নোয়াখালীতে মাদ্রাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
পৃথক ঘটনায় দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। অন্যদিকে নোয়াখালীতে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। দিনাজপুরের ঘটনায় ধর্ষণ আটক হলেও নোয়াখালীর ঘটনায় ধর্ষক ডেকোরেটর ব্যবসায়ী পলাতক। নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
দিনাজপুর নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত রাসেল হোসেনকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিরল উপজেলার ৫নং ভান্ডারা ইউনিয়নের ভান্ডারা পাগলাপীর গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আটক ধর্ষক ওই গ্রামের মৃত ওসমান গনির ছেলে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। ধর্ষণের শিকার ওই শিশু একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী।
বিরল থানার ওসি ফখরুল ইসলাম জানান, দিনমজুর বাবা প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়া শেষ করে কাজে বেরিয়ে পড়েন। বিকেলে মা শিশুকে বাড়িতে রেখে গরু-ছাগলের জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যান। এ সময় শিশু বাড়িতে একা ছিল। এ সময় রাসেল হোসেন শিশুকে একা পেয়ে বাড়িতে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার উদ্দেশে বারান্দার বাঁশের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় বাড়িতে মা আসলে ধর্ষক রাসেল পালিয়ে যায়। পরে মা ও স্থানীয়রা শিশুকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রাসেলকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মাসুদ রানা জানান, বিরলে ধর্ষণের শিকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এদিকে নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১১) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ২নংর ওয়ার্ডের দীন নারায়ণপুর গ্রামের জহিরের ডেকোরেটর দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই দিন রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বীজবাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দীন নারায়ণপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে জহির উদ্দিন (৪৫) ও তার সহযোগী একই এলাকার মৃত আলী সারেংয়ের ছেলে হাবীব উল্যাহ (৪৩)।
সেনবাগ থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ছাত্রীকে মেডিকেলে টেস্টের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষক জহির পেশায় একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী এবং অন্য আসামি হাবীব ওই জায়গার মালিক। বিভিন্ন সময় প্রতিবেশী ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে টাকা পয়সা দিয়ে প্রলোভন দেখাত ধর্ষক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডেকোরেটর দোকানের সামনে পৌঁছলে ধর্ষক জহির মুখ চেপে ধরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সাটার বন্ধ করে হাবীবের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষকের দোকানে হানা দিলে সে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রী তার মা এবং স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়। ওসি মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
নোয়াখালীতে মাদ্রাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
শুক্রবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১
পৃথক ঘটনায় দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। অন্যদিকে নোয়াখালীতে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। দিনাজপুরের ঘটনায় ধর্ষণ আটক হলেও নোয়াখালীর ঘটনায় ধর্ষক ডেকোরেটর ব্যবসায়ী পলাতক। নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
দিনাজপুর নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত রাসেল হোসেনকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিরল উপজেলার ৫নং ভান্ডারা ইউনিয়নের ভান্ডারা পাগলাপীর গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আটক ধর্ষক ওই গ্রামের মৃত ওসমান গনির ছেলে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। ধর্ষণের শিকার ওই শিশু একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী।
বিরল থানার ওসি ফখরুল ইসলাম জানান, দিনমজুর বাবা প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়া শেষ করে কাজে বেরিয়ে পড়েন। বিকেলে মা শিশুকে বাড়িতে রেখে গরু-ছাগলের জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যান। এ সময় শিশু বাড়িতে একা ছিল। এ সময় রাসেল হোসেন শিশুকে একা পেয়ে বাড়িতে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার উদ্দেশে বারান্দার বাঁশের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় বাড়িতে মা আসলে ধর্ষক রাসেল পালিয়ে যায়। পরে মা ও স্থানীয়রা শিশুকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রাসেলকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মাসুদ রানা জানান, বিরলে ধর্ষণের শিকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এদিকে নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১১) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ২নংর ওয়ার্ডের দীন নারায়ণপুর গ্রামের জহিরের ডেকোরেটর দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই দিন রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বীজবাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দীন নারায়ণপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে জহির উদ্দিন (৪৫) ও তার সহযোগী একই এলাকার মৃত আলী সারেংয়ের ছেলে হাবীব উল্যাহ (৪৩)।
সেনবাগ থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ছাত্রীকে মেডিকেলে টেস্টের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষক জহির পেশায় একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী এবং অন্য আসামি হাবীব ওই জায়গার মালিক। বিভিন্ন সময় প্রতিবেশী ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে টাকা পয়সা দিয়ে প্রলোভন দেখাত ধর্ষক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডেকোরেটর দোকানের সামনে পৌঁছলে ধর্ষক জহির মুখ চেপে ধরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সাটার বন্ধ করে হাবীবের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষকের দোকানে হানা দিলে সে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রী তার মা এবং স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়। ওসি মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।