বাংলাদেশে বিট কয়েন প্রতারক চক্রের মূল হোতা রায়হান হোসেন ওরফে রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সফিপুর দক্ষিণপাড়া আতর আলীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব বলছে, আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে গত এক মাসে ৩৫ হাজার ইউএস ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযানে তার কাছ থেকে ১৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ২২টি সিমকার্ড, ২৫ ইউএস ডলারসহ ১ হাজার ২৭৫ টাকা, একটি কম্পিউটার, ৩টি মোবাইল ফোন, ৩টি ভুয়া চালান বই, একটি ট্রেড লাইসেন্স, একটি টিন সার্টিফিকেট, একটি রেকর্ডিং মাইক্রোফোন, একটি ক্যামেরা, একটি রাউটার, একটি হেডফোন, একটি মডেম, বিভিন্ন ব্যাংকের ৪টি চেক বই উদ্ধার করা হয়েেেছ।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, অনলাইনে নিষিদ্ধ বিট কয়েন (ভার্চুয়াল মুদ্রা) কেনাবেচা ও প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড গেপ্তার রায়হান সম্প্রতি ১ কোটি ৭ লাখ টাকা মূল্যের ওডি গাড়ি কিনেছেন। মাত্র এক মাসে তার অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ ইউএন ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। রায়হানের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। ২০০৬ সালে কম্পিউটারের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে রায়হান। এরপর ২০১১ সাল থেকে ওয়েব ডেভেলপিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি পরিচালনা করে আসছে।
২০২০ সালের জুন থেকে পাকিস্তানি নাগরিক সাইদের সহায়তায় বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা করে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে। অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে বিভিন্ন দেশের গ্রাহকের সঙ্গে অবৈধ বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা শুরু করে। সে পাকিস্তান, নাইজেরিয়া এবং রাশিয়ান স্মাগলার, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকার ও বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধ পাচারকারীদের যোগসাজসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। সে ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং এর মাধ্যমে বিট কয়েন ক্রয় করে। স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশি এবং বিদেশি অনলাইন ব্যাংক হিসাব তদারকি করে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ইউএস ডলার হাতিয়ে নিয়েছে রায়হান।
প্রতারক রায়হান এমআরএইচ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট নামে একটি কোম্পানির পরিচয় দিয়ে দেশে একাধিক ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে বিট কয়েন মাধ্যমের বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার ২৫০টি বিট কয়েন অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। ৮ম শ্রেণী পাশ রায়হান নিজেই পরিচয়পত্র তৈরি করত। গত ৮ বছর ধরে সে অনলাইন সোর্সিং ব্যবসা করে আসছে। রায়হান বিট কয়েনের মাধ্যমে সাধারণ লোকজনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণাসহ মানি লন্ডারিং, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং ও বিপুল অংকের বিট কয়েন লেনদেন করেছে। বাংলাদেশে অবৈধ বিট কয়েনের শেকড় গাড়তে দেয়া হবে না বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা তোফায়েল।
বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১
বাংলাদেশে বিট কয়েন প্রতারক চক্রের মূল হোতা রায়হান হোসেন ওরফে রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সফিপুর দক্ষিণপাড়া আতর আলীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব বলছে, আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে গত এক মাসে ৩৫ হাজার ইউএস ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযানে তার কাছ থেকে ১৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ২২টি সিমকার্ড, ২৫ ইউএস ডলারসহ ১ হাজার ২৭৫ টাকা, একটি কম্পিউটার, ৩টি মোবাইল ফোন, ৩টি ভুয়া চালান বই, একটি ট্রেড লাইসেন্স, একটি টিন সার্টিফিকেট, একটি রেকর্ডিং মাইক্রোফোন, একটি ক্যামেরা, একটি রাউটার, একটি হেডফোন, একটি মডেম, বিভিন্ন ব্যাংকের ৪টি চেক বই উদ্ধার করা হয়েেেছ।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, অনলাইনে নিষিদ্ধ বিট কয়েন (ভার্চুয়াল মুদ্রা) কেনাবেচা ও প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড গেপ্তার রায়হান সম্প্রতি ১ কোটি ৭ লাখ টাকা মূল্যের ওডি গাড়ি কিনেছেন। মাত্র এক মাসে তার অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ ইউএন ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। রায়হানের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। ২০০৬ সালে কম্পিউটারের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে রায়হান। এরপর ২০১১ সাল থেকে ওয়েব ডেভেলপিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি পরিচালনা করে আসছে।
২০২০ সালের জুন থেকে পাকিস্তানি নাগরিক সাইদের সহায়তায় বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা করে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে। অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে বিভিন্ন দেশের গ্রাহকের সঙ্গে অবৈধ বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা শুরু করে। সে পাকিস্তান, নাইজেরিয়া এবং রাশিয়ান স্মাগলার, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকার ও বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধ পাচারকারীদের যোগসাজসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। সে ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং এর মাধ্যমে বিট কয়েন ক্রয় করে। স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশি এবং বিদেশি অনলাইন ব্যাংক হিসাব তদারকি করে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ইউএস ডলার হাতিয়ে নিয়েছে রায়হান।
প্রতারক রায়হান এমআরএইচ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট নামে একটি কোম্পানির পরিচয় দিয়ে দেশে একাধিক ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে বিট কয়েন মাধ্যমের বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার ২৫০টি বিট কয়েন অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। ৮ম শ্রেণী পাশ রায়হান নিজেই পরিচয়পত্র তৈরি করত। গত ৮ বছর ধরে সে অনলাইন সোর্সিং ব্যবসা করে আসছে। রায়হান বিট কয়েনের মাধ্যমে সাধারণ লোকজনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণাসহ মানি লন্ডারিং, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং ও বিপুল অংকের বিট কয়েন লেনদেন করেছে। বাংলাদেশে অবৈধ বিট কয়েনের শেকড় গাড়তে দেয়া হবে না বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা তোফায়েল।