ঢাকার আশুলিয়ায় আলোচিত কলেজশিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার আসামি আশারাফুল ইসলাম জিতুকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) তাকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
এ সময় মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদুল হক। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে জিতুর বাবা উজ্বল হোসেনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বুধবার ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত- ৩ এর বিচারক শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তাকে রিমান্ডে পাঠান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে বুধবার ভোরে উজ্বলকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। সকালে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে ঢাকা মুখ্য বিচারিক আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে বুধবার ভোরে উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
উৎফল কুমার সরকার মারা যাওয়ার দিন গত রোববার তার বড়ভাই অসীম কুমার সরকার অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আফরাফুল ইসলাম জিতুকে প্রধান করে হত্যা মামলা করেন। এজহারে অজ্ঞাতনামা অনেককেই আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ওই মামলায় প্রধান আসামির বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জিতুর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আসেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু ওই প্রতিষ্ঠানের কলেজ পর্যায়ের একজন ছাত্রীর সঙ্গে ‘অযাচিতভাবে’ ঘোরাফেরা করে বেড়াত। বিষয়টি শিক্ষক উৎপল সরকারের চোখে পড়ে। তিনি জিতুকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এতে ওই ছাত্রীর কাছে নিজের হিরোইজম দেখাতে উৎপল সরকারকে মারধর করে স্কুলে ছাত্রদের কাছে ‘দাদা’ হিসেবে পরিচিত জিতু। এতেই ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়।
র্যাব আরও জানায়, জিতু স্কুলে সবার কাছে একজন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলাভঙ্গ, মারামারিসহ স্কুলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ও স্কুল চলাকালীন ছাত্রীদের ইভটিজিং করতো জিতু। স্কুলে সবার সামনে ধূমপান, ইউনিফর্ম ছাড়া স্কুলে আসা-যাওয়া, মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত।
এদিকে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে আশুলিয়ার সব স্কুলের শিক্ষকরা। বুধবার জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে টঙ্গী ইপিজেড সড়কে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে গুরুতর আহত করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু। পরে আহতাবস্থায় তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৭ জুন) ভোরে মৃত্যু হয় শিক্ষক উৎপল কুমারের।
নিহত উৎফল কুমার সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতিও ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি গ্রামে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
ঢাকার আশুলিয়ায় আলোচিত কলেজশিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার আসামি আশারাফুল ইসলাম জিতুকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) তাকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
এ সময় মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদুল হক। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে জিতুর বাবা উজ্বল হোসেনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বুধবার ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত- ৩ এর বিচারক শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তাকে রিমান্ডে পাঠান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে বুধবার ভোরে উজ্বলকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। সকালে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে ঢাকা মুখ্য বিচারিক আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে বুধবার ভোরে উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
উৎফল কুমার সরকার মারা যাওয়ার দিন গত রোববার তার বড়ভাই অসীম কুমার সরকার অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আফরাফুল ইসলাম জিতুকে প্রধান করে হত্যা মামলা করেন। এজহারে অজ্ঞাতনামা অনেককেই আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ওই মামলায় প্রধান আসামির বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জিতুর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আসেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু ওই প্রতিষ্ঠানের কলেজ পর্যায়ের একজন ছাত্রীর সঙ্গে ‘অযাচিতভাবে’ ঘোরাফেরা করে বেড়াত। বিষয়টি শিক্ষক উৎপল সরকারের চোখে পড়ে। তিনি জিতুকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এতে ওই ছাত্রীর কাছে নিজের হিরোইজম দেখাতে উৎপল সরকারকে মারধর করে স্কুলে ছাত্রদের কাছে ‘দাদা’ হিসেবে পরিচিত জিতু। এতেই ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়।
র্যাব আরও জানায়, জিতু স্কুলে সবার কাছে একজন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলাভঙ্গ, মারামারিসহ স্কুলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ও স্কুল চলাকালীন ছাত্রীদের ইভটিজিং করতো জিতু। স্কুলে সবার সামনে ধূমপান, ইউনিফর্ম ছাড়া স্কুলে আসা-যাওয়া, মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত।
এদিকে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে আশুলিয়ার সব স্কুলের শিক্ষকরা। বুধবার জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে টঙ্গী ইপিজেড সড়কে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে গুরুতর আহত করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু। পরে আহতাবস্থায় তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৭ জুন) ভোরে মৃত্যু হয় শিক্ষক উৎপল কুমারের।
নিহত উৎফল কুমার সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতিও ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি গ্রামে।