স্বামী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে না দেয়ায় র্নিযাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের কেরেছে গৃহবধু আফসানা মিমি। মামলার কারনে তাকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা তুলে না নিলে পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা করে সর্বশান্ত করার হুমকি দেয়া হচ্ছে এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে জান্ গেছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে ২০১৮ সালে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার জামালপুর গ্রামের আফসার আলী বাবুর কন্যা আফসানা মিমির সাথে পুলিশে কনষ্টবল পদে কর্মরত রংপুর নগরীর পশুরাম থানার নিয়ামত পাড়া মহল্লার রাজ্জাক মিয়ার ছেলে ইসমাইল সরকারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জমি বিক্রি করে মেয়েকে আসবাবপত্র সোনার গহনাসহ বিভিন্ন মালামাল প্রদান করে মিমির পরিবার। কিছুদিন পরেই স্বামী পুলিশ সদস্য ইসমাইল পুলিশে চাকুরী নিতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে জানিয়ে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সহায় সম্বলহীন বাবা-মার পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব নয় জানালে মিমিকে প্রায়শই নির্যাতন করতো স্বামী পুলিশ সদস্য ইসমাইল। ২০১৯ সালে ৭ মে আবারো মিমিকে নির্যাতন করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। গুরতর অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধু মিমিকে পলাশবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হবার পর মেয়ের ভবিষতের কথা ভেবে আবারো ৩ লাখ দিয়ে গৃহবধু মিমিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা। এরপর আবারো ৫ লাখ যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা শুরু করে স্বামী ইসমাইল। ইতিমধ্যে আফসানা মিমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে পুলিশ কনষ্টবল স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য এবরশন করার চাপ সৃষ্টি করে। এরপর জোর করে ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করে। সেই সাথে যৌতুকের জন্য আবারো নির্যাতন শুরু করে। এতে গৃহবধু মিমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর নগরীর কমিউিনিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এবং সেখানে তাকে জোর করে এবরশন করিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে। এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে পশুরাম মেট্রোপলিটান থানায় গৃহবধু মিমির স্বজনরা এজাহার দিতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা দায়ের করতে বলে।
গৃহবধু আফসানা মিমি রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে পুলিশ সদস্য ইসমাইলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর ২৯৮/২০২২। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধিন আছে।
মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামী পুলিশ কনষ্টবল ইসমাইল মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি ধামকি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এমনকি আদালত চত্বরেও হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেন গৃহবধু মিমি।
এদিকে মামলা তুলে না নেয়ায় পুলিশ সদস্য ৬ মাসের আগের ঘটনা দেখিয়ে মিমিসহ স্বজনদের নামে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় বিজ্ঞ বিচারক তদন্ত করার জন্য পশুরাম থানাকে নির্দ্দেশ দেয়। ওই থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন পুলিশ কনষ্টবল ইসমাইল হোসেনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার পক্ষে ৩ মাস পর একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গৃহবধু আফসানা মিমি। তিনি অভিযোগ করেন যে ঘটনার বর্ননা দেয়া হয়েছে সে সময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলেন বিষয়টি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র প্রদান করেও লাভ হয়নি। পুরো ঘটনা পুনরায় তদন্ত করে এবং তার জীবন রক্ষার দাবি জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে আফসানা মিমি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
স্বামী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে না দেয়ায় র্নিযাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের কেরেছে গৃহবধু আফসানা মিমি। মামলার কারনে তাকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা তুলে না নিলে পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা করে সর্বশান্ত করার হুমকি দেয়া হচ্ছে এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে জান্ গেছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে ২০১৮ সালে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার জামালপুর গ্রামের আফসার আলী বাবুর কন্যা আফসানা মিমির সাথে পুলিশে কনষ্টবল পদে কর্মরত রংপুর নগরীর পশুরাম থানার নিয়ামত পাড়া মহল্লার রাজ্জাক মিয়ার ছেলে ইসমাইল সরকারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জমি বিক্রি করে মেয়েকে আসবাবপত্র সোনার গহনাসহ বিভিন্ন মালামাল প্রদান করে মিমির পরিবার। কিছুদিন পরেই স্বামী পুলিশ সদস্য ইসমাইল পুলিশে চাকুরী নিতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে জানিয়ে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সহায় সম্বলহীন বাবা-মার পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব নয় জানালে মিমিকে প্রায়শই নির্যাতন করতো স্বামী পুলিশ সদস্য ইসমাইল। ২০১৯ সালে ৭ মে আবারো মিমিকে নির্যাতন করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। গুরতর অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধু মিমিকে পলাশবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হবার পর মেয়ের ভবিষতের কথা ভেবে আবারো ৩ লাখ দিয়ে গৃহবধু মিমিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা। এরপর আবারো ৫ লাখ যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা শুরু করে স্বামী ইসমাইল। ইতিমধ্যে আফসানা মিমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে পুলিশ কনষ্টবল স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য এবরশন করার চাপ সৃষ্টি করে। এরপর জোর করে ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করে। সেই সাথে যৌতুকের জন্য আবারো নির্যাতন শুরু করে। এতে গৃহবধু মিমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর নগরীর কমিউিনিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এবং সেখানে তাকে জোর করে এবরশন করিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে। এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে পশুরাম মেট্রোপলিটান থানায় গৃহবধু মিমির স্বজনরা এজাহার দিতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা দায়ের করতে বলে।
গৃহবধু আফসানা মিমি রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে পুলিশ সদস্য ইসমাইলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর ২৯৮/২০২২। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধিন আছে।
মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামী পুলিশ কনষ্টবল ইসমাইল মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি ধামকি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এমনকি আদালত চত্বরেও হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেন গৃহবধু মিমি।
এদিকে মামলা তুলে না নেয়ায় পুলিশ সদস্য ৬ মাসের আগের ঘটনা দেখিয়ে মিমিসহ স্বজনদের নামে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় বিজ্ঞ বিচারক তদন্ত করার জন্য পশুরাম থানাকে নির্দ্দেশ দেয়। ওই থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন পুলিশ কনষ্টবল ইসমাইল হোসেনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার পক্ষে ৩ মাস পর একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গৃহবধু আফসানা মিমি। তিনি অভিযোগ করেন যে ঘটনার বর্ননা দেয়া হয়েছে সে সময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলেন বিষয়টি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র প্রদান করেও লাভ হয়নি। পুরো ঘটনা পুনরায় তদন্ত করে এবং তার জীবন রক্ষার দাবি জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে আফসানা মিমি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।