সিআইডির প্রতিবেদন
‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন অবৈধভাবে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন, যার মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির ‘অর্গানাইজড ক্রাইম’ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব জানিয়েছেন, ইমরান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার তৌহিদুল আলম জেনিথ-এর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, "দেশি গরু-ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় হিসেবে প্রচার করে প্রতারণার মাধ্যমে কোরবানির বাজার থেকে সাদিক অ্যাগ্রো ১২১ কোটি টাকার বেশি অবৈধ আয় করেছে।"
তিনি আরও জানান, ইমরান ও তার সহযোগীরা থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু-মহিষ এনে বিক্রি করতেন।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধভাবে অর্জিত ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ইমরান নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড’-এ এফডিআর হিসাবে বিনিয়োগ করেছেন।
এছাড়া মোহাম্মদপুর এলাকায় সরকারি খাল দখল করে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত বছর ঈদুল আজহার আগে একটি ছাগল ১৫ লাখ টাকা দাবি করে সাদিক অ্যাগ্রো ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। ১৯ বছর বয়সী তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত ১২ লাখ টাকায় ওই ছাগল কেনার চুক্তি করেন। পরে ইফাতের বাবা, এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসে।
এরপর থেকেই সাদিক অ্যাগ্রোর নানা অনিয়ম প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
২০২১ সালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে আসা ১৮টি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু ধরা পড়ে। সাদিক অ্যাগ্রো ‘শাহিওয়াল’ নামে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই গরু আমদানি করেছিল।
সেসময় শুল্ক কর্মকর্তারা গরু আমদানির প্রতিটি নথিকে জাল ঘোষণা করেন। ইমরান হোসেন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
সরকারি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির একরামুল হাবীব বলেন, "মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটি দুদক তদন্ত করবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়।"
তিনি আরও জানান, ইমরানের পাচার করা টাকা থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তার সহযোগী জেনিথ এখনও পলাতক। আরও পাঁচ থেকে সাতজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে আদালতের নির্দেশে ইমরানের ২৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়, এবং তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলাও রয়েছে।
সিআইডির প্রতিবেদন
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন অবৈধভাবে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন, যার মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির ‘অর্গানাইজড ক্রাইম’ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব জানিয়েছেন, ইমরান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার তৌহিদুল আলম জেনিথ-এর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, "দেশি গরু-ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় হিসেবে প্রচার করে প্রতারণার মাধ্যমে কোরবানির বাজার থেকে সাদিক অ্যাগ্রো ১২১ কোটি টাকার বেশি অবৈধ আয় করেছে।"
তিনি আরও জানান, ইমরান ও তার সহযোগীরা থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু-মহিষ এনে বিক্রি করতেন।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধভাবে অর্জিত ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ইমরান নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড’-এ এফডিআর হিসাবে বিনিয়োগ করেছেন।
এছাড়া মোহাম্মদপুর এলাকায় সরকারি খাল দখল করে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত বছর ঈদুল আজহার আগে একটি ছাগল ১৫ লাখ টাকা দাবি করে সাদিক অ্যাগ্রো ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। ১৯ বছর বয়সী তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত ১২ লাখ টাকায় ওই ছাগল কেনার চুক্তি করেন। পরে ইফাতের বাবা, এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসে।
এরপর থেকেই সাদিক অ্যাগ্রোর নানা অনিয়ম প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
২০২১ সালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে আসা ১৮টি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু ধরা পড়ে। সাদিক অ্যাগ্রো ‘শাহিওয়াল’ নামে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই গরু আমদানি করেছিল।
সেসময় শুল্ক কর্মকর্তারা গরু আমদানির প্রতিটি নথিকে জাল ঘোষণা করেন। ইমরান হোসেন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
সরকারি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির একরামুল হাবীব বলেন, "মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটি দুদক তদন্ত করবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়।"
তিনি আরও জানান, ইমরানের পাচার করা টাকা থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তার সহযোগী জেনিথ এখনও পলাতক। আরও পাঁচ থেকে সাতজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে আদালতের নির্দেশে ইমরানের ২৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়, এবং তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলাও রয়েছে।