বিল পরিশোধ করতে না পারায় চিকিৎসাধীন যমজ দুই শিশুকে বের করে দেওয়া শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির কয়া হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) সাইফুল ইসলাম। এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার (১২ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি আসামি গোলাম সারোয়ারকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিল পরিশোধ করতে না পারায় চিকিৎসাধীন যমজ দুই শিশুকে বের করে দেওয়া পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় অভিযোগে তিনি বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আব্দুল্লাহ ও আহম্মেদকে ভর্তি করেন। পরে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে শিশুদের নিয়ে তিনি আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করান।
সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৬ দিনে দুই শিশুর চিকিৎসার বিল দেখায় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে কয়েক দফায় ৫০ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য সময় চান তিনি। তবে টাকা না পেয়েছে তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর শিশু দুইটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একটি শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মোহাম্মদপুর থানায় ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল’-এর মালিক ও পরিচালককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গোলাম সরোয়ারকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
বিল পরিশোধ করতে না পারায় চিকিৎসাধীন যমজ দুই শিশুকে বের করে দেওয়া শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির কয়া হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) সাইফুল ইসলাম। এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার (১২ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি আসামি গোলাম সারোয়ারকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিল পরিশোধ করতে না পারায় চিকিৎসাধীন যমজ দুই শিশুকে বের করে দেওয়া পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় অভিযোগে তিনি বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আব্দুল্লাহ ও আহম্মেদকে ভর্তি করেন। পরে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে শিশুদের নিয়ে তিনি আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করান।
সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৬ দিনে দুই শিশুর চিকিৎসার বিল দেখায় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে কয়েক দফায় ৫০ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য সময় চান তিনি। তবে টাকা না পেয়েছে তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর শিশু দুইটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একটি শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মোহাম্মদপুর থানায় ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল’-এর মালিক ও পরিচালককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গোলাম সরোয়ারকে গ্রেফতার করে র্যাব।