এইচএসসি পরীক্ষা
মুন্সিগঞ্জে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষায় মামাতো বোনের হয়ে ‘প্রক্সি’ দিতে এসে ধরা পড়েছেন ফুফাতো বোন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ কেন্দ্রে ওই ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া আক্তারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আটক ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীর নাম সাদিয়া আক্তার (২২)। তিনি মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদারপাড়া এলাকার আওলাদ হোসেনের মেয়ে এবং মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়ার ফুফাতো বোন। জেসিয়া সরকারি মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত হল সুপার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জেসিয়া আক্তার মূল পরীক্ষার্থী। আজ ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলছিল। ৭৫০১ নম্বর কক্ষে জেসিয়ার আসনে বসে সাদিয়া আক্তার পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের সঙ্গে চেহারা মিলিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছিল। জেসিয়ার আসনে বসা পরীক্ষার্থী বোরকা পরে ছিলেন। কিন্তু তিনি বোরকার নিকাব খুলে চেহারা দেখাতে চাইছিলেন না। তাঁর কথাবার্তাও অসংলগ্ন ছিল। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, জেসিয়ার হয়ে তিনি ‘প্রক্সি’ পরীক্ষা দিতে আসেন। পরে ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয় এবং মূল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিফা খান বলেন, বেলা পৌনে ১১টায় খবর পেয়ে তিনি ওই কলেজে যান। ওই ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী মেয়েটিকে কলেজ থেকে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন। সেখানে মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া ও ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী সাদিয়ার অভিভাবকদেরও ডাকা হয়। এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত, নাকি অন্য কোনো আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
আফিফা খান আরও বলেন, আটক সাদিয়া ও মূল পরীক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া গতবার ভূগোল ও ইংরেজিতে অকৃতকার্য হন। এবার শরীরে টিউমারজনিত অসুস্থতা। তাই তাঁর হয়ে সাদিয়া ইংরেজি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
এইচএসসি পরীক্ষা
মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩
মুন্সিগঞ্জে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষায় মামাতো বোনের হয়ে ‘প্রক্সি’ দিতে এসে ধরা পড়েছেন ফুফাতো বোন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ কেন্দ্রে ওই ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া আক্তারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আটক ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীর নাম সাদিয়া আক্তার (২২)। তিনি মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদারপাড়া এলাকার আওলাদ হোসেনের মেয়ে এবং মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়ার ফুফাতো বোন। জেসিয়া সরকারি মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত হল সুপার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জেসিয়া আক্তার মূল পরীক্ষার্থী। আজ ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলছিল। ৭৫০১ নম্বর কক্ষে জেসিয়ার আসনে বসে সাদিয়া আক্তার পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের সঙ্গে চেহারা মিলিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছিল। জেসিয়ার আসনে বসা পরীক্ষার্থী বোরকা পরে ছিলেন। কিন্তু তিনি বোরকার নিকাব খুলে চেহারা দেখাতে চাইছিলেন না। তাঁর কথাবার্তাও অসংলগ্ন ছিল। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, জেসিয়ার হয়ে তিনি ‘প্রক্সি’ পরীক্ষা দিতে আসেন। পরে ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয় এবং মূল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিফা খান বলেন, বেলা পৌনে ১১টায় খবর পেয়ে তিনি ওই কলেজে যান। ওই ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী মেয়েটিকে কলেজ থেকে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন। সেখানে মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া ও ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী সাদিয়ার অভিভাবকদেরও ডাকা হয়। এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত, নাকি অন্য কোনো আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
আফিফা খান আরও বলেন, আটক সাদিয়া ও মূল পরীক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া গতবার ভূগোল ও ইংরেজিতে অকৃতকার্য হন। এবার শরীরে টিউমারজনিত অসুস্থতা। তাই তাঁর হয়ে সাদিয়া ইংরেজি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।