কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সুজানগর এলাকায় কাউন্সিলর সোহেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মো. সুমনের বাড়ি কাউন্সিলরের এলাকায়।
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, কুমিল্লা শহরের সুজানগর এলাকার কানু মিয়ার ছেলে সুমন এজাহারে উল্লিখিত ৪ নম্বর আসামি। সকালে কুচাইতলীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন সুমন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলাটি করেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, ‘রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে এজহারে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে কী আছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
তবে বাদী সৈয়দ মো. রুমন বলেন, “মাদকবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এজাহারে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।”
এজাহারে যে ১১ জনের নাম এসেছে, তাদের প্রথমেই আছেন কুমিল্লা শহরের সুজানগর এলাকার জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২৮), যার বিরুদ্ধে মাদকের কারবারসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে থানায়।
তিনি দাবি করেন, গুলিবিদ্ধ হরিপদ সাহাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শাহ আলমকে ‘চিনতে পারার কথা’ বলে গেছেন।
নাম উল্লেখ করা বাকি আসামিরা হলেন: স্থানীয় রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন (২৮), কানু মিয়ার ছেলে সুমন (৩২), নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, কানাই মিয়ার ছেলে রনি (৩২), নবগ্রাম এলাকার সোহেল ওরফে জেল সোহেল (২৮), সায়মন (৩০), সংরাইস এলাকার সাজন (৩২), মাসুম (৩৫) তেলিকোনা এলাকার আশিকুর রহমান রকি (৩২) ও সুজানগর বৌবাজার এলাকার আলম (৩৫)।
নিজ কার্যালয়ে গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ দাসের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বাদ জোহর পাথরিয়াপাড়া কবরস্থানে কাউন্সিলর সোহেলকে দাফন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাথুরীয়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল।
স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সুজানগর এলাকায় কাউন্সিলর সোহেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মো. সুমনের বাড়ি কাউন্সিলরের এলাকায়।
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, কুমিল্লা শহরের সুজানগর এলাকার কানু মিয়ার ছেলে সুমন এজাহারে উল্লিখিত ৪ নম্বর আসামি। সকালে কুচাইতলীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন সুমন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলাটি করেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, ‘রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে এজহারে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে কী আছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
তবে বাদী সৈয়দ মো. রুমন বলেন, “মাদকবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এজাহারে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।”
এজাহারে যে ১১ জনের নাম এসেছে, তাদের প্রথমেই আছেন কুমিল্লা শহরের সুজানগর এলাকার জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২৮), যার বিরুদ্ধে মাদকের কারবারসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে থানায়।
তিনি দাবি করেন, গুলিবিদ্ধ হরিপদ সাহাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শাহ আলমকে ‘চিনতে পারার কথা’ বলে গেছেন।
নাম উল্লেখ করা বাকি আসামিরা হলেন: স্থানীয় রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন (২৮), কানু মিয়ার ছেলে সুমন (৩২), নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, কানাই মিয়ার ছেলে রনি (৩২), নবগ্রাম এলাকার সোহেল ওরফে জেল সোহেল (২৮), সায়মন (৩০), সংরাইস এলাকার সাজন (৩২), মাসুম (৩৫) তেলিকোনা এলাকার আশিকুর রহমান রকি (৩২) ও সুজানগর বৌবাজার এলাকার আলম (৩৫)।
নিজ কার্যালয়ে গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ দাসের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বাদ জোহর পাথরিয়াপাড়া কবরস্থানে কাউন্সিলর সোহেলকে দাফন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাথুরীয়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল।
স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।