বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গত ৪ দিন ধরে ইউপি মেম্বার গ্রাম পুলিশসহ ১০ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ শতাধিক বসতঘর ভাঙচুর, মৎস্য ঘের দখল মাছ লুটপাট মারপিটে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। মোরেলগঞ্জ থানার মূল ফটকে এখনও ঝুলছে তালা। তবে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) থেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে পুলিশ সদস্যদের ফিরে আসার নির্দেশনা আইজিপির। স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেতন মহলের দাবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পটপরিবর্তনের পর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ৩ শতাধিক ঘের দখল, পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভাংচুর, শতাধিক পরিবারের লোকজন বাড়ি শূন্য হয়ে পড়েছে। রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রামে মঙ্গলবার রাতে ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শ্রমীক লীগ নেতা বাহার ফকির, আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর ফকির, ছোট ভাই হারুন ফকির, এসকেন্দার ফকির ও একই রাতে ওই ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মোস্তফা খানসহ ৫ বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিভিন্ন মালামাল লুট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি মেম্বার বাহার ফকির ও গ্রাম পুলিশ মোস্তফা খানের স্ত্রী মিনা বেগম জানান, রাত ১১টার দিকে ৪০-থেকে ৫০ সংঘবদ্ধ দল প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর ফকিরের বাড়ির মধ্যে পর পর ৪টি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে ১২ টার দিকে গ্রাম পুলিশ মোস্তফা খানের পাকা ভবনে পেট্টল দিয়ে আগুন দেয় এবং ট্রাকে করে ৩টি গরু, ৫০টি হাস, ঘরে থাকা নগদ টাকা স্বণালংকারসহ বিভিন্ন মামলামাল লুট করে নিয়ে যায়। এখনও ওই গ্রামের ৯টি পরিবারের ৪০ জন মানুষ বাড়ি ছাড়া, ২-৩ বাড়িতে ২-১ জন নারীরা থাকলে তারা রয়েছে আতঙ্কে।
বনগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা রমেশ মুখাজির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, খাউলিয়া ইউনিয়নের সাবেক নারী সংরক্ষিত ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগম, ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম, ফাসিয়া তলা গ্রামের মনিরুজ্জামান আকন, তার ভাই মনির আকন, লঞ্চঘাট এলাকার প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মাষ্টার ও তার ভাই মজিবুল বয়াতির বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার দিনে ও রাতে বারইখালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বিপুর বাড়িতে হামলা, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর ফরিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান জসিম মৃধা, মো. আনোয়ার হোসেন, লুৎফর চৌকিদার ও ফারুক দফাদার, কামরুল ইসলাম পলাশের বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে।
তেলিগাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, তার দুটি মৎস্য ঘেরের মাছ লুট করে নিয়েছে ও বসতবাড়ি থেকে ৫টি গরু ও ৫টি ছাগল নিয়ে গেছে। এছাড়া ঢুলিগাতি ৪টি দোকান ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এখনও বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে।
পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কতিপয় লোকজন তার ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে কয়েকটি কক্ষ ভাংচুর চালিয়েছে। ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান মজুমদারের মৎস্য ঘেরের মাছ লুট করে নিয়েছে। ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ১শ’ বিঘার মৎস্য ঘের দখল করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক মৎস্য ঘের দখল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল হক বাবুল বলেন, জেলা বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা গ্রামে গ্রামে সাধারণ মানুষের জান মাল রক্ষার্থে কমিটি করে পাহারা দিচ্ছেন। এ দেশ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। কোন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
এ সর্ম্পকে জামায়েত নেতা অধ্যক্ষ আবদুল আলীম বলেন, এলাকার আইনশৃঙ্খলায় জনগণের জান মাল রক্ষার্থে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী মোরেলগঞ্জ শাখার সকল নেতাকর্মীদের ইতোমধ্যে মহল্লায় মহল্লায় কমিটি গঠন করে সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারায় জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গত ৪ দিন ধরে ইউপি মেম্বার গ্রাম পুলিশসহ ১০ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ শতাধিক বসতঘর ভাঙচুর, মৎস্য ঘের দখল মাছ লুটপাট মারপিটে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। মোরেলগঞ্জ থানার মূল ফটকে এখনও ঝুলছে তালা। তবে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) থেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে পুলিশ সদস্যদের ফিরে আসার নির্দেশনা আইজিপির। স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেতন মহলের দাবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পটপরিবর্তনের পর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ৩ শতাধিক ঘের দখল, পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভাংচুর, শতাধিক পরিবারের লোকজন বাড়ি শূন্য হয়ে পড়েছে। রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রামে মঙ্গলবার রাতে ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শ্রমীক লীগ নেতা বাহার ফকির, আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর ফকির, ছোট ভাই হারুন ফকির, এসকেন্দার ফকির ও একই রাতে ওই ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মোস্তফা খানসহ ৫ বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিভিন্ন মালামাল লুট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি মেম্বার বাহার ফকির ও গ্রাম পুলিশ মোস্তফা খানের স্ত্রী মিনা বেগম জানান, রাত ১১টার দিকে ৪০-থেকে ৫০ সংঘবদ্ধ দল প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর ফকিরের বাড়ির মধ্যে পর পর ৪টি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে ১২ টার দিকে গ্রাম পুলিশ মোস্তফা খানের পাকা ভবনে পেট্টল দিয়ে আগুন দেয় এবং ট্রাকে করে ৩টি গরু, ৫০টি হাস, ঘরে থাকা নগদ টাকা স্বণালংকারসহ বিভিন্ন মামলামাল লুট করে নিয়ে যায়। এখনও ওই গ্রামের ৯টি পরিবারের ৪০ জন মানুষ বাড়ি ছাড়া, ২-৩ বাড়িতে ২-১ জন নারীরা থাকলে তারা রয়েছে আতঙ্কে।
বনগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা রমেশ মুখাজির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, খাউলিয়া ইউনিয়নের সাবেক নারী সংরক্ষিত ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগম, ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম, ফাসিয়া তলা গ্রামের মনিরুজ্জামান আকন, তার ভাই মনির আকন, লঞ্চঘাট এলাকার প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মাষ্টার ও তার ভাই মজিবুল বয়াতির বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার দিনে ও রাতে বারইখালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বিপুর বাড়িতে হামলা, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর ফরিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান জসিম মৃধা, মো. আনোয়ার হোসেন, লুৎফর চৌকিদার ও ফারুক দফাদার, কামরুল ইসলাম পলাশের বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে।
তেলিগাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, তার দুটি মৎস্য ঘেরের মাছ লুট করে নিয়েছে ও বসতবাড়ি থেকে ৫টি গরু ও ৫টি ছাগল নিয়ে গেছে। এছাড়া ঢুলিগাতি ৪টি দোকান ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এখনও বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে।
পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কতিপয় লোকজন তার ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে কয়েকটি কক্ষ ভাংচুর চালিয়েছে। ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান মজুমদারের মৎস্য ঘেরের মাছ লুট করে নিয়েছে। ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ১শ’ বিঘার মৎস্য ঘের দখল করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক মৎস্য ঘের দখল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল হক বাবুল বলেন, জেলা বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা গ্রামে গ্রামে সাধারণ মানুষের জান মাল রক্ষার্থে কমিটি করে পাহারা দিচ্ছেন। এ দেশ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। কোন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
এ সর্ম্পকে জামায়েত নেতা অধ্যক্ষ আবদুল আলীম বলেন, এলাকার আইনশৃঙ্খলায় জনগণের জান মাল রক্ষার্থে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী মোরেলগঞ্জ শাখার সকল নেতাকর্মীদের ইতোমধ্যে মহল্লায় মহল্লায় কমিটি গঠন করে সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারায় জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।