মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের পানি সাপ্লাই প্রকল্প নিয়ে নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও, উত্তর শাহাপুর,মিরপুর, মিরেরগাঁও (আংশিক) বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সাপ্লায়ের পানি সংযোগ দেওয়া হয়। হাজী কেরামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত টাংকিতে পাইপ এর মাধ্যমে উক্ত চারটি গ্রামে ৫০০গ্রাহকের কাছে পানি সরবরাহ করা হয়। পানি পান করার সহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা থাকলেও তা করতে পারছেনা ভুক্তভোগীরা। যার জন্য গ্রাহককে প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে বিল পরিশোধ করতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ময়লা থাকার কারণে পানি পান করা তো দূরের কথা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের অনুপযোগী। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পানি সাপ্লায়ের সরবরাহের ব্যবহৃত পাইপ নিম্নমানের হওয়ায় এবং ইন্সটলেশন কাজে ত্রুটি থাকায় লাইনে অনেক ছিদ্র আছে যার কারণে বাইরে ময়লা সহজেই ভিতরে ঢুকে পড়ছে। এ ছাড়া লাইনে সংযোগ ফি ১৫০ টাকা নেওয়ার থাকলেও তা নিচ্ছেন ২০০ টাকা করে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন অনেকের কাছ থেকে কোন ফি নেওয়া হয় না। এছাড়া নতুন সংযোগের জন্য দীর্ঘ সময় গ্রাহকদের ভোগান্তি এলাকা মানুষগুলোর মধ্যে আছে। সাপ্লাইয়ের পানি থাকার কারণে বর্তমানে এই চারটি গ্রামে পাবলিক হেলথ থেকে আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল দেওয়া হয় না।
গজারিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বাবুল মিয়া মুঠোফোনে জানান যে সে এ বিষয়ে অবগত নন। যদি আমাকে বিষয়টি সম্পর্কে মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করতো তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের যথাসম্ভব চেষ্টা করতাম। টেঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মাষ্টার বলেন, ভুক্তভোগীরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে আমি প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে পরিষদের ডেকে আলোচনা করেছি। তারা বলেন দ্রুত সমাধান করবেন। প্রকল্প কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান বলেন, দুটি পানির পাম্প বসানো হয়েছে একটি পানির পাম্প মোটামুটি ভালো হলেও অন্যটির পানি খুবই খারাপ। উত্তর সাহাপুর গ্রামের আব্দুল কাদির মোল্লা বলেন আমাদের গ্রামের একটি সাপ্লাই পানির লাইন আছে কিন্তু এই লাইনের পানি খুবই খারাপ পানির সাথে ময়লা পাওয়া যায় আমরা এই পানি পান করতে পারতেছিনা। কতৃপক্ষের নিকট বার বার যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না আমরা । ঠিকাদার মোঃ ওমর ফারুক বলেন কাজে কিছু ভুল থাকতে পারে আমাদের অনেক টাকা বকেয়া পড়েছে গ্রাহকদের নিকট থেকে বিল তুলতে পারলে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া যাবে ।
মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের পানি সাপ্লাই প্রকল্প নিয়ে নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও, উত্তর শাহাপুর,মিরপুর, মিরেরগাঁও (আংশিক) বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সাপ্লায়ের পানি সংযোগ দেওয়া হয়। হাজী কেরামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত টাংকিতে পাইপ এর মাধ্যমে উক্ত চারটি গ্রামে ৫০০গ্রাহকের কাছে পানি সরবরাহ করা হয়। পানি পান করার সহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা থাকলেও তা করতে পারছেনা ভুক্তভোগীরা। যার জন্য গ্রাহককে প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে বিল পরিশোধ করতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ময়লা থাকার কারণে পানি পান করা তো দূরের কথা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের অনুপযোগী। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পানি সাপ্লায়ের সরবরাহের ব্যবহৃত পাইপ নিম্নমানের হওয়ায় এবং ইন্সটলেশন কাজে ত্রুটি থাকায় লাইনে অনেক ছিদ্র আছে যার কারণে বাইরে ময়লা সহজেই ভিতরে ঢুকে পড়ছে। এ ছাড়া লাইনে সংযোগ ফি ১৫০ টাকা নেওয়ার থাকলেও তা নিচ্ছেন ২০০ টাকা করে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন অনেকের কাছ থেকে কোন ফি নেওয়া হয় না। এছাড়া নতুন সংযোগের জন্য দীর্ঘ সময় গ্রাহকদের ভোগান্তি এলাকা মানুষগুলোর মধ্যে আছে। সাপ্লাইয়ের পানি থাকার কারণে বর্তমানে এই চারটি গ্রামে পাবলিক হেলথ থেকে আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল দেওয়া হয় না।
গজারিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বাবুল মিয়া মুঠোফোনে জানান যে সে এ বিষয়ে অবগত নন। যদি আমাকে বিষয়টি সম্পর্কে মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করতো তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের যথাসম্ভব চেষ্টা করতাম। টেঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মাষ্টার বলেন, ভুক্তভোগীরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে আমি প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে পরিষদের ডেকে আলোচনা করেছি। তারা বলেন দ্রুত সমাধান করবেন। প্রকল্প কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান বলেন, দুটি পানির পাম্প বসানো হয়েছে একটি পানির পাম্প মোটামুটি ভালো হলেও অন্যটির পানি খুবই খারাপ। উত্তর সাহাপুর গ্রামের আব্দুল কাদির মোল্লা বলেন আমাদের গ্রামের একটি সাপ্লাই পানির লাইন আছে কিন্তু এই লাইনের পানি খুবই খারাপ পানির সাথে ময়লা পাওয়া যায় আমরা এই পানি পান করতে পারতেছিনা। কতৃপক্ষের নিকট বার বার যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না আমরা । ঠিকাদার মোঃ ওমর ফারুক বলেন কাজে কিছু ভুল থাকতে পারে আমাদের অনেক টাকা বকেয়া পড়েছে গ্রাহকদের নিকট থেকে বিল তুলতে পারলে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া যাবে ।