কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে নির্যাতন ও সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন শাহ পরাণ—ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীরই ছোট ভাই।
র্যাব বলছে, ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে শাহ পরাণ এই ‘মব তৈরি’ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অপকর্মের ছক কষেন।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন শুক্রবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শাহ পরাণকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
তিনি বলেন, “শাহ পরাণই ছিল মুরাদনগরের ঘটনায় মব গঠনের কারিগর, প্রধান উসকানিদাতা ও পরিকল্পনাকারী।”
র্যাব জানায়, এক বছর ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্যক্ত করছিলেন ফজর আলী ও শাহ পরাণ দুই ভাইই। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এবং মাস দুই আগে গ্রামে তাদের নিয়ে একটি সালিশ বসে, যেখানে শাহ পরাণ হেনস্তা হন। ওই অপমানের প্রতিশোধ নিতে তিনি বড় ভাইকে ফাঁসাতে পরিকল্পনা করেন এবং ভিকটিমের ঘরে প্রবেশের সময় জানিয়ে তার অনুসারীদের সেখানে পাঠান। তারা ঘরে ঢুকে ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে এবং সেই ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়।
গ্রেপ্তার শাহ পরাণ একটি সিএনজি চালকের পেশায় থাকলেও তার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা র্যাব পায়নি। তার পাঠানো ইমো বার্তার সূত্র ধরেই এই পরিকল্পনার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। ওই মেসেজে তার লোকজনকে বলা হয়েছিল, “ওইদিন যাবে, তোমরা যদি ধরতে চাও ধরতে পার।”
এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আরও চারজন—সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক—গ্রেপ্তার হয়ে তিন দিনের রিমান্ডে আছেন।
র্যাব জানিয়েছে, এখনো কয়েকজন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে নির্যাতন ও সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন শাহ পরাণ—ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীরই ছোট ভাই।
র্যাব বলছে, ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে শাহ পরাণ এই ‘মব তৈরি’ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অপকর্মের ছক কষেন।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন শুক্রবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শাহ পরাণকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
তিনি বলেন, “শাহ পরাণই ছিল মুরাদনগরের ঘটনায় মব গঠনের কারিগর, প্রধান উসকানিদাতা ও পরিকল্পনাকারী।”
র্যাব জানায়, এক বছর ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্যক্ত করছিলেন ফজর আলী ও শাহ পরাণ দুই ভাইই। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এবং মাস দুই আগে গ্রামে তাদের নিয়ে একটি সালিশ বসে, যেখানে শাহ পরাণ হেনস্তা হন। ওই অপমানের প্রতিশোধ নিতে তিনি বড় ভাইকে ফাঁসাতে পরিকল্পনা করেন এবং ভিকটিমের ঘরে প্রবেশের সময় জানিয়ে তার অনুসারীদের সেখানে পাঠান। তারা ঘরে ঢুকে ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে এবং সেই ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়।
গ্রেপ্তার শাহ পরাণ একটি সিএনজি চালকের পেশায় থাকলেও তার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা র্যাব পায়নি। তার পাঠানো ইমো বার্তার সূত্র ধরেই এই পরিকল্পনার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। ওই মেসেজে তার লোকজনকে বলা হয়েছিল, “ওইদিন যাবে, তোমরা যদি ধরতে চাও ধরতে পার।”
এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আরও চারজন—সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক—গ্রেপ্তার হয়ে তিন দিনের রিমান্ডে আছেন।
র্যাব জানিয়েছে, এখনো কয়েকজন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।