জাপানে জন্ম নেওয়া দুই শিশু বাবা ইমরান শরিফ নাকি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
রোববার (২২ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি দুই পক্ষের বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন একই বিচারক।
জাপানি নারীর আইনজীবী ব্যরিস্টার শিশির মনির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী ২৯ জানুয়ারি শিশুদের কাস্টডি বা হেফাজতের বিষয়ে রায় দেবে আদালত।
দুই শিশুকে বাবার জিম্মায় দিয়ে ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন মা নাকানো।
পরে আপিল বিভাগ ওই বছর ১৫ ডিসেম্বর এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা তা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেয়।
এরপর এই দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে তার নিষ্পত্তি পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ। ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এ আদেশ দেওয়া হয়। এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।
এসব ঘটনার মধ্যে ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে দুই সন্তান নিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান এরিকো নাকানো। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর বাবা ইমরান শরিফ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।
মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গতবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসেন এই জাপানি নারী। তিনি হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলে বিচারক।
কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাই কোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়। এরপর সন্তানদের অভিভাবকত্ব পেতে বাকি আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
জাপানে জন্ম নেওয়া দুই শিশু বাবা ইমরান শরিফ নাকি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
রোববার (২২ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি দুই পক্ষের বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন একই বিচারক।
জাপানি নারীর আইনজীবী ব্যরিস্টার শিশির মনির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী ২৯ জানুয়ারি শিশুদের কাস্টডি বা হেফাজতের বিষয়ে রায় দেবে আদালত।
দুই শিশুকে বাবার জিম্মায় দিয়ে ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন মা নাকানো।
পরে আপিল বিভাগ ওই বছর ১৫ ডিসেম্বর এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা তা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেয়।
এরপর এই দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে তার নিষ্পত্তি পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ। ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এ আদেশ দেওয়া হয়। এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।
এসব ঘটনার মধ্যে ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে দুই সন্তান নিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান এরিকো নাকানো। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর বাবা ইমরান শরিফ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।
মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গতবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসেন এই জাপানি নারী। তিনি হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলে বিচারক।
কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাই কোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়। এরপর সন্তানদের অভিভাবকত্ব পেতে বাকি আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।