২০১৪ সালের ১৪ জুলাই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় করা মামলার চার্জশিটভুক্ত তিন নম্বর আসামি তানভীর ফয়সাল। গত ৩১ জুলাই রাতে ঘোষিত যবিপ্রবি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরে যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে গণডাকাতির এজাহারভুক্ত আসামি তানভীর ফয়সাল। একই ঘটনার মামলার আরেক আসামি আল মামুন সিমনও পেয়েছেন সহ-সভাপতির পদ। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যার মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল ও হলে ডাকাতি মামলার সিমনকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, বিতর্কিত ছাত্রদের পদ দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানতেন না। কমিটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একই সঙ্গে সংগঠনের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।
৩১ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য যবিপ্রবি ছাত্রলীগের ১১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। এতে সোহেল রানাকে সভাপতি ও তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর ছাত্রলীগের এই কমিটি দেয়া হয়েছে। কমিটিতে ৪ জনসহ সভাপতি হলেন আফিকুর রহমান অয়ন, নাজমুস সাকিব, মেহেদী হাসান ও আল মামুন সিমন। তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন কামরুল হাসান শিহাব, এস এম ইকরামুল কবির দ্বীপ ও নূর মোহাম্মদ টনি। দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন মনিরুল ইসলাম হৃদয় ও মুরাদ পারভেজ। অনিয়মিত ছাত্র, বিতর্কিত, হত্যা-ডাকাতির মামলার আসামি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা ছাত্রলীগ নেতারা কমিটিতে স্থান পেলেও বাদ পড়েছেন ছাত্রলীগের নিয়মিত সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা। অভিযোগ ১১ জনের কমিটিতে অত্যন্ত ৫ জন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘অনেকেই বাদ পড়লেও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান দেয়া হবে ত্যাগী নেতাদের’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রিয়াদ ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হত্যার শিকার হন। পরবর্তীতে ঘটনাটি নিয়ে রিয়াদের পরিবার মামলা করলে প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে। মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ১১ জনের আসামির তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে তানভীর ফয়সাল। বর্তমানে এই মামলায় ফয়সাল জামিনে রয়েছেন। এছাড়া ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরে যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের নেতৃত্বে হল ডাকাতির ঘটনার ঘটে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩০০ ফোন, ১০০ ল্যাপটপ, নগদ অর্থসহ ডাকাতি করে নিয়ে যায় নিয়ে যায়। ঘটনার তিন দিন পর ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ২৫ জনের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় ১১ নাম্বার আসামি করা হয় তানভীর ফয়সালকে। এই ঘটনায় ১০ নম্বর আসামি করা হয় সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি আল মামুন সিমনকে। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছেন টানা ৫ বছর ধরে পড়াশোনা করছেন ফয়সাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত এই ছাত্র একই সঙ্গে দলীয় কোন প্রোগ্রামে অংশ না করেই তার জন্মস্থান বাগেরহাটের এক সংসদ সদস্যের হাত ধরেই বাগিয়ে নিয়েছেন সাধারণ সম্পাদকের পদ। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকরামুল কবির দ্বীপ কলেজ প্রশাসনের বিশৃঙ্খলা ও মাদকবিক্রেতার তালিকায় নামও রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কলেজ প্রশাসনও বিশৃঙ্খলার দায়ে সাময়িক বহিষ্কার হন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে তানভীর ফয়সাল বলেন, ‘আমার নামে যে হত্যা ও ডাকাতি মামলা রয়েছে; সেটি বর্তমানে জামিনে রয়েছি। তাছাড়া আমি তো এখনও আদালতে দোষী প্রমাণিত হইনি। রাজনৈতিকভাবেই এগুলো আমার নামে জড়ানো হয়েছে। কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছে তারা সবাই ছাত্র ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী। সুন্দর একটি কমিটি হয়েছে। যারা কমিটিতে স্থান পায়নি তারা বিভিন্ন অপপ্রচার করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশে কয়েক দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে। সেখানে ত্যাগী বাদ পড়া ছাত্রলীগ কর্মীদের স্থান দেয়া হবে। এই বিষয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছাত্ররাজনীতি করি। তার ফল হিসেবেই কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে মূল্যায়ন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি হয়নি; ফলে এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। ক্যাম্পাসে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে ভালো পদ পাওয়ার যোগ্যদার। এমনই ত্যাগী পরিশ্রম ছাত্রলীগ কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং হল ছাত্রলীগে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে কমিটির অভিযোগ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এই বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
২০১৯ সালের ২ নভেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেন ওই সময়কার ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এর আগে, ২০১৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সুব্রত বিশ্বাসকে সভাপতি ও এসএম শামীম হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছর মেয়াদি যবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর আর কোন কমিটি হয়নি।
সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২
২০১৪ সালের ১৪ জুলাই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় করা মামলার চার্জশিটভুক্ত তিন নম্বর আসামি তানভীর ফয়সাল। গত ৩১ জুলাই রাতে ঘোষিত যবিপ্রবি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরে যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে গণডাকাতির এজাহারভুক্ত আসামি তানভীর ফয়সাল। একই ঘটনার মামলার আরেক আসামি আল মামুন সিমনও পেয়েছেন সহ-সভাপতির পদ। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যার মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল ও হলে ডাকাতি মামলার সিমনকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, বিতর্কিত ছাত্রদের পদ দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানতেন না। কমিটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একই সঙ্গে সংগঠনের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।
৩১ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য যবিপ্রবি ছাত্রলীগের ১১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। এতে সোহেল রানাকে সভাপতি ও তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর ছাত্রলীগের এই কমিটি দেয়া হয়েছে। কমিটিতে ৪ জনসহ সভাপতি হলেন আফিকুর রহমান অয়ন, নাজমুস সাকিব, মেহেদী হাসান ও আল মামুন সিমন। তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন কামরুল হাসান শিহাব, এস এম ইকরামুল কবির দ্বীপ ও নূর মোহাম্মদ টনি। দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন মনিরুল ইসলাম হৃদয় ও মুরাদ পারভেজ। অনিয়মিত ছাত্র, বিতর্কিত, হত্যা-ডাকাতির মামলার আসামি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা ছাত্রলীগ নেতারা কমিটিতে স্থান পেলেও বাদ পড়েছেন ছাত্রলীগের নিয়মিত সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা। অভিযোগ ১১ জনের কমিটিতে অত্যন্ত ৫ জন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘অনেকেই বাদ পড়লেও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান দেয়া হবে ত্যাগী নেতাদের’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রিয়াদ ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হত্যার শিকার হন। পরবর্তীতে ঘটনাটি নিয়ে রিয়াদের পরিবার মামলা করলে প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে। মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ১১ জনের আসামির তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে তানভীর ফয়সাল। বর্তমানে এই মামলায় ফয়সাল জামিনে রয়েছেন। এছাড়া ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরে যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের নেতৃত্বে হল ডাকাতির ঘটনার ঘটে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩০০ ফোন, ১০০ ল্যাপটপ, নগদ অর্থসহ ডাকাতি করে নিয়ে যায় নিয়ে যায়। ঘটনার তিন দিন পর ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ২৫ জনের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় ১১ নাম্বার আসামি করা হয় তানভীর ফয়সালকে। এই ঘটনায় ১০ নম্বর আসামি করা হয় সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি আল মামুন সিমনকে। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছেন টানা ৫ বছর ধরে পড়াশোনা করছেন ফয়সাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত এই ছাত্র একই সঙ্গে দলীয় কোন প্রোগ্রামে অংশ না করেই তার জন্মস্থান বাগেরহাটের এক সংসদ সদস্যের হাত ধরেই বাগিয়ে নিয়েছেন সাধারণ সম্পাদকের পদ। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকরামুল কবির দ্বীপ কলেজ প্রশাসনের বিশৃঙ্খলা ও মাদকবিক্রেতার তালিকায় নামও রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কলেজ প্রশাসনও বিশৃঙ্খলার দায়ে সাময়িক বহিষ্কার হন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে তানভীর ফয়সাল বলেন, ‘আমার নামে যে হত্যা ও ডাকাতি মামলা রয়েছে; সেটি বর্তমানে জামিনে রয়েছি। তাছাড়া আমি তো এখনও আদালতে দোষী প্রমাণিত হইনি। রাজনৈতিকভাবেই এগুলো আমার নামে জড়ানো হয়েছে। কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছে তারা সবাই ছাত্র ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী। সুন্দর একটি কমিটি হয়েছে। যারা কমিটিতে স্থান পায়নি তারা বিভিন্ন অপপ্রচার করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশে কয়েক দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে। সেখানে ত্যাগী বাদ পড়া ছাত্রলীগ কর্মীদের স্থান দেয়া হবে। এই বিষয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছাত্ররাজনীতি করি। তার ফল হিসেবেই কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে মূল্যায়ন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি হয়নি; ফলে এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। ক্যাম্পাসে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে ভালো পদ পাওয়ার যোগ্যদার। এমনই ত্যাগী পরিশ্রম ছাত্রলীগ কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং হল ছাত্রলীগে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে কমিটির অভিযোগ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এই বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
২০১৯ সালের ২ নভেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেন ওই সময়কার ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এর আগে, ২০১৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সুব্রত বিশ্বাসকে সভাপতি ও এসএম শামীম হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছর মেয়াদি যবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর আর কোন কমিটি হয়নি।