ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় জড়িত আরো দুইজন ভারতে পলাতক রয়েছেন। কিলিং মিশনে তারাও অংশ নিয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। তবে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এসব তথ্য দেন সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। যদিও এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা সিআইডি।
মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা আপনাদের আগেও বলেছি, এ ঘটনায় আমরা কাউকে অযথা ডাকছি না, হয়রানি করছি না। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আমরা মনে করি এই মামলায় তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্তে অন্য যাদের নাম আসবে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আজীম হত্যাকা-ের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাসহ ইতোমধ্যে ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা সিআইডি। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ৭ জনের মধ্যে ৬ জন জবানবন্দিও দিয়েছেন। এছাড়াও হত্যাকা-ের মূল মাস্টারমাইন্ড আমেরিকায় অবস্থান করা আক্তারুজ্জামান শাহিনকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গত ১২ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পরদিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ৮ দিন পর তার খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। এখনো মরদেহের সন্ধান না মিললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত যে সংসদ সদস্য আজীম খুন হয়েছেন। হত্যার পর তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়া হয়েছে।
পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, এমপি আজীম হত্যার ‘হোতা’ তার বাল্যবন্ধু ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ঝিনাইদহের আক্তারুজ্জামান শাহীন। আর হত্যাকা-টি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল। আজীম কলকাতায় যাওয়ার পরদিন বৈঠক করার জন্য আখতারুজ্জামানের ভাড়া বাসায় যান। সেখানেই আসামিরা তাকে হত্যা করে। আজীমের লাশ না মিললেও কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের টুকরা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সেগুলো ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
রোববার, ১৪ জুলাই ২০২৪
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় জড়িত আরো দুইজন ভারতে পলাতক রয়েছেন। কিলিং মিশনে তারাও অংশ নিয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। তবে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এসব তথ্য দেন সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। যদিও এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা সিআইডি।
মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা আপনাদের আগেও বলেছি, এ ঘটনায় আমরা কাউকে অযথা ডাকছি না, হয়রানি করছি না। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আমরা মনে করি এই মামলায় তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্তে অন্য যাদের নাম আসবে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আজীম হত্যাকা-ের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাসহ ইতোমধ্যে ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা সিআইডি। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ৭ জনের মধ্যে ৬ জন জবানবন্দিও দিয়েছেন। এছাড়াও হত্যাকা-ের মূল মাস্টারমাইন্ড আমেরিকায় অবস্থান করা আক্তারুজ্জামান শাহিনকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গত ১২ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পরদিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ৮ দিন পর তার খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। এখনো মরদেহের সন্ধান না মিললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত যে সংসদ সদস্য আজীম খুন হয়েছেন। হত্যার পর তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়া হয়েছে।
পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, এমপি আজীম হত্যার ‘হোতা’ তার বাল্যবন্ধু ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ঝিনাইদহের আক্তারুজ্জামান শাহীন। আর হত্যাকা-টি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল। আজীম কলকাতায় যাওয়ার পরদিন বৈঠক করার জন্য আখতারুজ্জামানের ভাড়া বাসায় যান। সেখানেই আসামিরা তাকে হত্যা করে। আজীমের লাশ না মিললেও কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের টুকরা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সেগুলো ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।