রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নিহতদের ছোট বোনের ছেলে গোলাম রব্বানী ওরফে তাজ (১৮)।
রোববার গভীর রাতে বরিশালের ঝালকাঠি সদর উপজেলার আছিয়ার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। এ বিষয়ে আজ সোমবার বিকেল ৪টায় মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
ডিবি ও মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম (৬০) ও তাঁর ছোট বোন সুফিয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত ও শিলনোড়ার আঘাতে হত্যা করা হয়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত রব্বানী টাকার জন্য খালাদের বাসায় যান। টাকা না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে দুই খালাকে হত্যা করেন। ঘটনার পর তিনি গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তারের সময় তাঁর আঙুলের ছাপ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, সিসিটিভিতে দেখা ব্যক্তি তিনিই। পুলিশ জানায়, রব্বানী মুঠোফোনে আসক্ত এবং আগ্রাসী আচরণের কারণে এক সময় স্কুল থেকেও বহিষ্কৃত হন।
নিহত মরিয়মের স্বামী বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা কাজী আলাউদ্দিন মিরপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রব্বানীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
ঘটনার সময় মরিয়মের স্বামী বরিশালে এবং মেয়ে নুসরাত জাহান অফিসে ছিলেন। নুসরাত বাসায় ফিরে কলিংবেল বাজালেও সাড়া না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে ঢুকে মাকে ডাইনিং রুমে এবং খালাকে শোয়ার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘরে রক্তমাখা ছুরি ও শিলনোড়া পড়ে ছিল। খাবারের টেবিলে তৈরি করা শরবতের পাশে ছিল তিনটি গ্লাস, যা ইঙ্গিত দেয়, ঘাতক ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
নুসরাত জানান, তাঁর মা অপরিচিত কাউকে বাসায় ঢুকতে দিতেন না। ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল এবং প্রধান ফটক প্রায়ই খোলা থাকত।
মরিয়ম ও সুফিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হিমঘরে রাখা হয়েছে। তাঁদের দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি বরিশালে নেওয়া হবে।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নিহতদের ছোট বোনের ছেলে গোলাম রব্বানী ওরফে তাজ (১৮)।
রোববার গভীর রাতে বরিশালের ঝালকাঠি সদর উপজেলার আছিয়ার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। এ বিষয়ে আজ সোমবার বিকেল ৪টায় মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
ডিবি ও মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম (৬০) ও তাঁর ছোট বোন সুফিয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত ও শিলনোড়ার আঘাতে হত্যা করা হয়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত রব্বানী টাকার জন্য খালাদের বাসায় যান। টাকা না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে দুই খালাকে হত্যা করেন। ঘটনার পর তিনি গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তারের সময় তাঁর আঙুলের ছাপ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, সিসিটিভিতে দেখা ব্যক্তি তিনিই। পুলিশ জানায়, রব্বানী মুঠোফোনে আসক্ত এবং আগ্রাসী আচরণের কারণে এক সময় স্কুল থেকেও বহিষ্কৃত হন।
নিহত মরিয়মের স্বামী বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা কাজী আলাউদ্দিন মিরপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রব্বানীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
ঘটনার সময় মরিয়মের স্বামী বরিশালে এবং মেয়ে নুসরাত জাহান অফিসে ছিলেন। নুসরাত বাসায় ফিরে কলিংবেল বাজালেও সাড়া না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে ঢুকে মাকে ডাইনিং রুমে এবং খালাকে শোয়ার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘরে রক্তমাখা ছুরি ও শিলনোড়া পড়ে ছিল। খাবারের টেবিলে তৈরি করা শরবতের পাশে ছিল তিনটি গ্লাস, যা ইঙ্গিত দেয়, ঘাতক ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
নুসরাত জানান, তাঁর মা অপরিচিত কাউকে বাসায় ঢুকতে দিতেন না। ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল এবং প্রধান ফটক প্রায়ই খোলা থাকত।
মরিয়ম ও সুফিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হিমঘরে রাখা হয়েছে। তাঁদের দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি বরিশালে নেওয়া হবে।