ইউএনও’র উদ্দেশে হাইকোর্ট
আদালতের নোটিশ জারিকারকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিচারের হুমকি দেয়ার ঘটনায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ইউএনও রেজাউল করিমকে ভর্ৎসনা করেছেন হাইকোর্ট ।
ইউএনও’র এমন আচারণকে সভ্য রাষ্ট্রের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন উচ্চ আদালত।
ওই ঘটনায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ইউএনও’র নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা আবেদনের ওপর গতকাল শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
আদালতে ইউএনও-নাজিরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
শুনানিকালে ইউএনও রেজাউল করিমকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘আপনাকে ক্ষমা করলে আমরা আটকে যাব। আদালত সবার ওপরে। আদালতের আদেশ সবার মানতে হয়।’
‘আপনি আদালতের আদেশ মানেননি। আদালতের সমন নিয়ে নোটিশ জারিকারকরা আপনাদের কাছে গিয়েছিল। আপনার উচিত ছিল তাকে ধন্যবাদ দেওয়া। অথচ কী দুর্ব্যবহার না করলেন! কত অজুহাত দেখালেন!’
আদালত বলেন, ‘আপনি যে আচরণ করলেন তা সভ্য রাষ্ট্রে কলঙ্ক লেগে গেল। আপনি একটা ছোট বিষয় হ্যান্ডেল করতে পারেন না। কীভাবে জনসেবা করবেন? একটি কথা মনে রাখবেন আইন আদালত আছে বলেই আপনি সম্মান পান। আপনি যদি আইন না মানেন আপনাকে কেউ মানবে না।’
আদালত আরও বলেন, ‘আপনি নিজের ভবিষ্যৎ নিজে নষ্ট করেছেন। আদালত অবমাননার ঘটনায় আদালতে আসতে হয়েছে আপনাকে। আপনার ক্যারিয়ারে একটি স্পট পড়ে গেল। আমরা যদি একটি লাইন লেখে দিই আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে।’
এসময় নাজির উকিল মিয়াকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘আপনি মূল অপরাধী। আপনি সিনক্রিয়েট করেছেন। খুব খারাপভাবে মিসগাইড করেছেন।’
পরে ইউএনও’র উদ্দেশে আদালত আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ করবেন না। আপনার দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি নজর রাখবেন। আদালতকে সম্মান না করলে আপনি কখনও সম্মান পাবেন না।’
এরআগে ওই ঘটনায় ভূমিকা কী ছিল সেই ব্যাখ্যা জানতে বোয়ালমারী উপজেলার ইউএনও ও তার নাজির উকিল মিয়াকে তলব করলে তারা এদিন আদালতে উপস্থিত হন।
শুনানি শেষে পরে আদালত তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুলের আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন।
ইউএনও’র উদ্দেশে হাইকোর্ট
মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
আদালতের নোটিশ জারিকারকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিচারের হুমকি দেয়ার ঘটনায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ইউএনও রেজাউল করিমকে ভর্ৎসনা করেছেন হাইকোর্ট ।
ইউএনও’র এমন আচারণকে সভ্য রাষ্ট্রের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন উচ্চ আদালত।
ওই ঘটনায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ইউএনও’র নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা আবেদনের ওপর গতকাল শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
আদালতে ইউএনও-নাজিরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
শুনানিকালে ইউএনও রেজাউল করিমকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘আপনাকে ক্ষমা করলে আমরা আটকে যাব। আদালত সবার ওপরে। আদালতের আদেশ সবার মানতে হয়।’
‘আপনি আদালতের আদেশ মানেননি। আদালতের সমন নিয়ে নোটিশ জারিকারকরা আপনাদের কাছে গিয়েছিল। আপনার উচিত ছিল তাকে ধন্যবাদ দেওয়া। অথচ কী দুর্ব্যবহার না করলেন! কত অজুহাত দেখালেন!’
আদালত বলেন, ‘আপনি যে আচরণ করলেন তা সভ্য রাষ্ট্রে কলঙ্ক লেগে গেল। আপনি একটা ছোট বিষয় হ্যান্ডেল করতে পারেন না। কীভাবে জনসেবা করবেন? একটি কথা মনে রাখবেন আইন আদালত আছে বলেই আপনি সম্মান পান। আপনি যদি আইন না মানেন আপনাকে কেউ মানবে না।’
আদালত আরও বলেন, ‘আপনি নিজের ভবিষ্যৎ নিজে নষ্ট করেছেন। আদালত অবমাননার ঘটনায় আদালতে আসতে হয়েছে আপনাকে। আপনার ক্যারিয়ারে একটি স্পট পড়ে গেল। আমরা যদি একটি লাইন লেখে দিই আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে।’
এসময় নাজির উকিল মিয়াকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘আপনি মূল অপরাধী। আপনি সিনক্রিয়েট করেছেন। খুব খারাপভাবে মিসগাইড করেছেন।’
পরে ইউএনও’র উদ্দেশে আদালত আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ করবেন না। আপনার দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি নজর রাখবেন। আদালতকে সম্মান না করলে আপনি কখনও সম্মান পাবেন না।’
এরআগে ওই ঘটনায় ভূমিকা কী ছিল সেই ব্যাখ্যা জানতে বোয়ালমারী উপজেলার ইউএনও ও তার নাজির উকিল মিয়াকে তলব করলে তারা এদিন আদালতে উপস্থিত হন।
শুনানি শেষে পরে আদালত তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুলের আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন।