ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ব্যারাকে সহকর্মী নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগে কনস্টেবল সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার এসআই জুলফিকার আলী পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতে আসামির কাঠগড়ায় এক কোণায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সাফিউর। তার পক্ষে আইনজীবী না থাকায় ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ তার বক্তব্য শুনতে চান। এক বছর আগে বিয়ে করা এই কনস্টেবল আদালতে বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সহকর্মীকে বিয়ে করে সংসার করতে চান তিনি। আদালত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাফিউরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন থেকে ৩০ বছর বয়সী সাফিউরকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তার আগে মঙ্গলবার থানার ওসির কাছে একজন নারী কনস্টেবল সহকর্মী সাফিউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেওয়ার পর থেকে সাফিউর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি বিষয়টি জানার পর উভয় পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন এবং তদন্তের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে সাফিউরের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার ওই নারী কনস্টেবল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। শনিবার আদালতে হাজির করার পর রিমান্ড শুনানিতে বিচারক সাফিউরের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। সামনে আসতেই তিনি জানান, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তিনি বিয়ে করবেন। আদালত জানতে চান, আগে বিয়ে করেছেন কি না। জবাবে সাফিউর বলেন, গ্রামের বাড়িতে এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।
স্ত্রীকে রেখে আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্ক কেন—বিচারকের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী ওই সহকর্মীকেও বিয়ে করবেন। তখন আদালত বলেন, অভিযোগকারী মামলা দিয়েছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান করতে হবে। বিচারক আরও মন্তব্য করেন, “বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন রোববার ধার্য করে সাফিউরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলায় নারী কনস্টেবল অভিযোগ করেছেন, ১৫ অগাস্ট রাত আড়াইটা থেকে ৪টার মধ্যে থানার ভবনের দ্বিতীয় তলায় নারী ব্যারাকে তার শয়নকক্ষে সাফিউর তাকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া বিগত পাঁচ মাসে সপ্তাহে দুইবার করে তাকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও নিজের আইফোনে ধারণ করেন সাফিউর। এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ব্যারাকে সহকর্মী নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগে কনস্টেবল সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার এসআই জুলফিকার আলী পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতে আসামির কাঠগড়ায় এক কোণায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সাফিউর। তার পক্ষে আইনজীবী না থাকায় ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ তার বক্তব্য শুনতে চান। এক বছর আগে বিয়ে করা এই কনস্টেবল আদালতে বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সহকর্মীকে বিয়ে করে সংসার করতে চান তিনি। আদালত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাফিউরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন থেকে ৩০ বছর বয়সী সাফিউরকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তার আগে মঙ্গলবার থানার ওসির কাছে একজন নারী কনস্টেবল সহকর্মী সাফিউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেওয়ার পর থেকে সাফিউর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি বিষয়টি জানার পর উভয় পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন এবং তদন্তের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে সাফিউরের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার ওই নারী কনস্টেবল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। শনিবার আদালতে হাজির করার পর রিমান্ড শুনানিতে বিচারক সাফিউরের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। সামনে আসতেই তিনি জানান, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তিনি বিয়ে করবেন। আদালত জানতে চান, আগে বিয়ে করেছেন কি না। জবাবে সাফিউর বলেন, গ্রামের বাড়িতে এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।
স্ত্রীকে রেখে আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্ক কেন—বিচারকের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী ওই সহকর্মীকেও বিয়ে করবেন। তখন আদালত বলেন, অভিযোগকারী মামলা দিয়েছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান করতে হবে। বিচারক আরও মন্তব্য করেন, “বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন রোববার ধার্য করে সাফিউরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলায় নারী কনস্টেবল অভিযোগ করেছেন, ১৫ অগাস্ট রাত আড়াইটা থেকে ৪টার মধ্যে থানার ভবনের দ্বিতীয় তলায় নারী ব্যারাকে তার শয়নকক্ষে সাফিউর তাকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া বিগত পাঁচ মাসে সপ্তাহে দুইবার করে তাকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও নিজের আইফোনে ধারণ করেন সাফিউর। এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।