অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ছবি: সংগৃহীত
মাস্ক কেনাকাটায় অনিয়ম ও দূনীতির মামলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানী ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক প্রশাসক সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও আদালতে হাজির না হওয়ায় অন্য ডিএমডি মঞ্জুরে মাওলাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালত থেকে জানা গেছে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সাবেক সদস্য ও প্রথম প্রশাসক সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই মামলার আসামি ডেল্টা লাইফের ডিএমডি মঞ্জুরে মাওলা ও ইভিপি কামরুল হকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সমন জারি সত্বেও আদালতে হাজির না হওয়ায় তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৩শে জুন গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে আদালত থেকে জানা গেছে।
উল্লেখ্য ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর করোনা মহামারীর সময় মাস্ক কেনায় দূনীতির নিয়ে গেল বছর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের পরিচালক এবং অডিট কমিটির সদস্য জেয়াদ রহমান একটি মামলা করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে দেয়।
পিবিআই তদন্ত করে দূনীতির প্রমাণ পেয়ে আলামতসহ আদালতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগ সাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাস্ক কিনে দূনীতি করে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অপরাধ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২ লাখ ১৫ হাজার পিস মাস্ক সরবরাহের পরিবর্তে বিভিন্ন জোনালন অফিসে মাত্র ১৯ হাজার পিস মাস্ক বিতরণ করেছে। অবশিষ্ট ১ লাখ ৯৬ হাজার পিস মাস্কের কোন হদিস নেই। ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের কোন কিছু কিনতে হলে ৮ লাখ টাকার বেশী হলে পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন লাগে। আর জাতিয় পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এমনকি কোটেশান সংগ্রহ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাও করা হয়নি। সাবেক প্রশাসক কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাস্ক কিনে পলিসিহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডারওদের ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসক নিয়োগের পরে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃংখলা ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের আরও একটি আর্থিক অনিয়মের মামলা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ছবি: সংগৃহীত
সোমবার, ২৩ মে ২০২২
মাস্ক কেনাকাটায় অনিয়ম ও দূনীতির মামলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানী ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক প্রশাসক সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও আদালতে হাজির না হওয়ায় অন্য ডিএমডি মঞ্জুরে মাওলাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালত থেকে জানা গেছে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সাবেক সদস্য ও প্রথম প্রশাসক সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই মামলার আসামি ডেল্টা লাইফের ডিএমডি মঞ্জুরে মাওলা ও ইভিপি কামরুল হকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সমন জারি সত্বেও আদালতে হাজির না হওয়ায় তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৩শে জুন গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে আদালত থেকে জানা গেছে।
উল্লেখ্য ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর করোনা মহামারীর সময় মাস্ক কেনায় দূনীতির নিয়ে গেল বছর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের পরিচালক এবং অডিট কমিটির সদস্য জেয়াদ রহমান একটি মামলা করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে দেয়।
পিবিআই তদন্ত করে দূনীতির প্রমাণ পেয়ে আলামতসহ আদালতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগ সাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাস্ক কিনে দূনীতি করে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অপরাধ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২ লাখ ১৫ হাজার পিস মাস্ক সরবরাহের পরিবর্তে বিভিন্ন জোনালন অফিসে মাত্র ১৯ হাজার পিস মাস্ক বিতরণ করেছে। অবশিষ্ট ১ লাখ ৯৬ হাজার পিস মাস্কের কোন হদিস নেই। ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের কোন কিছু কিনতে হলে ৮ লাখ টাকার বেশী হলে পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন লাগে। আর জাতিয় পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এমনকি কোটেশান সংগ্রহ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাও করা হয়নি। সাবেক প্রশাসক কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাস্ক কিনে পলিসিহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডারওদের ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসক নিয়োগের পরে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃংখলা ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের আরও একটি আর্থিক অনিয়মের মামলা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।