নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশের একটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌন করিবার দণ্ড’ সম্পর্কিত ধারাটি কেন বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
আবেদনে বলা হয়েছে, সংশোধিত এই ধারাটি সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করা হয়, যেখানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির দ্বৈত বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
গত মার্চ মাসে মাগুরায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে সরব হন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এসব প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ধর্ষণসহ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় করা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর উপদেষ্টা পরিষদ গত ২০ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দেয়, যেখানে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে পরে প্রতারণা করলে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়।
২৫ মার্চ আইনের সংশোধনী অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় সংশোধন এনে বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি দৈহিক বলপ্রয়োগ ব্যতীত বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন এবং যদি উক্ত ঘটনার সময় উক্ত ব্যক্তির সহিত উক্ত নারীর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।”
সংশোধিত এই ধারাটিরই বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এবং মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’।
রিট আবেদনকারী পক্ষের কৌঁসুলি ইশরাত হাসান বলেন, “দু’জন প্রাপ্তবয়ষ্ক নারী ও পুরুষ যদি পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং বিয়ে না করেন সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুরুষকে শাস্তি প্রদান করা অযৌক্তিক।
“কারণ ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে এ ধরনের শারীরিক সম্পর্কের জন্য নারী ও পুরুষ উভয়কেই শাস্তি দিতে। ফলে একজনকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ সংবিধানে সমতার কথা বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারী ও পুরুষ শারীরিক সম্পর্ক করলে তা অপরাধ নয়। অপরাধ তখনই সংঘটিত হবে যখন শারীরিক সম্পর্কের পরও বিয়ে করছে না। তাহলে কি ‘জেনাকে’ স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে এই আইনে? এজন্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটি বাতিল চেয়েছি রিটে।”
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশের একটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌন করিবার দণ্ড’ সম্পর্কিত ধারাটি কেন বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
আবেদনে বলা হয়েছে, সংশোধিত এই ধারাটি সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করা হয়, যেখানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির দ্বৈত বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
গত মার্চ মাসে মাগুরায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে সরব হন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এসব প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ধর্ষণসহ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় করা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর উপদেষ্টা পরিষদ গত ২০ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দেয়, যেখানে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে পরে প্রতারণা করলে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়।
২৫ মার্চ আইনের সংশোধনী অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় সংশোধন এনে বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি দৈহিক বলপ্রয়োগ ব্যতীত বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন এবং যদি উক্ত ঘটনার সময় উক্ত ব্যক্তির সহিত উক্ত নারীর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।”
সংশোধিত এই ধারাটিরই বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এবং মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’।
রিট আবেদনকারী পক্ষের কৌঁসুলি ইশরাত হাসান বলেন, “দু’জন প্রাপ্তবয়ষ্ক নারী ও পুরুষ যদি পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং বিয়ে না করেন সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুরুষকে শাস্তি প্রদান করা অযৌক্তিক।
“কারণ ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে এ ধরনের শারীরিক সম্পর্কের জন্য নারী ও পুরুষ উভয়কেই শাস্তি দিতে। ফলে একজনকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ সংবিধানে সমতার কথা বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারী ও পুরুষ শারীরিক সম্পর্ক করলে তা অপরাধ নয়। অপরাধ তখনই সংঘটিত হবে যখন শারীরিক সম্পর্কের পরও বিয়ে করছে না। তাহলে কি ‘জেনাকে’ স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে এই আইনে? এজন্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটি বাতিল চেয়েছি রিটে।”