হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ কেজি কোকেনসহ গায়ানার একজন যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গভীররাতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেছে।
উদ্ধারকৃত কোকেনের মূল্য ১৩০ কোটি বলে দাবি করছেন শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা
বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর -ওসি বিমানবন্দর
তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত কোকেনের মূল্য প্রায় ১৩০ কোটি টাকা হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকবদের জানিয়েছেন। কোকেনের এ চালান এই সময়ের সবচেয়ে বড় চালান। যার ওজন ৮ কেজি ৬৬০ গ্রাম।
মঙ্গলবার,(২৬ আগস্ট ২০২৫) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার গভীররাতে শুল্ক গোয়েন্দার ডিজির কাছে গোপন খবর আসে।
দোহা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ ঢাকায় আসছে। ওই বিমানে থাকা যাত্রী মাদক চোরাচালানে সম্পৃক্ত থাকতে পারে? এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ রাতেই বিমানবন্দরে সতর্ক অবস্থান নেয়।
রাত আড়াইটার দিকে ওই বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সন্দেহভাজন যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করেন।
এরপর গোয়েন্দা সংস্থা গায়ানার যাত্রী পেতুলা স্টাফলর ব্যাগেজ স্ক্যানিং করেন। ব্যাগেজে ২২টি ডিম্বাকৃতির ফয়েল পেপারে মোড়ানো কোকেন দেখতে পান।
এরপর বিমানবন্দরে উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ কোকেন উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিমানবন্দর ইউনিটের পরীক্ষায় তাৎক্ষণিকভাবে কোকেন বলে প্রমাণিত হয়। কোকেনসহ পেতুলা স্টাফলকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, মাদকসহ আটক গায়ানার এই নারী ২০১৮ সালে নিজ দেশে একবার কোকেনসহ ধরা পড়েছে। কোকেন পাচারের অভিযোগে তাকে ৪ বছরের জেল ও ২ পয়েন্ট ৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা হয়েছে। ওই সময় সে আদালতে দোষ স্বীকার করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যে এমন কাজ সে আর করবে না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আবার কোকেনসহ বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর গায়ানার চেদ্দি জাগান
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ দশমিক ১৪২ কেজি (২ দশমিক ৫ পাউন্ড) কোকেনসহ ধরা পড়েছিল স্টফেল।
দোষ স্বীকার করে নিলে আদালত তাকে চার বছরের কারাদ- ও ২৩ লাখ ডলার জরিমানা করেছে। ওই সময় গায়না থেকে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার পথেই আটক হয় গায়নার এই নারী। এইবার কাতারের দোহা থেকে ঢাকায় পৌঁছে সে কোকেনসহ ধরা পড়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের ৬ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে সংযুক্ত হলে ওই সময় বিমানের যাত্রীর আসন নম্বর ৩০-এ গিয়ে ক্যারেন পেটুলা স্টফেলর পরিচজয় নিশ্চিত করা হয়। আর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করার পর তার ব্যাগেজ স্ক্যান করা হয়।
পেটুলা স্টাফলর লাগেজে প্লাস্টিকের তিনটি জার পাওয়া যায়। জারের ভেতর ২২টি ডিম্বাকৃতির ফয়েলে মোড়ানো ছিল কোকেন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানার নাগরিক ক্যারেন পেটুয়া স্টাফল (৬৩) পেশায় একজন হেয়ারড্রেসার।
আগে কোকেনসহ ধরা পড়ার তথ্য স্ট্যাব্রোয়েত নিউজ নামের একটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে।
ওই সময় আটক করার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওষুধ খাওয়ানোর পর তার মলের সঙ্গে ১শ’টি কোকেন ভর্তি ক্যাপসুল বেরিয়ে আসে। সেগুলোর ওজন ছিল ৯২৮ গ্রাম। সব মিলিয়ে ওই সময় তার কাছ থেকে ১ দশমিক ১৪২ কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়। এর সাত বছর পর আবার মাদক পাচারের ফিরে আসে। ধরা পড়লো বাংলাদেশে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিমানবন্দর থানার ওসি তাছলিমা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকে জানান, কোকেনসহ গ্রেপ্তারকৃত বিদেশি নাগরিককে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ কেজি কোকেনসহ গায়ানার একজন যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গভীররাতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেছে।
উদ্ধারকৃত কোকেনের মূল্য ১৩০ কোটি বলে দাবি করছেন শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা
বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর -ওসি বিমানবন্দর
তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত কোকেনের মূল্য প্রায় ১৩০ কোটি টাকা হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকবদের জানিয়েছেন। কোকেনের এ চালান এই সময়ের সবচেয়ে বড় চালান। যার ওজন ৮ কেজি ৬৬০ গ্রাম।
মঙ্গলবার,(২৬ আগস্ট ২০২৫) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার গভীররাতে শুল্ক গোয়েন্দার ডিজির কাছে গোপন খবর আসে।
দোহা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ ঢাকায় আসছে। ওই বিমানে থাকা যাত্রী মাদক চোরাচালানে সম্পৃক্ত থাকতে পারে? এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ রাতেই বিমানবন্দরে সতর্ক অবস্থান নেয়।
রাত আড়াইটার দিকে ওই বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সন্দেহভাজন যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করেন।
এরপর গোয়েন্দা সংস্থা গায়ানার যাত্রী পেতুলা স্টাফলর ব্যাগেজ স্ক্যানিং করেন। ব্যাগেজে ২২টি ডিম্বাকৃতির ফয়েল পেপারে মোড়ানো কোকেন দেখতে পান।
এরপর বিমানবন্দরে উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ কোকেন উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিমানবন্দর ইউনিটের পরীক্ষায় তাৎক্ষণিকভাবে কোকেন বলে প্রমাণিত হয়। কোকেনসহ পেতুলা স্টাফলকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, মাদকসহ আটক গায়ানার এই নারী ২০১৮ সালে নিজ দেশে একবার কোকেনসহ ধরা পড়েছে। কোকেন পাচারের অভিযোগে তাকে ৪ বছরের জেল ও ২ পয়েন্ট ৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা হয়েছে। ওই সময় সে আদালতে দোষ স্বীকার করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যে এমন কাজ সে আর করবে না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আবার কোকেনসহ বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর গায়ানার চেদ্দি জাগান
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ দশমিক ১৪২ কেজি (২ দশমিক ৫ পাউন্ড) কোকেনসহ ধরা পড়েছিল স্টফেল।
দোষ স্বীকার করে নিলে আদালত তাকে চার বছরের কারাদ- ও ২৩ লাখ ডলার জরিমানা করেছে। ওই সময় গায়না থেকে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার পথেই আটক হয় গায়নার এই নারী। এইবার কাতারের দোহা থেকে ঢাকায় পৌঁছে সে কোকেনসহ ধরা পড়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের ৬ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে সংযুক্ত হলে ওই সময় বিমানের যাত্রীর আসন নম্বর ৩০-এ গিয়ে ক্যারেন পেটুলা স্টফেলর পরিচজয় নিশ্চিত করা হয়। আর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করার পর তার ব্যাগেজ স্ক্যান করা হয়।
পেটুলা স্টাফলর লাগেজে প্লাস্টিকের তিনটি জার পাওয়া যায়। জারের ভেতর ২২টি ডিম্বাকৃতির ফয়েলে মোড়ানো ছিল কোকেন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানার নাগরিক ক্যারেন পেটুয়া স্টাফল (৬৩) পেশায় একজন হেয়ারড্রেসার।
আগে কোকেনসহ ধরা পড়ার তথ্য স্ট্যাব্রোয়েত নিউজ নামের একটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে।
ওই সময় আটক করার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওষুধ খাওয়ানোর পর তার মলের সঙ্গে ১শ’টি কোকেন ভর্তি ক্যাপসুল বেরিয়ে আসে। সেগুলোর ওজন ছিল ৯২৮ গ্রাম। সব মিলিয়ে ওই সময় তার কাছ থেকে ১ দশমিক ১৪২ কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়। এর সাত বছর পর আবার মাদক পাচারের ফিরে আসে। ধরা পড়লো বাংলাদেশে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিমানবন্দর থানার ওসি তাছলিমা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকে জানান, কোকেনসহ গ্রেপ্তারকৃত বিদেশি নাগরিককে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।