ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি নির্মম শিশু ধর্ষণের মামলায় আসামি সজীব বেপারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সজীব বেপারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। এই জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাগারে থাকতে হবে। আদালত ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে, আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে জরিমানার টাকা ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য।
২০২০ সালের ৫ মে ঘটনাটি ঘটে। সেদিন ভিকটিম শিশুটির বাবা রিকশা চালক হিসেবে কাজে বের হন, আর মা গৃহকর্মী হিসেবে বাইরে যান। দুপুরে সজীব শিশুটিকে এবং তার দুই বছরের ভাইকে তাদের বাসার সামনে থেকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটির কান্না শুনে সজীব তাদের বাসা থেকে বের করে দেয়।
পরিবারের কাছে ঘটনা জানানোর পর ১৩ মে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এরপর শিশুটির বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সজীবকে গ্রেফতার করে।
আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় মালো ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচার চলাকালে সাত জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক সজীবকে দোষী সাব্যস্ত করে কঠোর শাস্তির রায় দেন।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি নির্মম শিশু ধর্ষণের মামলায় আসামি সজীব বেপারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সজীব বেপারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। এই জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাগারে থাকতে হবে। আদালত ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে, আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে জরিমানার টাকা ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য।
২০২০ সালের ৫ মে ঘটনাটি ঘটে। সেদিন ভিকটিম শিশুটির বাবা রিকশা চালক হিসেবে কাজে বের হন, আর মা গৃহকর্মী হিসেবে বাইরে যান। দুপুরে সজীব শিশুটিকে এবং তার দুই বছরের ভাইকে তাদের বাসার সামনে থেকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটির কান্না শুনে সজীব তাদের বাসা থেকে বের করে দেয়।
পরিবারের কাছে ঘটনা জানানোর পর ১৩ মে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এরপর শিশুটির বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সজীবকে গ্রেফতার করে।
আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় মালো ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচার চলাকালে সাত জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক সজীবকে দোষী সাব্যস্ত করে কঠোর শাস্তির রায় দেন।