alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ২৯৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে, তার ২৯৭ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে জি কে শামীমকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে ও তার মা আয়েশা আক্তারকে ওই ধারায় খালাস দেওয়া হয়েছে।

দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম জানান, "আমরা রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

অন্যদিকে, জি কে শামীমের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন জানান, "রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করব। মামলায় কিছু ফাঁকফোকর রয়ে গেছে, আশা করছি উচ্চ আদালতে এর সুবিধা পাব।"

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন।

দুদকের তদন্তে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত জি কে শামীমের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি টাকা। আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য দেওয়া হলেও তার সম্পদের বৈধ উৎস নিশ্চিত করতে পারেনি দুদক।

এছাড়া, তার বাসা থেকে নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার এফডিআর, ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ব্যবসায়িক শেয়ার, কোম্পানির শেয়ার ও গাড়িসহ মোট ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর দুদকের অনুমোদন পাওয়ার পর ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের অভিযানে গুলশানের নিকেতনে নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। অভিযানে নগদ অর্থ, বিদেশি মুদ্রা, এফডিআর, অস্ত্র ও মদ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় সরকারি বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পের অন্তত ২২টি ঠিকাদারি কাজ তার প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে ছিল, যার মোট ব্যয় ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। পরবর্তীতে এসব প্রকল্পের কার্যাদেশ বাতিল করা হয় এবং ১৯৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

এর আগে, অস্ত্র আইনের মামলায় ২০২২ সালে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে অর্থপাচার মামলায় শামীমকে ১০ বছর ও তার দেহরক্ষীদের ৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছে আসামিপক্ষ।

ছবি

পুকুর থেকে ৬টি অস্ত্র, বস্তা ভর্তি নির্বাচনী কাগজপত্র ও সিল উদ্ধার

সিলেটে ৫ ডাকাত আটক

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য ফাঁস: তাজুল ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ

ছবি

ধানমন্ডিতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

হা-মীম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক হত্যায় দুই গ্রেপ্তার

‘আওয়ামী লিগ’ নামে দল নিবন্ধনের আবেদন, একমাত্র সদস্য উজ্জল রায়

ছবি

টেস্ট ড্রাইভের নামে গাড়ি ছিনতাই, বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ছবি

কেরাণীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ, সাবেক চিফ হুইপের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ

ছবি

অবৈধ সম্পদের মামলায় গাড়িচালক মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

প্রাচীন মুদ্রার নামে প্রতারণা: চার ব্যক্তি গ্রেপ্তার

ছবি

ছিনতাইকারী সন্দেহে ধাওয়া, নদীতে ঝাঁপিয়ে বাঁচার চেষ্টা—গণপিটুনিতে নিহত ১

ছবি

গুলশানে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

ছবি

সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

ছবি

আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ: পুতুলের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা

ছবি

বিশ্ব ইজতেমায় জঙ্গি হামলার মামলায় রিমান্ডে নাট্য ব্যক্তিত্ব এহসানুল বাবু

ছবি

দুদকের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক’ দাবি টিউলিপের

ব্যবসায়ী পরিচয়ে ৫ মাস নারায়ণগঞ্জে ছিলেন আরসা প্রধান

ছবি

খিলগাঁওয়ে সাত বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরসহ ৪৯ জনের খালাস রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

ছবি

পল্লবীতে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৯৯৯-এ ফোন করে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

ছবি

পরিবেশে ভেজাল সেমাই তৈরী হচ্ছে ঃ কারখানায় অভিযানে ৩জন গ্রেপ্তার ও ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

ছবি

ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে টেলিকম জালিয়াতি বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ

সিলেটে মোটরসাইকেল আরোহী খুন

ছবি

শেখ হাসিনার স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ,এসব হিসাবে আছে ৩৯৪ কোটি টাকা

সোনারগাঁয়ে এক রাতে দুই স্থানে ডাকাতি, নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট

ছবি

দোহারে কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

সিলেটে প্রবাসী হত্যা: অভিযুক্তদের বসতঘরে আগুন

লালমনিরহাটে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ ৩ জন গ্রেফতার

ছবি

৩৮ লাখ টাকা ও ৭৭ হাজার জাল রুপি উদ্ধার ঃ নোট তৈরীর সঞ্জামসহ ২ জন গ্রেপ্তার-ডিবি

শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির ঘুষ বিতর্ক, আদালতে অভিযোগ বাক্স স্থাপন

শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভা ডেকে ঘুষ নির্ধারণের ঘটনায় সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে ডিবি পরিচয়ে কোটি টাকা ডাকাতি, পুলিশ বলছে রহস্যজনক

শ্রীনগরে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে চাচীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ,অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ২৯৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে, তার ২৯৭ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে জি কে শামীমকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে ও তার মা আয়েশা আক্তারকে ওই ধারায় খালাস দেওয়া হয়েছে।

দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম জানান, "আমরা রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

অন্যদিকে, জি কে শামীমের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন জানান, "রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করব। মামলায় কিছু ফাঁকফোকর রয়ে গেছে, আশা করছি উচ্চ আদালতে এর সুবিধা পাব।"

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন।

দুদকের তদন্তে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত জি কে শামীমের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি টাকা। আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য দেওয়া হলেও তার সম্পদের বৈধ উৎস নিশ্চিত করতে পারেনি দুদক।

এছাড়া, তার বাসা থেকে নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার এফডিআর, ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ব্যবসায়িক শেয়ার, কোম্পানির শেয়ার ও গাড়িসহ মোট ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর দুদকের অনুমোদন পাওয়ার পর ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের অভিযানে গুলশানের নিকেতনে নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। অভিযানে নগদ অর্থ, বিদেশি মুদ্রা, এফডিআর, অস্ত্র ও মদ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় সরকারি বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পের অন্তত ২২টি ঠিকাদারি কাজ তার প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে ছিল, যার মোট ব্যয় ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। পরবর্তীতে এসব প্রকল্পের কার্যাদেশ বাতিল করা হয় এবং ১৯৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

এর আগে, অস্ত্র আইনের মামলায় ২০২২ সালে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে অর্থপাচার মামলায় শামীমকে ১০ বছর ও তার দেহরক্ষীদের ৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছে আসামিপক্ষ।

back to top