঙ্গে তাদের ছিল আগে থেকেই সখ্যতা। চেয়ারম্যানের টাকা ছিনতাইয়ের লক্ষেই তারা আগে থেকে চালকের সহযোগিতায় গাড়ীতে লুকিয়ে ছিল। একজন পালিয়ে গেলেও অন্যজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের টাকা নিতে পারেনি বলে জানান ওসি। প্রয়োজনে চেয়ারম্যানকে হত্যা করে টাকা ছিনিয়ে নেবার অভিসন্ধি ছিল বলেও ওসি জানান।