পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক বাড়িতে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ৪ শিশুসহ সবাইকে অচেতন করে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। তাদের সবাইকে বৃহস্পতিবার দুপুরে অচেতন অবস্থায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।
অচেতন ব্যক্তিরা হলেন- ঝাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল খায়ের ব্যাপারি (৪৫), তার স্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ বেগম (৪০), দুই ছেলে-তামিম (১২) ও সানাউল্লাহ (১০), ভাতিজা মাহমুদ(১৪), ভাতিজী রাবেয়া (২১) ও ভায়রার মেয়ে মারিয়া (১৩)।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় চোর চক্রের সদস্যরা বাইরে থেকে জানালার ফাক দিয়ে খাবারের মধ্যে চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে রাখে। পরে পরিবারের সকলে সেই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মধ্যরাতের দিকে পিছনের দরজা ভেঙ্গে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। এসময় শিক্ষক আবুল খায়েরের মেজ ভাইয়ের স্ত্রী (তিনি খাবার খাননি) লাইটের আলো দেখতে পেয়ে ডাক দিলে চোরেরা তার মুখ চেপে ধরে। পরে তিনি ডাকচিৎকার দিলে চোরেরা পালিয়ে যায়। পরে তিনিও প্রতিদিনের ন্যায় স্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে বাসার সবাইকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন। পরে বেলা গড়িয়ে গেলেও কেউ ঘুম থেকে না ওঠাও এবং পিছনের দরজা ভাঙা দেখে তারা বুঝতে পারেন বাসায় চুরি হয়েছে। পরে এলাকাবাসী অচেতন ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামসুল ইসলাম সোহেল বলেন, হাসপাতালে ভর্তি ৭ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা একটু স্থিতিশীল। তাদের পূর্বের কোন রোগ না থাকলে সমস্যা হবে না। আমরা মনে করছি তাদের ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। আশা করি সকলেই ২-৩ দিনের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক বাড়িতে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ৪ শিশুসহ সবাইকে অচেতন করে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। তাদের সবাইকে বৃহস্পতিবার দুপুরে অচেতন অবস্থায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।
অচেতন ব্যক্তিরা হলেন- ঝাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল খায়ের ব্যাপারি (৪৫), তার স্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ বেগম (৪০), দুই ছেলে-তামিম (১২) ও সানাউল্লাহ (১০), ভাতিজা মাহমুদ(১৪), ভাতিজী রাবেয়া (২১) ও ভায়রার মেয়ে মারিয়া (১৩)।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় চোর চক্রের সদস্যরা বাইরে থেকে জানালার ফাক দিয়ে খাবারের মধ্যে চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে রাখে। পরে পরিবারের সকলে সেই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মধ্যরাতের দিকে পিছনের দরজা ভেঙ্গে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। এসময় শিক্ষক আবুল খায়েরের মেজ ভাইয়ের স্ত্রী (তিনি খাবার খাননি) লাইটের আলো দেখতে পেয়ে ডাক দিলে চোরেরা তার মুখ চেপে ধরে। পরে তিনি ডাকচিৎকার দিলে চোরেরা পালিয়ে যায়। পরে তিনিও প্রতিদিনের ন্যায় স্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে বাসার সবাইকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন। পরে বেলা গড়িয়ে গেলেও কেউ ঘুম থেকে না ওঠাও এবং পিছনের দরজা ভাঙা দেখে তারা বুঝতে পারেন বাসায় চুরি হয়েছে। পরে এলাকাবাসী অচেতন ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামসুল ইসলাম সোহেল বলেন, হাসপাতালে ভর্তি ৭ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা একটু স্থিতিশীল। তাদের পূর্বের কোন রোগ না থাকলে সমস্যা হবে না। আমরা মনে করছি তাদের ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। আশা করি সকলেই ২-৩ দিনের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।