নরসিংদীতে জেলা ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। দু’জনের মধ্যে একজন সাদেকুর রহমান (৩২) বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। অপর আহত আশরাফুল হক (২২) শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও বিক্ষোভ মিছিল হয় শহের। নরসিংদী শহর এখন উত্তপ্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা নরসিংদী শহরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন। এতে অন্তত ৫০টি মোটরসাইকেলে শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণের পর জেলখানা মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পার হয়ে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল শোভাযাত্রাটি। এ সময় হঠাৎ মিছিলে গুলি ছুড়ে দুর্বৃৃত্তরা।
এসময় গুলিবিদ্ধ সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল হককে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢামেক হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদেকুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত আশরাফুল হক শুক্রবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত সাদেকুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও নরসিংদী শহরের হাজীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলা উদ্দিনের ছেলে এবং আশরাফুল হক জেলা ছাত্রদলের কর্মী ও নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকার নাজমুল হকের ছেলে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম এর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে সাদেকুর রহমানের সমর্থকরা।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা ও সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্র দলের সহ-সভাপতি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশে আমাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি চাই।
গত ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ। দীর্ঘ ১২ বছর পর ঘোষিত ওই কমিটিতে সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া। প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি কমিটি ঘোষণার পর রাতেই পদবঞ্চিত নেতাদের ২০-২৫ জন সমর্থক জেলা বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে শতাধিক প্লাস্টিকের চেয়ার, ব্যানার, প্রচারপত্র ও ফেস্টুনে আগুন লাগিয়ে দেন এবং ইটপাটকেল ছুড়ে কার্যালয়টির জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। ৩০ জানুয়ারি বিকেলে ওই স্থানেই খায়রুল কবির খোকনের কুশপুত্তলিকা পোড়ান তাঁরা। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফা কমিটি বাতিলের দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে শিবপুরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা মোড়ে খায়রুল কবির খোকনের গাড়িবহরে গুলি ও ককটেল ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার কারণে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মাইন উদ্দিনসহ তিন ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
বহিস্কারের পর পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা থেমে থাকেনি। তাদের প্রত্যাশীত পদ পাওয়ার জন্য তারা শহরে একের পর এক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও আন্দোলন করেই যাচ্ছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ এপ্রিল কার্যালয়টিতে হামলা চালিয়ে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও ইট-পাটকেল ছোড়েন তাঁরা। গত ২০ মে দুপুরে পূনরায় ইটপাটকেল ছুড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়টির কাচ ভাঙচুর করে। সর্ব শেষে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে ৫০টি মোটরসাইলে নিয়ে শতাধিক ছাত্রদলের নেতাকর্মী বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের দিকে গেলে মিছিলে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন জানান, ‘জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হওয়ার পর থেকে পুলিশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা আমাদের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। এখন তারা নিজেরা নিজেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বলছে।’
এব্যাপারে পদবঞ্চিত নামপ্রকাশে অনুচ্ছিক ছাত্রদলের একজন নেতা বলেন, জেলায় বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন নিজেই দায়ী। তাঁর মনগড়া কমিটি ঘোষণার কারণেই আজ নরসিংদীর এ ভয়াবহ অবস্থা। মানুষ মরছে, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হচ্ছে।
এদিকে নিহত ছাদেকুর রহমানের নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ আছর বাদুয়ারচর দারুল উলুম ইসলামী এতিম খানা মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে হাজীপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নরসিংদী শহরে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। শহরের মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। অভিজ্ঞ মহল বলছেন, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
এব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম ভূইয়া সাথে বার বার মোবাইল ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে এব্যাপারে কোনো তথ্য পুলিশ দেয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টা) মামলা হয়নি। নিহত আশরাফুল হকের লাশ এখন নরসিংদীতে পৌছেনি বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
নরসিংদীতে জেলা ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। দু’জনের মধ্যে একজন সাদেকুর রহমান (৩২) বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। অপর আহত আশরাফুল হক (২২) শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও বিক্ষোভ মিছিল হয় শহের। নরসিংদী শহর এখন উত্তপ্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা নরসিংদী শহরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন। এতে অন্তত ৫০টি মোটরসাইকেলে শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণের পর জেলখানা মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পার হয়ে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল শোভাযাত্রাটি। এ সময় হঠাৎ মিছিলে গুলি ছুড়ে দুর্বৃৃত্তরা।
এসময় গুলিবিদ্ধ সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল হককে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢামেক হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদেকুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত আশরাফুল হক শুক্রবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত সাদেকুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও নরসিংদী শহরের হাজীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলা উদ্দিনের ছেলে এবং আশরাফুল হক জেলা ছাত্রদলের কর্মী ও নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকার নাজমুল হকের ছেলে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম এর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে সাদেকুর রহমানের সমর্থকরা।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা ও সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্র দলের সহ-সভাপতি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশে আমাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি চাই।
গত ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ। দীর্ঘ ১২ বছর পর ঘোষিত ওই কমিটিতে সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া। প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি কমিটি ঘোষণার পর রাতেই পদবঞ্চিত নেতাদের ২০-২৫ জন সমর্থক জেলা বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে শতাধিক প্লাস্টিকের চেয়ার, ব্যানার, প্রচারপত্র ও ফেস্টুনে আগুন লাগিয়ে দেন এবং ইটপাটকেল ছুড়ে কার্যালয়টির জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। ৩০ জানুয়ারি বিকেলে ওই স্থানেই খায়রুল কবির খোকনের কুশপুত্তলিকা পোড়ান তাঁরা। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফা কমিটি বাতিলের দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে শিবপুরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা মোড়ে খায়রুল কবির খোকনের গাড়িবহরে গুলি ও ককটেল ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার কারণে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মাইন উদ্দিনসহ তিন ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
বহিস্কারের পর পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা থেমে থাকেনি। তাদের প্রত্যাশীত পদ পাওয়ার জন্য তারা শহরে একের পর এক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও আন্দোলন করেই যাচ্ছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ এপ্রিল কার্যালয়টিতে হামলা চালিয়ে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও ইট-পাটকেল ছোড়েন তাঁরা। গত ২০ মে দুপুরে পূনরায় ইটপাটকেল ছুড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়টির কাচ ভাঙচুর করে। সর্ব শেষে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে ৫০টি মোটরসাইলে নিয়ে শতাধিক ছাত্রদলের নেতাকর্মী বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের দিকে গেলে মিছিলে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন জানান, ‘জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হওয়ার পর থেকে পুলিশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা আমাদের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। এখন তারা নিজেরা নিজেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বলছে।’
এব্যাপারে পদবঞ্চিত নামপ্রকাশে অনুচ্ছিক ছাত্রদলের একজন নেতা বলেন, জেলায় বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন নিজেই দায়ী। তাঁর মনগড়া কমিটি ঘোষণার কারণেই আজ নরসিংদীর এ ভয়াবহ অবস্থা। মানুষ মরছে, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হচ্ছে।
এদিকে নিহত ছাদেকুর রহমানের নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ আছর বাদুয়ারচর দারুল উলুম ইসলামী এতিম খানা মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে হাজীপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নরসিংদী শহরে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। শহরের মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। অভিজ্ঞ মহল বলছেন, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
এব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম ভূইয়া সাথে বার বার মোবাইল ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে এব্যাপারে কোনো তথ্য পুলিশ দেয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টা) মামলা হয়নি। নিহত আশরাফুল হকের লাশ এখন নরসিংদীতে পৌছেনি বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।