কক্সবাজারের টেকনাফে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহৃত পাঁচ রোহিঙ্গার মাঝে এক যুবকের বাম হাতের কব্জি কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩ জুন) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ আলীখালী ডি/২০ ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা হতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় রোহিঙ্গারা তাকে উদ্ধার করেন। ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাকি চারজনের এখনও কোনো হদিস নেই।
হাতের কব্জি কর্তন করা জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফ আলীখালী ২৫ নম্বর ক্যাম্প ব্লক ডি/২১ এর সামসু আলমের ছেলে।
টেকনাফের আলীখালী ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন জানান, গেল শুক্রবার রাতে ২৫ নম্বর ক্যাম্প থেকে ১২-১৫ জনের অস্ত্রধারী একটি দল পাঁচ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।
পরে শনিবার রাত ৯টার দিকে জানতে পারেন আলীখালী ক্যাম্পে ডি/২১ ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অপহৃতদের একজনকে বাম হাতের কব্জি কর্তন করে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন বলেন, পাঁচ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করার পর অপহরণকারীরা পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।
টাকা না পেয়ে একজনের হাতে কব্জি কেটে ফেলে রেখে গেছে। অপহৃত বাকি চারজনের এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার জামাল পাশাকে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, পাহাড় সন্নিবেশিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকা থেকে বারবার অপহরণের ঘটনা ঘটছে।
আমরা অনেকজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এ পাঁচজন অপহরণের বিষয়ে থানায় কেউ কিছু বলেনি। কব্জি কর্তন অবস্থায় একজনকে উদ্ধারের বিষয়েও জানায়নি, তবে বিষয়টি শুনেছি। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, বাম হাতের কব্জি কাটা জাহাঙ্গীর নামে এক রোহিঙ্গা ছেলে হাসপাতালে ভর্তি আছে। চিকিৎসা চলমান।
রোববার, ০৪ জুন ২০২৩
কক্সবাজারের টেকনাফে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহৃত পাঁচ রোহিঙ্গার মাঝে এক যুবকের বাম হাতের কব্জি কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩ জুন) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ আলীখালী ডি/২০ ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা হতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় রোহিঙ্গারা তাকে উদ্ধার করেন। ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাকি চারজনের এখনও কোনো হদিস নেই।
হাতের কব্জি কর্তন করা জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফ আলীখালী ২৫ নম্বর ক্যাম্প ব্লক ডি/২১ এর সামসু আলমের ছেলে।
টেকনাফের আলীখালী ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন জানান, গেল শুক্রবার রাতে ২৫ নম্বর ক্যাম্প থেকে ১২-১৫ জনের অস্ত্রধারী একটি দল পাঁচ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।
পরে শনিবার রাত ৯টার দিকে জানতে পারেন আলীখালী ক্যাম্পে ডি/২১ ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অপহৃতদের একজনকে বাম হাতের কব্জি কর্তন করে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন বলেন, পাঁচ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করার পর অপহরণকারীরা পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।
টাকা না পেয়ে একজনের হাতে কব্জি কেটে ফেলে রেখে গেছে। অপহৃত বাকি চারজনের এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার জামাল পাশাকে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, পাহাড় সন্নিবেশিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকা থেকে বারবার অপহরণের ঘটনা ঘটছে।
আমরা অনেকজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এ পাঁচজন অপহরণের বিষয়ে থানায় কেউ কিছু বলেনি। কব্জি কর্তন অবস্থায় একজনকে উদ্ধারের বিষয়েও জানায়নি, তবে বিষয়টি শুনেছি। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, বাম হাতের কব্জি কাটা জাহাঙ্গীর নামে এক রোহিঙ্গা ছেলে হাসপাতালে ভর্তি আছে। চিকিৎসা চলমান।