নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ-সংগৃহীত
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার নাম এসেছে।
গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটার পর রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বনানী থানা পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার জানান, পারভেজের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫–৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা আট আসামির মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীর নাম রয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন—মেহরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)।
নিহত পারভেজকে ছাত্রদলের কর্মী দাবি করে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “বনানী এলাকার উশৃঙ্খল যুবক মেহরাজ ইসলামের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়। তার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা।” তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের কর্মীকে হত্যার দায়ে দায়ীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ছাত্রদলের অভিযোগকে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি ফেইসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, "তুষার ও হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। ছাত্রদল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রমাণহীনভাবে আমাদের নেতাদের নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থী এবং নেতাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে।"
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব প্রচার চালানো হচ্ছে, সেগুলো কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যের ভিত্তিতে নয়। বরং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিজেই প্রকৃত আসামিদের আড়াল করছেন কি না, সে বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।
নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ-সংগৃহীত
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার নাম এসেছে।
গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটার পর রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বনানী থানা পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার জানান, পারভেজের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫–৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা আট আসামির মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীর নাম রয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন—মেহরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)।
নিহত পারভেজকে ছাত্রদলের কর্মী দাবি করে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “বনানী এলাকার উশৃঙ্খল যুবক মেহরাজ ইসলামের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়। তার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা।” তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের কর্মীকে হত্যার দায়ে দায়ীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ছাত্রদলের অভিযোগকে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি ফেইসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, "তুষার ও হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। ছাত্রদল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রমাণহীনভাবে আমাদের নেতাদের নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থী এবং নেতাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে।"
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব প্রচার চালানো হচ্ছে, সেগুলো কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যের ভিত্তিতে নয়। বরং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিজেই প্রকৃত আসামিদের আড়াল করছেন কি না, সে বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।