ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার ঘটনায় ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
এরফলে প্রথম কোনো ব্যক্তি বিনা অপরাধে জেল খাটার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেলেন।
চেকের মাধ্যমে ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বশির।
তিনি জানান, ‘সমঝোতার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আজ বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জানানো হয়েছে।’
সোমবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাড. এমাদুল হক বশির। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার পায়েল।
গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রিপোর্টে উঠে আসা ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার সঙ্গে জড়িতদেরসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এরপর এ মামলার বিষয়ে পুনরায় তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্তে দেখা যায়, ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একজনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলা করিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথা থেকে ইস্যু করা হয় এবং কারা ইস্যু করে তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জারি করা ওয়ারেন্ট ভুয়া কী না, তা যাচাই সাপেক্ষে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে শেরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন আদালত।
ওই বছরই আওলাদকে ‘বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি’, তা নিশ্চিতে হাইকোর্টে হাজির করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন তার স্ত্রী। সেই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ভুয়া মামলায় আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করা হয়।
সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২
ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার ঘটনায় ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
এরফলে প্রথম কোনো ব্যক্তি বিনা অপরাধে জেল খাটার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেলেন।
চেকের মাধ্যমে ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বশির।
তিনি জানান, ‘সমঝোতার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আজ বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জানানো হয়েছে।’
সোমবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাড. এমাদুল হক বশির। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার পায়েল।
গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রিপোর্টে উঠে আসা ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার সঙ্গে জড়িতদেরসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এরপর এ মামলার বিষয়ে পুনরায় তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্তে দেখা যায়, ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একজনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলা করিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথা থেকে ইস্যু করা হয় এবং কারা ইস্যু করে তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জারি করা ওয়ারেন্ট ভুয়া কী না, তা যাচাই সাপেক্ষে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে শেরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন আদালত।
ওই বছরই আওলাদকে ‘বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি’, তা নিশ্চিতে হাইকোর্টে হাজির করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন তার স্ত্রী। সেই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ভুয়া মামলায় আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করা হয়।