alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান যৌন ব্যবসায় জড়িত ছিলেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাকে সহযোগিতা করতেন স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ওরফে কেয়া। মামুন রাজধানীর বনানীর যে ফ্ল্যাটে খুন হন, সেখানেই রবিউল তাঁর সহযোগীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালাতেন।

মামুন খুনের মামলায় ১৬৪ ধারার আদালতে দেওয়া সাত আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য রয়েছে। এই সাত আসামির মধ্যে রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়াও আছেন। রবিউল শুরু থেকে পলাতক। সুরাইয়া জামিনে গিয়ে সম্প্রতি পালিয়েছেন।

২০১৮ সালের ৮ জুলাই মামুন খুন হন। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তাঁর আধা পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে রবিউল, সুরাইয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

১০ আসামির মধ্যে ২ জন কিশোরী। তারা জামিনে আছে। অন্য আটজনের মধ্যে ছয়জন এখন কারাগারে। তাঁরা হলেন—রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)।

মামলাটি এখন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, মামুন হত্যাকাণ্ডের পর রবিউল ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বিয়ে করেন। পরে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। পাসপোর্টে নাম দেওয়া হয় আরাভ খান। এই পাসপোর্ট নিয়েই তিনি চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গত সপ্তাহে দুবাইয়ে তাঁর মালিকানাধীন ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ কয়েকজন তারকা যোগ দেন। এই প্রেক্ষাপটে রবিউল আলোচনায় আসেন।

সুরাইয়া তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে রবিউলের সঙ্গে তাঁর প্রথমে পরিচয়, পরে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, রবিউল যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি নারীদের সঙ্গে পুরুষের আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করতেন। একসময় তিনিও (সুরাইয়া) এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

সুরাইয়া জবানবন্দিতে বলেন, যৌন ব্যবসার জন্য বনানীর ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ফ্ল্যাটটি পাহারা দেওয়াসহ নানা কাজে যুক্ত ছিলেন স্বপন, দিদার, আতিক, মিজান ও সারোয়ার। তিনি (সুরাইয়া) দুই-এক দিন পরপর ফ্ল্যাটে গিয়ে যৌন ব্যবসার টাকা সংগ্রহ করতেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যার পর পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে বনানীর ফ্ল্যাটে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে খুন করা হয়।

মামুন খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়া অপর ছয় আসামিও বলেন, রবিউল যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বনানীর ফ্ল্যাটটির দায়িত্বে ছিলেন দিদার। তিনি তার জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দেড় বছর আগে রবিউলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। যৌন ব্যবসা করার জন্য রবিউল বনানীর ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। একসময় তিনিও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছিলেন ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপক। তিনি, আতিক, স্বপন, মিজান ও সারোয়ার ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। রবিউলের নির্দেশে ফ্ল্যাটে মেয়েদের সঙ্গে পুরুষের আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করতেন তারা।

পরবর্তী সময় সুরাইয়াসহ সাত আসামি আদালতের কাছে জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। লিখিতভাবে আদালতের কাছে দাবি করেন, পুলিশের ভয়ে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারা পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খুনের সঙ্গে জড়িত নন।

দীর্ঘ ৮ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হচ্ছে

ছবি

দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরু

ঈশ্বরগঞ্জে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, স্বাক্ষীকে থানায় ছ্যাঁকা দেওয়ার হুমকি

রায়পুরায় তিন সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা

ছবি

সোনারগাঁয় সাটার মিস্ত্রি অপহরণের পর ১২ টুকরা করে পানিতে ফেলে দেয়া হয়

ছবি

আধিপত্য টেন্ডার চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্বের বলি টিপু: ডিবি

ছবি

আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি

মুক্তিপণ না পেয়ে হাতের কব্জি কেটে নিল রোহিঙ্গা জাহাঙ্গীরের

সিলেটে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা ছেলের

ছবি

আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আরও চারজনের সাক্ষ্য

নড়াইলে শত্রুতার বিষে মরলো ৪ লক্ষাধিক টাকার গাভী, আরও ৫টি অসুস্থ

ছবি

পিবিআইয়ের এক মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন

নোয়াখালীতে লাঠির আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু

বকশীগঞ্জে চালকের গলা কেটে ছিনতাই করা অটোভ্যান সহ গ্রেপ্তার-১

মাতারবাড়িতে অস্ত্রসহ ডাকাত নাছির গ্রেফতার

ছবি

ফটোশপের কাজ শিখে যেভাবে সাইবার প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েন জিসান

ছবি

মুক্তিপণের দাবিতে ব্যবসায়ীকে জিম্মি : মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২

স্ত্রীকে ভারতে পাচারের দায়ে সাতক্ষীরার ইব্রাহিম খলিলের ১৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড

কক্সবাজারে ফের সক্রিয় মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট

ছবি

নারায়ণগঞ্জে শিশু অপহরণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

ছবি

ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে দুদক

নড়াইলে ইজিভ্যান চালককে হত্যা

ছবি

বগুড়ায় ছিনতাই চক্রের সাত সদস্য গ্রেফতার

ছবি

মাদারীপুরে জঙ্গল থেকে মহিলার মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ভিসা পাওয়ার আগেই বিমান টিকেট, এজেন্সিকে শোকজ

হাতিয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা: স্বামী গ্রেফতার

৭ হাজার গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে

বিমানবন্দরে ১০ লাখ টাকার ইয়াবাসহ একজন আটক

ছবি

খোকন-শিরিনসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

জামালপুরে পাঁচ স্কুল ছাত্রকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষে যুবক খুন, আটক

সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশ সদস্যকে মারপিট

ছবি

নরসিংদীতে ছাত্রদলের শোভাযাত্রায় গুলি দুই জন নিহত, অগ্নিসংযোগ ভাংচুর

জাজিরায় জমি বিরোধে আপন ভাই সহ পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা : ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ১

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান যৌন ব্যবসায় জড়িত ছিলেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাকে সহযোগিতা করতেন স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ওরফে কেয়া। মামুন রাজধানীর বনানীর যে ফ্ল্যাটে খুন হন, সেখানেই রবিউল তাঁর সহযোগীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালাতেন।

মামুন খুনের মামলায় ১৬৪ ধারার আদালতে দেওয়া সাত আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য রয়েছে। এই সাত আসামির মধ্যে রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়াও আছেন। রবিউল শুরু থেকে পলাতক। সুরাইয়া জামিনে গিয়ে সম্প্রতি পালিয়েছেন।

২০১৮ সালের ৮ জুলাই মামুন খুন হন। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তাঁর আধা পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে রবিউল, সুরাইয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

১০ আসামির মধ্যে ২ জন কিশোরী। তারা জামিনে আছে। অন্য আটজনের মধ্যে ছয়জন এখন কারাগারে। তাঁরা হলেন—রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)।

মামলাটি এখন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, মামুন হত্যাকাণ্ডের পর রবিউল ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বিয়ে করেন। পরে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। পাসপোর্টে নাম দেওয়া হয় আরাভ খান। এই পাসপোর্ট নিয়েই তিনি চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গত সপ্তাহে দুবাইয়ে তাঁর মালিকানাধীন ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ কয়েকজন তারকা যোগ দেন। এই প্রেক্ষাপটে রবিউল আলোচনায় আসেন।

সুরাইয়া তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে রবিউলের সঙ্গে তাঁর প্রথমে পরিচয়, পরে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, রবিউল যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি নারীদের সঙ্গে পুরুষের আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করতেন। একসময় তিনিও (সুরাইয়া) এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

সুরাইয়া জবানবন্দিতে বলেন, যৌন ব্যবসার জন্য বনানীর ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ফ্ল্যাটটি পাহারা দেওয়াসহ নানা কাজে যুক্ত ছিলেন স্বপন, দিদার, আতিক, মিজান ও সারোয়ার। তিনি (সুরাইয়া) দুই-এক দিন পরপর ফ্ল্যাটে গিয়ে যৌন ব্যবসার টাকা সংগ্রহ করতেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যার পর পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে বনানীর ফ্ল্যাটে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে খুন করা হয়।

মামুন খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়া অপর ছয় আসামিও বলেন, রবিউল যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বনানীর ফ্ল্যাটটির দায়িত্বে ছিলেন দিদার। তিনি তার জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দেড় বছর আগে রবিউলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। যৌন ব্যবসা করার জন্য রবিউল বনানীর ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। একসময় তিনিও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছিলেন ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপক। তিনি, আতিক, স্বপন, মিজান ও সারোয়ার ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। রবিউলের নির্দেশে ফ্ল্যাটে মেয়েদের সঙ্গে পুরুষের আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করতেন তারা।

পরবর্তী সময় সুরাইয়াসহ সাত আসামি আদালতের কাছে জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। লিখিতভাবে আদালতের কাছে দাবি করেন, পুলিশের ভয়ে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারা পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খুনের সঙ্গে জড়িত নন।

back to top