ফরিদপুরের নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটে (নগই) টেন্ডারে কাজ না পাওয়ায় ঠিকাদারের লোকজনদের মারধরের শিকার হয়েছেন জামালপুরের বাম্বু বান্ডেলিংয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আব্দুল্লাহ আল ইমরান (৪১)।
গত রবিবার বেলা ১১টা ৩৯ থেকে ১১টা ৪৫ পর্যন্ত এ মারপিটের ঘটনা ঘটে নগই-এ ওই পিডির কক্ষে। এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ আল ইমরান দুই ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করে গত রবিবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলাদায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এসময়ে হাড়কান্দি মহল্লার মো. নিয়াজ শেখ (২৭) ও কাজল মৃধা (২৫) নামে দুই ব্যাক্তি তার কক্ষে ঢুকে প্রথমে কক্ষের দরজার ছিটকিনি আটকে দিয়ে বাম্বু বান্ডেলিংয়ের টেন্ডার কেন তাদের দেওয়া হল না বলেই তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ মারধরের ঘটনায় তিনি (পিডি) অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় সহকর্মীরা এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে হামলাকারী ওই দুই ব্যক্তি ছিটকিনি খুলে পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, তারা বাম্বু বান্ডেলিংয়ের কাজ কেনো তাদের দেয়া হয়নি একথা বলে তাকে হুমকি দিতে থাকে। তিনি বলেন, ওই কাজের টেন্ডারের ওপেনিং হয়েছে ১০ নভেম্বর। এখনো কাজ কেউ পায়নি। টেন্ডারের ইভ্যালুয়েশনের (মূল্যায়ন) কাজ চলছে।
তিনি বলেন, তাকে মারধরের ঘটনার সাথে জড়িত নিয়াজ ও কাজল ফরিদপুর পৌরসভার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিয়ার রহমানের কাজ দেখাশুনা করেন।
আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, তিনি এ ব্যাপারে ফরিদতপুর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও পুলিশ সুপার মো. শাহাজাহানকে।
কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান বলেন, নিয়াজ ও কাজল এলাকার ছেলে। আমি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পাশাপাশি আমি ১৪ নম্বর ওযার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে অর্থে এলাকার সকলেই আমার লোক। তিনি বলেন, ওই প্রকৌশলীকে মারধর করার কোন ঘটনা ঘটেনি। তার সাথে ওদের ধ্বস্তাধস্তি হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, ওই প্রকৌশলী ভালো লোক না। তিনি এওলাকার লোকদের কাজ না দিয়ে সিন্ডিকেট করে বাইরের ঠিকাদারদের কাজ দেন। আমাদের এখানে এসে বাইরের লোক কাজ করে টাকা আয় করে নিয়ে যান আর আমাদের ছেলেদের তা চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কোন কাজ থাকে না। তাই ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভ থাকতেই পারে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল গাফফার জানান, এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ইমরান বাদী হয়ে মো. নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধার নাম উল্লেখ করে সরকারি কাজে বাধা ও অফিসকক্ষে ঢুকে মারধর করার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
ফরিদপুরের নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটে (নগই) টেন্ডারে কাজ না পাওয়ায় ঠিকাদারের লোকজনদের মারধরের শিকার হয়েছেন জামালপুরের বাম্বু বান্ডেলিংয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আব্দুল্লাহ আল ইমরান (৪১)।
গত রবিবার বেলা ১১টা ৩৯ থেকে ১১টা ৪৫ পর্যন্ত এ মারপিটের ঘটনা ঘটে নগই-এ ওই পিডির কক্ষে। এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ আল ইমরান দুই ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করে গত রবিবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলাদায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এসময়ে হাড়কান্দি মহল্লার মো. নিয়াজ শেখ (২৭) ও কাজল মৃধা (২৫) নামে দুই ব্যাক্তি তার কক্ষে ঢুকে প্রথমে কক্ষের দরজার ছিটকিনি আটকে দিয়ে বাম্বু বান্ডেলিংয়ের টেন্ডার কেন তাদের দেওয়া হল না বলেই তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ মারধরের ঘটনায় তিনি (পিডি) অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় সহকর্মীরা এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে হামলাকারী ওই দুই ব্যক্তি ছিটকিনি খুলে পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, তারা বাম্বু বান্ডেলিংয়ের কাজ কেনো তাদের দেয়া হয়নি একথা বলে তাকে হুমকি দিতে থাকে। তিনি বলেন, ওই কাজের টেন্ডারের ওপেনিং হয়েছে ১০ নভেম্বর। এখনো কাজ কেউ পায়নি। টেন্ডারের ইভ্যালুয়েশনের (মূল্যায়ন) কাজ চলছে।
তিনি বলেন, তাকে মারধরের ঘটনার সাথে জড়িত নিয়াজ ও কাজল ফরিদপুর পৌরসভার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিয়ার রহমানের কাজ দেখাশুনা করেন।
আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, তিনি এ ব্যাপারে ফরিদতপুর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও পুলিশ সুপার মো. শাহাজাহানকে।
কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান বলেন, নিয়াজ ও কাজল এলাকার ছেলে। আমি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পাশাপাশি আমি ১৪ নম্বর ওযার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে অর্থে এলাকার সকলেই আমার লোক। তিনি বলেন, ওই প্রকৌশলীকে মারধর করার কোন ঘটনা ঘটেনি। তার সাথে ওদের ধ্বস্তাধস্তি হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, ওই প্রকৌশলী ভালো লোক না। তিনি এওলাকার লোকদের কাজ না দিয়ে সিন্ডিকেট করে বাইরের ঠিকাদারদের কাজ দেন। আমাদের এখানে এসে বাইরের লোক কাজ করে টাকা আয় করে নিয়ে যান আর আমাদের ছেলেদের তা চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কোন কাজ থাকে না। তাই ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভ থাকতেই পারে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল গাফফার জানান, এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ইমরান বাদী হয়ে মো. নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধার নাম উল্লেখ করে সরকারি কাজে বাধা ও অফিসকক্ষে ঢুকে মারধর করার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।