বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার কোনও শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না বলে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেটা পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষককে এই সময়ের বেশি বরখাস্ত করে রাখলে ওই আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরিবিধিতে এই বিধান সংযোজন করতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি ইস্যু করে সব শিক্ষা বোর্ডকে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করতে বলেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত রায় দেওয়া বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরের পর ১৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে রিটকারীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে ৯০ দিনের মধ্যে চাকরিতে পুর্নবহাল করতে বলেছে আদালত। এছাড়া তার বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাগুরা উপজেলা সদরের বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বাদশা মিয়াকে অতিরিক্ত বেতন নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে সামরিক বরখাস্ত করা হয়। তবে বেসরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত রাখার কোনও মেয়াদ ছিল না। ফলে দীর্ঘদিন ওই শিক্ষকের অভিযোগের নিষ্পত্তি না করায় ২০১৭ সালে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
সেই রুল নিষ্পত্তি করে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসার কোনও শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না উল্লেখ করে রায় দেয় হাইকোর্ট। অর্থাৎ, সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ ৬ মাসের বেশি সময় পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি পুনর্বহাল হবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। সে সময় অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত রাখার কোনো মেয়াদ ছিল না। আজকের রায়ে ৬ মাসের সময় নির্ধারিত হলো। এখন কোনো অভিযোগে কাউকে বরখাস্ত করলে ৬ মাসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্যথায় ৬ মাস পরে সাময়িক বরখাস্ত আর কার্যকর থাকবে না।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার কোনও শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না বলে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেটা পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষককে এই সময়ের বেশি বরখাস্ত করে রাখলে ওই আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরিবিধিতে এই বিধান সংযোজন করতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি ইস্যু করে সব শিক্ষা বোর্ডকে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করতে বলেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত রায় দেওয়া বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরের পর ১৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে রিটকারীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে ৯০ দিনের মধ্যে চাকরিতে পুর্নবহাল করতে বলেছে আদালত। এছাড়া তার বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাগুরা উপজেলা সদরের বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বাদশা মিয়াকে অতিরিক্ত বেতন নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে সামরিক বরখাস্ত করা হয়। তবে বেসরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত রাখার কোনও মেয়াদ ছিল না। ফলে দীর্ঘদিন ওই শিক্ষকের অভিযোগের নিষ্পত্তি না করায় ২০১৭ সালে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
সেই রুল নিষ্পত্তি করে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসার কোনও শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না উল্লেখ করে রায় দেয় হাইকোর্ট। অর্থাৎ, সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ ৬ মাসের বেশি সময় পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি পুনর্বহাল হবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। সে সময় অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত রাখার কোনো মেয়াদ ছিল না। আজকের রায়ে ৬ মাসের সময় নির্ধারিত হলো। এখন কোনো অভিযোগে কাউকে বরখাস্ত করলে ৬ মাসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্যথায় ৬ মাস পরে সাময়িক বরখাস্ত আর কার্যকর থাকবে না।