রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামে তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ আফছানা আক্তার(২৮)কে বুধবার রাত ৮টার দিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
তার পাষন্ড স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী হযরত আলী পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগিতায় এ হত্যাকান্ডের ঘটিয়েছে বলে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী গ্রাম করিমগঞ্জের বাসিন্দা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দিনের মেয়ে আফছানা আক্তারের সাথে ২০১১ সালে নলবাটা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়ার ছেলে হযরত আলীর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তারা দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী।
বিয়ের কিছুদিন পর হযরত আলী মালয়েশিয়ায় তার কর্মস্থলে যোগদান করে। প্রতিবছরই দেশে আসা যাওয়া ছিল হযরত আলীর। গত কয়েক বছর যাবৎ টাকাপয়সা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে গৃহবধূ আফছানার ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হতো আফছানা। স্বামী হযরত আলী গত ২ মে মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি আসে। এসেই স্ত্রী আফছানাকে কয়েক দফা মারধর করে হযরত আলী। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে হযরত আলী ও তার পরিবারের লোকজন গৃহবধূ আফছানাকে বেদম মারপিট শেষে বাড়ির আঙ্গীনার পাশে ফেলে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় । এক সিএনজি চালকের মাধ্যমে খবর পেয়ে আফছানার মা ও ভাই মোহাম্মদ আলী নলবাটা গ্রামে আফছানার শশুর বাড়ি গিয়ে তিন শিশুকে কান্নাকাটি করতে দেখতে পায়। বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। সবাই পালিয়ে গেছে। প্রথমে আফছানাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। পরে ঘরের আঙ্গিনার পাশে গলা কাটা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। গলা কাটা ছাড়াও দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানায় নিহতের দুলাভাই কবীর মিয়া।
খবর পেয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামে তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ আফছানা আক্তার(২৮)কে বুধবার রাত ৮টার দিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
তার পাষন্ড স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী হযরত আলী পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগিতায় এ হত্যাকান্ডের ঘটিয়েছে বলে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী গ্রাম করিমগঞ্জের বাসিন্দা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দিনের মেয়ে আফছানা আক্তারের সাথে ২০১১ সালে নলবাটা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়ার ছেলে হযরত আলীর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তারা দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী।
বিয়ের কিছুদিন পর হযরত আলী মালয়েশিয়ায় তার কর্মস্থলে যোগদান করে। প্রতিবছরই দেশে আসা যাওয়া ছিল হযরত আলীর। গত কয়েক বছর যাবৎ টাকাপয়সা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে গৃহবধূ আফছানার ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হতো আফছানা। স্বামী হযরত আলী গত ২ মে মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি আসে। এসেই স্ত্রী আফছানাকে কয়েক দফা মারধর করে হযরত আলী। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে হযরত আলী ও তার পরিবারের লোকজন গৃহবধূ আফছানাকে বেদম মারপিট শেষে বাড়ির আঙ্গীনার পাশে ফেলে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় । এক সিএনজি চালকের মাধ্যমে খবর পেয়ে আফছানার মা ও ভাই মোহাম্মদ আলী নলবাটা গ্রামে আফছানার শশুর বাড়ি গিয়ে তিন শিশুকে কান্নাকাটি করতে দেখতে পায়। বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। সবাই পালিয়ে গেছে। প্রথমে আফছানাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। পরে ঘরের আঙ্গিনার পাশে গলা কাটা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। গলা কাটা ছাড়াও দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানায় নিহতের দুলাভাই কবীর মিয়া।
খবর পেয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।