সৌদি আরবের সদ্য বিদায় নেওয়া রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ বিন ঈসা আল দুহাইলানের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন।
দেওয়ান সমিরকে নিয়ে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হাতে আটক মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে এই চক্রের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় দেওয়ান সমিরকে সানজানা ম্যানপাওয়ার ও ‘কাওয়াই’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এবং প্রতারণা চক্রের একজন সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তে জানা যায়, তিনি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচ মিলিয়ন ডলার আদায়ের চেষ্টা করেন।
গত ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দেওয়ান সমিরের বাসায় অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ। রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় আরও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সমিরকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে মডেল মেঘনা আলমকে বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মেঘনা আলমকে আটক করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই তাকে ‘অপহরণ’ বা ‘গুম’ করা হয়েছে বলে দাবি করলেও পরে পুলিশ জানায়, আইন মেনেই তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
সৌদি দূতাবাসের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে একটি সংবাদমাধ্যমকে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা পরে প্রয়োজন হলে বক্তব্য দেবে।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
সৌদি আরবের সদ্য বিদায় নেওয়া রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ বিন ঈসা আল দুহাইলানের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন।
দেওয়ান সমিরকে নিয়ে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হাতে আটক মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে এই চক্রের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় দেওয়ান সমিরকে সানজানা ম্যানপাওয়ার ও ‘কাওয়াই’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এবং প্রতারণা চক্রের একজন সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তে জানা যায়, তিনি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচ মিলিয়ন ডলার আদায়ের চেষ্টা করেন।
গত ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দেওয়ান সমিরের বাসায় অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ। রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় আরও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সমিরকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে মডেল মেঘনা আলমকে বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মেঘনা আলমকে আটক করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই তাকে ‘অপহরণ’ বা ‘গুম’ করা হয়েছে বলে দাবি করলেও পরে পুলিশ জানায়, আইন মেনেই তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
সৌদি দূতাবাসের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে একটি সংবাদমাধ্যমকে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা পরে প্রয়োজন হলে বক্তব্য দেবে।