‘টাকার জন্য’ নিজ বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকের হাতে খুন হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা গাফফার খালেক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কন্ট্রাক্টর আনারুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ পাইনশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের ভেতরে একটি ঝোপ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনারুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই অধ্যাপকের নির্মাণাধীন বাড়ির কন্ট্রাক্টর ও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন নিহত অধ্যাপকের ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির। পরবর্তীতে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নির্মাণ শ্রমিক আনোয়ার হোসেনকে।
অধ্যাপক সাইদা গাফফার ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে তার মালিকানাধীন প্লটে বাড়ি করার জন্য প্রকল্প সংলগ্ন দক্ষিণ পানিশাইল মোশারফ মৃধার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। সেখানে থেকেই বাড়ি নির্মাণ কার্যক্রম দেখাশোনা করতেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রায় বলেন, অধ্যাপক প্রতিদিন তার বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতে ওই প্রকল্পে যেতেন। ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যার আগে সব শ্রমিক চলে গেলেও আনোয়ারুলকে কয়েকটি গাছ কাটার জন্য রেখে দিয়েছিলেন তিনি।
‘কাজ শেষে পারিশ্রমিক দেয়ার সময় অধ্যাপকের কাছে অনেক টাকা দেখতে পেয়ে লোভ সামলাতে পারেননি আনোয়ারুল। নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে ৪০০ গজ দূরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।’
নিহত সাইদা খালেকের বয়স ৭১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান ২০১৬ সাল। গত ১১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
এর দু’দিন পর বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সাইদা গাফফারের নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আনারুল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি অধ্যাপক সাইদার হাতে টাকা দেখে তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তিনি চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান আনারুল।
নিহত সাইদা গাফফারের স্বামী মৃত জহিরুল হক। তার ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির ঢাকার উত্তরার পশ্চিম থানার ১২ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন। তার তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এবং একজন দেশে থাকেন।
শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২
‘টাকার জন্য’ নিজ বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকের হাতে খুন হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা গাফফার খালেক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কন্ট্রাক্টর আনারুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ পাইনশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের ভেতরে একটি ঝোপ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনারুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই অধ্যাপকের নির্মাণাধীন বাড়ির কন্ট্রাক্টর ও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন নিহত অধ্যাপকের ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির। পরবর্তীতে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নির্মাণ শ্রমিক আনোয়ার হোসেনকে।
অধ্যাপক সাইদা গাফফার ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে তার মালিকানাধীন প্লটে বাড়ি করার জন্য প্রকল্প সংলগ্ন দক্ষিণ পানিশাইল মোশারফ মৃধার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। সেখানে থেকেই বাড়ি নির্মাণ কার্যক্রম দেখাশোনা করতেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রায় বলেন, অধ্যাপক প্রতিদিন তার বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতে ওই প্রকল্পে যেতেন। ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যার আগে সব শ্রমিক চলে গেলেও আনোয়ারুলকে কয়েকটি গাছ কাটার জন্য রেখে দিয়েছিলেন তিনি।
‘কাজ শেষে পারিশ্রমিক দেয়ার সময় অধ্যাপকের কাছে অনেক টাকা দেখতে পেয়ে লোভ সামলাতে পারেননি আনোয়ারুল। নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে ৪০০ গজ দূরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।’
নিহত সাইদা খালেকের বয়স ৭১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান ২০১৬ সাল। গত ১১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
এর দু’দিন পর বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সাইদা গাফফারের নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আনারুল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি অধ্যাপক সাইদার হাতে টাকা দেখে তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তিনি চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান আনারুল।
নিহত সাইদা গাফফারের স্বামী মৃত জহিরুল হক। তার ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির ঢাকার উত্তরার পশ্চিম থানার ১২ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন। তার তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এবং একজন দেশে থাকেন।