রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহি বুলবুল (৩৪) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মো. রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার ডিআইজি হারুন অর রশিদ তার নিজ কার্যলয়ে গণমাধ্যমকে এতথ্য জানান। তিনি জানান, বুধবার বিকালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, সেই ছিনতাইকারী দলটির প্রধান ছিলেন রিপন। চিকিৎসক বুলবুলকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের জবানবন্দিতে রিপনের নাম উঠে আসে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ নিয়ে বুলবুল হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রিপনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এরআগে গ্রেপ্তার চারজন হলেন- আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ওরফে হৃদয়, সোলায়মান, রায়হান ওরফে আপন ওরফে সোহেল ও রাসেল হোসেন হাওলাদার।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন রিপন। তিনি ছিনতাইকারী দলের নেতা ছিলেন। ঘটনার পর রিপন নলছিটিতে পালিয়ে যান।
ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, বুলবুল আহমেদ পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক এবং ১ম শ্রেণির ঠিকাদার ব্যবসায়ী। তিনি সম্প্রতি নোয়াখালী এলাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পান। গত ২৭ মার্চ ভোরে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মিরপুর মডেল থানাধীন পশ্চিম শেওড়াপাড়াস্থ আনন্দবাজার এলাকা হতে শেওড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশে রিকশাযোগে রওয়ানা হন। ভোর সাড়ে ৫টায় মিরপুর মডেল থানাধীন পশ্চিম কাজীপাড়াস্থ বেগম রোকেয়া সরণী এলাকায় পৌঁছলে কতিপয় ছিনতাইকারী রিকশার গতি রোধ করেন। পরে তার কাছে থাকা স্যামসাং মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ছিনতাইকারীরা।
এতে তিনি বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা ছোরা দিয়ে তার ডান হাঁটুর ওপর আঘাত গুরুতর জখম করে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সেখান দিয়ে যাওয়া বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসের চালক ও হেল্পার তাকে প্রথমে স্থানীয় আল-হেলাল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার দিনই নিহত বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর থানায় অজ্ঞতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ৩০ মার্চ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরদিন আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তারা জেল হাজতে আছেন।
রংপুর শহরের কোতয়ালী ভগিবালাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ ও বুলবুলি সামাদ দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন বুলবুল। ২০০৮ সালে দিনাজপুরের মেয়ে শাম্মীকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের কোল জুড়ে আসে মেয়ে আয়ন ও ছেলে সামী। পরিবার নিয়ে পশ্চিম শেওড়াপাড়া আনন্দবাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ডা. বুলবুল।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহি বুলবুল (৩৪) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মো. রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার ডিআইজি হারুন অর রশিদ তার নিজ কার্যলয়ে গণমাধ্যমকে এতথ্য জানান। তিনি জানান, বুধবার বিকালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, সেই ছিনতাইকারী দলটির প্রধান ছিলেন রিপন। চিকিৎসক বুলবুলকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের জবানবন্দিতে রিপনের নাম উঠে আসে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ নিয়ে বুলবুল হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রিপনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এরআগে গ্রেপ্তার চারজন হলেন- আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ওরফে হৃদয়, সোলায়মান, রায়হান ওরফে আপন ওরফে সোহেল ও রাসেল হোসেন হাওলাদার।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন রিপন। তিনি ছিনতাইকারী দলের নেতা ছিলেন। ঘটনার পর রিপন নলছিটিতে পালিয়ে যান।
ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, বুলবুল আহমেদ পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক এবং ১ম শ্রেণির ঠিকাদার ব্যবসায়ী। তিনি সম্প্রতি নোয়াখালী এলাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পান। গত ২৭ মার্চ ভোরে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মিরপুর মডেল থানাধীন পশ্চিম শেওড়াপাড়াস্থ আনন্দবাজার এলাকা হতে শেওড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশে রিকশাযোগে রওয়ানা হন। ভোর সাড়ে ৫টায় মিরপুর মডেল থানাধীন পশ্চিম কাজীপাড়াস্থ বেগম রোকেয়া সরণী এলাকায় পৌঁছলে কতিপয় ছিনতাইকারী রিকশার গতি রোধ করেন। পরে তার কাছে থাকা স্যামসাং মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ছিনতাইকারীরা।
এতে তিনি বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা ছোরা দিয়ে তার ডান হাঁটুর ওপর আঘাত গুরুতর জখম করে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সেখান দিয়ে যাওয়া বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসের চালক ও হেল্পার তাকে প্রথমে স্থানীয় আল-হেলাল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার দিনই নিহত বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর থানায় অজ্ঞতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ৩০ মার্চ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরদিন আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তারা জেল হাজতে আছেন।
রংপুর শহরের কোতয়ালী ভগিবালাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ ও বুলবুলি সামাদ দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন বুলবুল। ২০০৮ সালে দিনাজপুরের মেয়ে শাম্মীকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের কোল জুড়ে আসে মেয়ে আয়ন ও ছেলে সামী। পরিবার নিয়ে পশ্চিম শেওড়াপাড়া আনন্দবাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ডা. বুলবুল।