প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
গেজেটে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের সই রয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য আদালতের নির্দেশনা ছিল। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২০ জুলাই এসব মামলার তারিখ ধার্য রয়েছে। ওই তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির না হলে আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
গেজেটে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন এবং তাদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নেই।
১৯৫৮ সালের ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা উল্লেখ করে গেজেটে আরও বলা হয়, পরের ধার্য তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির না হলে আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচার সম্পন্ন করা হবে।
যাদের বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশ হয়েছে, তাদের মধ্যে শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
২৩ জনের মধ্যে জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার।
এছাড়া রয়েছেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, সাবেক উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি ভারতে পালিয়ে যান। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশের বাইরে চলে যান।
তাদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ডিসেম্বরে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরে কয়েক ধাপে ছয়টি মামলা করা হয়।
এসব মামলার অভিযোগপত্রও দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
গেজেটে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের সই রয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য আদালতের নির্দেশনা ছিল। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২০ জুলাই এসব মামলার তারিখ ধার্য রয়েছে। ওই তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির না হলে আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
গেজেটে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন এবং তাদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নেই।
১৯৫৮ সালের ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা উল্লেখ করে গেজেটে আরও বলা হয়, পরের ধার্য তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির না হলে আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচার সম্পন্ন করা হবে।
যাদের বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশ হয়েছে, তাদের মধ্যে শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
২৩ জনের মধ্যে জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার।
এছাড়া রয়েছেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, সাবেক উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি ভারতে পালিয়ে যান। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশের বাইরে চলে যান।
তাদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ডিসেম্বরে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরে কয়েক ধাপে ছয়টি মামলা করা হয়।
এসব মামলার অভিযোগপত্রও দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।