alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

ছাগলকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে আরও দুর্নীতি

বাকী বিল্লাহ ও মাসুদ রানা : শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরের) কর্মকর্তা মতিউর রহমান আলোচনায় আসর পর আরো দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসছে। যারা এতদিন মতিউর সিন্ডিকেটের ভয়ে কথা বলার সাহস পেত না তারাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তাদের কাছে জানা গেছে, এনবিআরের ঘুষ কেলেঙ্কারিরা নানা কাহিনী।

এনবিআরের সাবেক একজন কমিশনারসহ একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনাটি প্রায় ২ বছর আরে। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যানের একজন পিয়ন তার নাম মুকুল হোসেন। তিনি পিয়ন থেকে পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হয়েছেন। তাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বদলি করা হয়। সেখানে শীর্ষ কর্মকর্তারা মুকুল হোসেনকে ঘুষের ভাগের টাকা বহনকারী হিসেবে ব্যবহার করত।

বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে প্রতি সপ্তাহে এনবিআরে মতিউর সিন্ডিকেটের একজন মেম্বারের কাছে সপ্তাহে ২৫ লাখ টাকা পাঠানো হতো। এই টাকা মুকুল ব্যাগ ভর্তি করে বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছে দিত। এই ভাবে প্রতি সপ্তাহের ঘুষের কমিশন ২৫ লাখ সপ্তাহে অলিখিতভাবে ঢাকায় এনবিআরে টার্গেটকৃত কর্মকর্তার অফিস বা বাসায় পৌঁছে যেত। এক সপ্তাহে ২৫ লাখ টাকা হলে প্রতি মাসে কমপক্ষে কোটি টাকা ঢাকায় পৌঁছত।

কিন্তু একদিন বিমানে ব্যাগ তল্লাশির সময় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে টাকার বান্ডল ধরা পড়ে। আটক করা হয় কাস্টমসে মুকুল হোসেনকে। তিনি টাকার ক্যারিয়ার হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদে সত্য কথা বলেছেন। কিন্তু পানির ধর্ম নিচের দিকে গড়ায়। নানা অনুরোধ করার পরও অবশেষে মুকুলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাকে টাকা পাচারকারী বানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে। তদন্ত চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য কোন সংস্থা দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করলে থলের মূল বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা মনে করছেন। সেখানে ওই সময়ের এনবিআরের একজন মেম্বার ও বেনাপোলের কাস্টমসের একজন কমিশনার জড়িত? তাদের নির্দেশে টাকাগুলো বিমান যোগে ঢাকায় আনা হতো। বড় কর্তারা রেহাই পেলেও বিপাকে পড়েছে টাকা বহনকারী মুকুল।

সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে, ২০২২ সালে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে ২৫ লাখ টাকাসহ বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মুকুলের বাড়ি টাঙ্গাইলে। টাকা বহনকারী মুকুলকে (সাময়িক বরখাস্ত) সাজা দিলেও মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। মুকুলের স্বীকারোক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে এখনও অনুসন্ধান চালালে রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়বেন। সূত্র জানায়, বেনাপোল কাস্টমসে গোডাউন থেকে স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরিসহ নানা ঘটনা ঘটলেও পরে তদন্তে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। এই ভাবে বেনাপোল কাস্টমসের প্রতিনিয়ত নানা অপকর্ম ঘটছে। সেখানে যারা কাস্টমস হাউসে চাকরি করছেন তাদের নামে বেনামে সম্পর্দের তদন্ত করলে আরও কাহিনী বেরিয়ে আসবে।

সূত্র মতে, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বৈধ সম্পদের তথ্য হিসাব থাকলেও অবৈধ ভাবে আটক বা গোপনে লাভবান হয়ে ছেড়ে দেয়ার কথা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

বেনাপোল কাস্টমসে যারা চাকরি করেছেন তাদের মধ্যে সন্দেহ ভাজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালালে বাড়বে রাজস্ব এবং কমবে দুর্নীতি। বেনাপোল ছাড়াও ঢাকার কাস্টমস হাউসে মূল্যবান গোডাউন থেকে স্বর্ণসহ মূল্যবান সমাগ্রী হারিয়েছে। তা নিয়ে এখনো গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছেন।

কাস্টমস সূত্র জানায়, রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের বরিশালে একটি জুতার কোম্পানিও। একবার ওই জুতার কারখানায় একজন সৎ কাস্টমস অফিসার তল্লাশি করে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি জানতে না যে ওই কারখানার মালিক নেপথ্যে মতিউর।

পরে ক্ষুর্ধ্ব মতিউর ওই কাস্টমস কর্মকর্তার পেনশন আটকে দিয়েছে। সম্প্রতি আদালত থেকে ওই আইনি প্রক্রিয়ায় পেশনসহ অন্যান্য ভাতা পেয়েছে। এই ভাবে একের পর এক মতিউর সিন্ডিকেটের দুর্নীতির নানা কাহিনী এখন বেরিয়ে আসছে।

কাস্টমসের কর্মকর্তারা মন্তব্য করে বলেন, এই ধরনের দুর্নীতিবাজদেরকে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিলে দেশের দুর্নীতি কমে আসবে। দেশ আর্থিকভাবে আরও উন্নত হবে। এই সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তারা তদবির করে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এই সম্পর্কে শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, ছাগলকাণ্ডের জড়িত মতিউর নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তে অনেক ক্লু বেরিয়ে আসছে। সে গুলো নিয়ে অনুসন্ধান ও যাচাই-বাচাই চলছে। এরপর প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সম্পর্কে বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী সংবাদকে জানান, মতিউর অপকর্মে একটি মহল প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে। তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতির আরও কাহিনী বেরিয়ে আসবে। আর অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতি কমবে। দেশের উন্নতি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ছবি

নকল কসমেটিকস উৎপাদন : ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সাড়ে ১৪ লাখ টাকা

চাঁদপুরে কোহিনুর হত্যা মামলায় ২ আসামীর মৃত্যুদণ্ড

ছবি

মাথাচাড়া দিচ্ছে নিত্য-নতুন সাইবার অপরাধ: সিক্যাফ’র গবেষণা

ছবি

কেন্দ্রে প্রভাষকসহ ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সোনারগাঁয়ে বিচার শালিসে সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক গুলিবিদ্ধ

ছবি

নরসিংদীতে ভূয়া পুলিশ আটক

সোনারগাঁয়ে সাবেক নারী সদস্যকে শ্লীলতাহানি করে পেটালেন ইউপি সদস্য

সিলেটে কাউন্সিলর আজাদের বাসভবনে হামলা, সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলরদের নিন্দা

ছবি

জুড়ীতে জুয়াড়িদের অভ্যন্তরীণ লেনদেনের বলি আরমান

পীরগাছায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

ছবি

মতিউর আসলে কোথায়?

ছবি

সৎ মেয়েকে ধর্ষণ, ফরিদপুরে সাবেক বিডিআর কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ছবি

এমপি আনার হত্যা: মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ৬ দিনের রিমান্ডে

ছবি

রাবিতে পুলিশ ফাঁড়ির নিকটে ছিনতাই, গ্রেফতার ১

ছবি

মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

বালতির হাতল দিয়ে কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালালেন ৪ আসামি, ১৪ মিনিটেই আটক

ছবি

তরুণীদের দিয়ে অনলাইনে দেহ ব্যবসা, শত কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রটি

ছাগলকাণ্ড : এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরের ৫শ’ কোটি টাকার বেশি স্থাবর সম্পদের তথ্য

ছবি

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় পরীমনির জামিন

ছবি

মতিউর ও স্ত্রী-পুত্রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, দুদকের তদন্ত শুরু

যশোরে অনিবন্ধিত ক্লিনিকে সিজার, প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু

বেনজীরের স্ত্রী-সন্তানও হাজির হয়নি দুদকে

ছবি

ম্যাজিস্ট্রেটসহ আ.লীগ নেতা বাবুকে নিয়ে ফোন উদ্ধারে অভিযানের নির্দেশ

ছবি

দুদকের বরখাস্ত হওয়া সেই মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন

ছবি

এনবিআরের কর্মকতা মতিউর ও স্ত্রী-পুত্রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

দুদকের ডাকে সাড়া দেননি বেনজীরের স্ত্রী-দুই মেয়ে

ছবি

মতিউর, তার স্ত্রী ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

বেনজীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক, আছাদুজ্জামানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

‘দুর্নীতি’ অনুসন্ধানে দুদকের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন

ছবি

এনবিআর থেকে সরানো হলো মতিউরকে, সরতে হচ্ছে সোনালী ব্যাংক থেকেও

এটিইউ কর্তৃক ১২ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার

ছবি

হাসপাতাল ভবনে ব্যাংক ভাড়া, সেবা ব্যাহত

তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে ‘জমির বিরোধও’

ব্যবসায়ীর ৫২ লাখ টাকা লুট

সিলেটে মুক্তিপণ না পেয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

শরীয়তপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে একজন আটক

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

ছাগলকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে আরও দুর্নীতি

বাকী বিল্লাহ ও মাসুদ রানা

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরের) কর্মকর্তা মতিউর রহমান আলোচনায় আসর পর আরো দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসছে। যারা এতদিন মতিউর সিন্ডিকেটের ভয়ে কথা বলার সাহস পেত না তারাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তাদের কাছে জানা গেছে, এনবিআরের ঘুষ কেলেঙ্কারিরা নানা কাহিনী।

এনবিআরের সাবেক একজন কমিশনারসহ একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনাটি প্রায় ২ বছর আরে। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যানের একজন পিয়ন তার নাম মুকুল হোসেন। তিনি পিয়ন থেকে পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হয়েছেন। তাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বদলি করা হয়। সেখানে শীর্ষ কর্মকর্তারা মুকুল হোসেনকে ঘুষের ভাগের টাকা বহনকারী হিসেবে ব্যবহার করত।

বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে প্রতি সপ্তাহে এনবিআরে মতিউর সিন্ডিকেটের একজন মেম্বারের কাছে সপ্তাহে ২৫ লাখ টাকা পাঠানো হতো। এই টাকা মুকুল ব্যাগ ভর্তি করে বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছে দিত। এই ভাবে প্রতি সপ্তাহের ঘুষের কমিশন ২৫ লাখ সপ্তাহে অলিখিতভাবে ঢাকায় এনবিআরে টার্গেটকৃত কর্মকর্তার অফিস বা বাসায় পৌঁছে যেত। এক সপ্তাহে ২৫ লাখ টাকা হলে প্রতি মাসে কমপক্ষে কোটি টাকা ঢাকায় পৌঁছত।

কিন্তু একদিন বিমানে ব্যাগ তল্লাশির সময় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে টাকার বান্ডল ধরা পড়ে। আটক করা হয় কাস্টমসে মুকুল হোসেনকে। তিনি টাকার ক্যারিয়ার হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদে সত্য কথা বলেছেন। কিন্তু পানির ধর্ম নিচের দিকে গড়ায়। নানা অনুরোধ করার পরও অবশেষে মুকুলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাকে টাকা পাচারকারী বানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে। তদন্ত চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য কোন সংস্থা দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করলে থলের মূল বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা মনে করছেন। সেখানে ওই সময়ের এনবিআরের একজন মেম্বার ও বেনাপোলের কাস্টমসের একজন কমিশনার জড়িত? তাদের নির্দেশে টাকাগুলো বিমান যোগে ঢাকায় আনা হতো। বড় কর্তারা রেহাই পেলেও বিপাকে পড়েছে টাকা বহনকারী মুকুল।

সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে, ২০২২ সালে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে ২৫ লাখ টাকাসহ বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মুকুলের বাড়ি টাঙ্গাইলে। টাকা বহনকারী মুকুলকে (সাময়িক বরখাস্ত) সাজা দিলেও মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। মুকুলের স্বীকারোক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে এখনও অনুসন্ধান চালালে রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়বেন। সূত্র জানায়, বেনাপোল কাস্টমসে গোডাউন থেকে স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরিসহ নানা ঘটনা ঘটলেও পরে তদন্তে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। এই ভাবে বেনাপোল কাস্টমসের প্রতিনিয়ত নানা অপকর্ম ঘটছে। সেখানে যারা কাস্টমস হাউসে চাকরি করছেন তাদের নামে বেনামে সম্পর্দের তদন্ত করলে আরও কাহিনী বেরিয়ে আসবে।

সূত্র মতে, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বৈধ সম্পদের তথ্য হিসাব থাকলেও অবৈধ ভাবে আটক বা গোপনে লাভবান হয়ে ছেড়ে দেয়ার কথা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

বেনাপোল কাস্টমসে যারা চাকরি করেছেন তাদের মধ্যে সন্দেহ ভাজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালালে বাড়বে রাজস্ব এবং কমবে দুর্নীতি। বেনাপোল ছাড়াও ঢাকার কাস্টমস হাউসে মূল্যবান গোডাউন থেকে স্বর্ণসহ মূল্যবান সমাগ্রী হারিয়েছে। তা নিয়ে এখনো গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছেন।

কাস্টমস সূত্র জানায়, রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের বরিশালে একটি জুতার কোম্পানিও। একবার ওই জুতার কারখানায় একজন সৎ কাস্টমস অফিসার তল্লাশি করে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি জানতে না যে ওই কারখানার মালিক নেপথ্যে মতিউর।

পরে ক্ষুর্ধ্ব মতিউর ওই কাস্টমস কর্মকর্তার পেনশন আটকে দিয়েছে। সম্প্রতি আদালত থেকে ওই আইনি প্রক্রিয়ায় পেশনসহ অন্যান্য ভাতা পেয়েছে। এই ভাবে একের পর এক মতিউর সিন্ডিকেটের দুর্নীতির নানা কাহিনী এখন বেরিয়ে আসছে।

কাস্টমসের কর্মকর্তারা মন্তব্য করে বলেন, এই ধরনের দুর্নীতিবাজদেরকে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিলে দেশের দুর্নীতি কমে আসবে। দেশ আর্থিকভাবে আরও উন্নত হবে। এই সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তারা তদবির করে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এই সম্পর্কে শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, ছাগলকাণ্ডের জড়িত মতিউর নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তে অনেক ক্লু বেরিয়ে আসছে। সে গুলো নিয়ে অনুসন্ধান ও যাচাই-বাচাই চলছে। এরপর প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সম্পর্কে বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী সংবাদকে জানান, মতিউর অপকর্মে একটি মহল প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে। তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতির আরও কাহিনী বেরিয়ে আসবে। আর অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতি কমবে। দেশের উন্নতি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

back to top