চট্টগ্রামের চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ভোর রাতে প্রাইভেট কার ধাওয়া করে গুলি চালানোর ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
নিহতরা হলেন বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। আহত রবিন ও হৃদয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত রবিন জানান, প্রাইভেট কারে মোট ছয়জন ছিলেন। চালকের আসনে মানিক ছিলেন, তার পাশে বসা ছিলেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মহাল থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন গুলি চালায়। জীবন বাঁচাতে গাড়িটি বাকলিয়া এক্সেস রোডের দিকে চলে যায়, যেখানে আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন।
রবিনের সন্দেহ, ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা সরোয়ারকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালায়।
নিহত আব্দুল্লাহর মা রাশেদা বেগম জানান, কয়েক মাস আগে সাজ্জাদের অনুসারীরা তার ছেলের পায়ে গুলি করেছিল। এবারও সরোয়ারকে বাঁচাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
আব্দুল্লাহর স্ত্রী প্রিয়া মনি জানান, প্রাইভেট কারটি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন ছিল এবং সেটি চালাতেন মানিক। রাতে ঈদের বাজার শেষে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফেরেননি।
সরোয়ার হোসেন বাবলা একসময় সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে পৃথক গ্রুপ গড়ে ওঠে। ছোট সাজ্জাদ ছিলেন সাজ্জাদের ডান হাত।
২০১১ সালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। ২০১৭ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে কাতারে চলে যান এবং সেখান থেকে চাঁদাবাজি চালাতেন বলে অভিযোগ ছিল। ২০২০ সালে দেশে ফিরে পুনরায় গ্রেপ্তার হন।
বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ারের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। গত বছর সরোয়ারের এক অনুসারী হত্যার ঘটনায় ছোট সাজ্জাদ প্রধান আসামি হন এবং মার্চ মাসে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন।
রবিবারের এই হত্যাকাণ্ড ছোট সাজ্জাদের অনুসারীদের প্রতিশোধ হিসেবে ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ভোর রাতে প্রাইভেট কার ধাওয়া করে গুলি চালানোর ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
নিহতরা হলেন বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। আহত রবিন ও হৃদয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত রবিন জানান, প্রাইভেট কারে মোট ছয়জন ছিলেন। চালকের আসনে মানিক ছিলেন, তার পাশে বসা ছিলেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মহাল থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন গুলি চালায়। জীবন বাঁচাতে গাড়িটি বাকলিয়া এক্সেস রোডের দিকে চলে যায়, যেখানে আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন।
রবিনের সন্দেহ, ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা সরোয়ারকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালায়।
নিহত আব্দুল্লাহর মা রাশেদা বেগম জানান, কয়েক মাস আগে সাজ্জাদের অনুসারীরা তার ছেলের পায়ে গুলি করেছিল। এবারও সরোয়ারকে বাঁচাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
আব্দুল্লাহর স্ত্রী প্রিয়া মনি জানান, প্রাইভেট কারটি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন ছিল এবং সেটি চালাতেন মানিক। রাতে ঈদের বাজার শেষে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফেরেননি।
সরোয়ার হোসেন বাবলা একসময় সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে পৃথক গ্রুপ গড়ে ওঠে। ছোট সাজ্জাদ ছিলেন সাজ্জাদের ডান হাত।
২০১১ সালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। ২০১৭ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে কাতারে চলে যান এবং সেখান থেকে চাঁদাবাজি চালাতেন বলে অভিযোগ ছিল। ২০২০ সালে দেশে ফিরে পুনরায় গ্রেপ্তার হন।
বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ারের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। গত বছর সরোয়ারের এক অনুসারী হত্যার ঘটনায় ছোট সাজ্জাদ প্রধান আসামি হন এবং মার্চ মাসে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন।
রবিবারের এই হত্যাকাণ্ড ছোট সাজ্জাদের অনুসারীদের প্রতিশোধ হিসেবে ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।