দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলা এবং গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী মুফতি আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।এই মুফতি আব্দুল হাইকে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সাবেক আমির।
বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রেখে শেখ হাসিনা হত্যা প্রচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছাড়াও মুফতি আবদুল হাই একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্ত।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায় আরেক ফাঁসির আসামি মুফতি শফিকুরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায় গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনামে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে আসছিলেন শফিকুর।
২০০১ সালে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের বৈশাখ বরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন প্রাণ হারান। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূলে আঘাত হানতে মৌলবাদী গোষ্ঠী সেই হামলা চালিয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।
হামলার পর ওই দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়।
ঘটনার প্রায় আট বছর পর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ আদালত প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া অন্যরা হলেন মুফতি শফিকুর রহমান, আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার ও মুফতি আব্দুল হাই।
দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে তাজউদ্দিন, বদর, হাফেজ জাহাঙ্গীর ও আব্দুল হাই পলাতক ছিলেন। বুধবার ধরা পড়লেন আব্দুল হাই।
অপরদিকে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজির বোমা পুঁতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন মুফতি হাই।
২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি দোকানের সামনে থেকে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
দুই দিন পরে ওই মহাবিদ্যালয়ের মাঠে একটি জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানার এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল, তাতে আসামি করা হয় ১৬ জনকে। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন নতুন করে নয় জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৭ সালের ২০ অগাস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় ১০ জঙ্গির প্রাণদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।
এদের মধ্যে এখন শুধু মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর পলাতক রয়েছেন।
চলতি বছর এক মাসের মধ্যে ধরা পড়লেন মুফতি শফিকুর ও আব্দুল হাই।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলা এবং গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী মুফতি আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।এই মুফতি আব্দুল হাইকে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সাবেক আমির।
বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রেখে শেখ হাসিনা হত্যা প্রচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছাড়াও মুফতি আবদুল হাই একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্ত।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায় আরেক ফাঁসির আসামি মুফতি শফিকুরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায় গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনামে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে আসছিলেন শফিকুর।
২০০১ সালে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের বৈশাখ বরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন প্রাণ হারান। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূলে আঘাত হানতে মৌলবাদী গোষ্ঠী সেই হামলা চালিয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।
হামলার পর ওই দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়।
ঘটনার প্রায় আট বছর পর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ আদালত প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া অন্যরা হলেন মুফতি শফিকুর রহমান, আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার ও মুফতি আব্দুল হাই।
দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে তাজউদ্দিন, বদর, হাফেজ জাহাঙ্গীর ও আব্দুল হাই পলাতক ছিলেন। বুধবার ধরা পড়লেন আব্দুল হাই।
অপরদিকে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজির বোমা পুঁতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন মুফতি হাই।
২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি দোকানের সামনে থেকে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
দুই দিন পরে ওই মহাবিদ্যালয়ের মাঠে একটি জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানার এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল, তাতে আসামি করা হয় ১৬ জনকে। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন নতুন করে নয় জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৭ সালের ২০ অগাস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় ১০ জঙ্গির প্রাণদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।
এদের মধ্যে এখন শুধু মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর পলাতক রয়েছেন।
চলতি বছর এক মাসের মধ্যে ধরা পড়লেন মুফতি শফিকুর ও আব্দুল হাই।