টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক ভূমিহীন নারীর চেক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে সহিদ নামের একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে একাধিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। ভূমিহীন নারী উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বড় মৌশা গ্রামের কালাম মিয়ার স্ত্রী হামজা বেগম।
এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের লিখিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হামজা বেগম ও পুত্রবধূ মনিয়া প্রতিবেশ সহিদ মিয়ার কাছ থেকে তিন বছর আগে সুদে ৯০ হাজার টাকা নেন। জামানত হিসেবে স্বাক্ষরসহ একটি সাদা স্টাম্প ও দুটি চেক বইয়ের পাতা দেন ওই প্রতিবেশী সহিদকে। পরে সুদসহ কিস্তি পরিশোধ নিয়ে শহীদের সাথে দ্বন্দ্ব হয় হামজা বেগমের। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বসে পাওনাদার শহীদকে ৮০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন হামজা বেগম ও পুত্রবধু মনিয়া। সহিদ দশ হাজার টাকা বুঝে না পাওয়ার কারণে স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প ও একটি চেক বই রেখে দেন। পরবর্তী সময়ে এ বাকী ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও জমা রাখা চেক বই দিতে অস্বীকার করে। পরে ওই চেকটি নিকটবর্তী শামছুল আলমের কাছে বিক্রি করেন সহিদ। এই বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিক বার বসেও কোন সমাধান হয়নি।
ভুক্তভোগী ও ভূমিহীন হামজা বেগব বলেন, সহিদ আমার আমার সাথে প্রতারণা করছে। আমি টাকা পরিশোধ করলেও সে আমার চেক বই ও স্ট্যাম্প ফিরত দেয়নি। আমার এক প্রতিবেশী শামছুল আলমের কাছে চেক বই ও স্ট্যাম্প বিক্রি করছে। আমি এই সহিদের বিচার চাই, প্রতারণার জন্য ওর শাস্তি চাই।
তিনি আরোও বলেন এ ঘটনায় আমি চার মাস জেলহাজতে ছিলাম। এখন আবার ডিবি পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে জেল হাজতে দেওয়ার হুমকি দিতেছে। আমি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এ ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেছি।
স্থানীয় গ্রাম্য মাতাব্বর লাল মিয়া এঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূমিহীন হামজা সুদখোর সহিদের প্রতারণার স্বীকার।
অভিযুক্ত সহিদ মিয়া বলেন, যখন আমার টাকা দিতে অস্বীকার করছিলো তখন দুই লাখ ষাট হাজার টাকা দাবি করে উকিল নোটিশ দিয়েছি ওই হামজার পুত্রবধূর নামে। পরে স্থানীয় ভাবে বসে ৮০ হাজার টাকা পেয়ে চেক বইয়ের পাতা ও স্ট্যাম্প ফিরত দিয়েছি। এখন হামজা বেগম আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক ভূমিহীন নারীর চেক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে সহিদ নামের একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে একাধিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। ভূমিহীন নারী উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বড় মৌশা গ্রামের কালাম মিয়ার স্ত্রী হামজা বেগম।
এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের লিখিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হামজা বেগম ও পুত্রবধূ মনিয়া প্রতিবেশ সহিদ মিয়ার কাছ থেকে তিন বছর আগে সুদে ৯০ হাজার টাকা নেন। জামানত হিসেবে স্বাক্ষরসহ একটি সাদা স্টাম্প ও দুটি চেক বইয়ের পাতা দেন ওই প্রতিবেশী সহিদকে। পরে সুদসহ কিস্তি পরিশোধ নিয়ে শহীদের সাথে দ্বন্দ্ব হয় হামজা বেগমের। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বসে পাওনাদার শহীদকে ৮০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন হামজা বেগম ও পুত্রবধু মনিয়া। সহিদ দশ হাজার টাকা বুঝে না পাওয়ার কারণে স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প ও একটি চেক বই রেখে দেন। পরবর্তী সময়ে এ বাকী ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও জমা রাখা চেক বই দিতে অস্বীকার করে। পরে ওই চেকটি নিকটবর্তী শামছুল আলমের কাছে বিক্রি করেন সহিদ। এই বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিক বার বসেও কোন সমাধান হয়নি।
ভুক্তভোগী ও ভূমিহীন হামজা বেগব বলেন, সহিদ আমার আমার সাথে প্রতারণা করছে। আমি টাকা পরিশোধ করলেও সে আমার চেক বই ও স্ট্যাম্প ফিরত দেয়নি। আমার এক প্রতিবেশী শামছুল আলমের কাছে চেক বই ও স্ট্যাম্প বিক্রি করছে। আমি এই সহিদের বিচার চাই, প্রতারণার জন্য ওর শাস্তি চাই।
তিনি আরোও বলেন এ ঘটনায় আমি চার মাস জেলহাজতে ছিলাম। এখন আবার ডিবি পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে জেল হাজতে দেওয়ার হুমকি দিতেছে। আমি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এ ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেছি।
স্থানীয় গ্রাম্য মাতাব্বর লাল মিয়া এঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূমিহীন হামজা সুদখোর সহিদের প্রতারণার স্বীকার।
অভিযুক্ত সহিদ মিয়া বলেন, যখন আমার টাকা দিতে অস্বীকার করছিলো তখন দুই লাখ ষাট হাজার টাকা দাবি করে উকিল নোটিশ দিয়েছি ওই হামজার পুত্রবধূর নামে। পরে স্থানীয় ভাবে বসে ৮০ হাজার টাকা পেয়ে চেক বইয়ের পাতা ও স্ট্যাম্প ফিরত দিয়েছি। এখন হামজা বেগম আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।