শিক্ষা ক্যাডারে বিদ্যমান নানা বৈষম নিরসন না করলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির’ ব্যানারে শিক্ষা ক্যাডারদের নেতারা। আজ মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষা রূপান্তরের অন্যতম কারিগর শিক্ষা ক্যাডাররা। কিন্তু প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তা ১০-১২ বছর ধরে পদোন্নতি পাচ্ছেন না।
পদোন্নতির মতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেও এই ক্যাডাররা অন্য ক্যাডারের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না এ ক্যাডারের সদস্যরা। দীর্ঘ সময় পর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলেও যোগ্য সকল কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি।
২৯ বছর চাকরি করেও ‘যোগ্য’ কর্মকর্তাদের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে দাবি করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বর্তমানে প্রায় সাত হাজার শিক্ষা ক্যাডার পদোন্নতিযোগ্য রয়েছেন। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে এক হাজার ২০০ জন, সহযোগী অধ্যাপক পদে তিন হাজার জন ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য রয়েছেন প্রায় তিন হাজার জন। এসব কর্মকর্তা পদোন্নতিযোগ্য পদের বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় আছেন, অথাৎ তাদের পদোন্নতি দিলে সরকারের বাড়তি কোনো অর্থে প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পদোন্নতি না পাওয়ায় এই শিক্ষা ক্যাডাররা চাকরিজীবনে হতাশা প্রকাশ করছেন, চাকরিতে সন্তুষ্টি পাচ্ছেন না।’
শিক্ষা ক্যাডার নেতারা বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে ‘প্রাপ্যতা’ অনুযায়ী পদোন্নতি হচ্ছে না, পদসৃজনও হচ্ছে না- এর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ছে শিক্ষায়। পদোন্নতি না পেয়ে শিক্ষকরা সামাজিকভাবে ‘অমর্যাদাকর’ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ক্যাডারে দ্রƒত পদোন্নতি দেওয়া না হলে খুব শিগগিরই বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্যা।
তিনি বলেন, অন্য ক্যাডারে ২৪তম ব্যাচ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এডিশনাল ডিআইজি, জেলা জজ হয়েছেন। কিন্তু এই ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডারের ‘সিংহভাগ’ কর্মকর্তা এখনো সহকারি অধ্যাপকই রয়ে গেছেন।
এছাড়া অন্য ক্যাডারের ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে পরবর্তী পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের ২৮ ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা প্রভাষকই থেকে গেছেন।’
শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ১৬ হাজার সদস্য রয়েছেন। তারা সারা দেশের সরকারি কলেজ, শিক্ষা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও অধিদপ্তরে কর্মরত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক দবিউর রহমান, অধ্যাপক মামুন উল হক, প্রচার সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর, আইন সচিব দেলোয়ার হোসেন, সহ-প্রচার সচিব সরকার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ দিদার উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিক্ষা ক্যাডারে বিদ্যমান নানা বৈষম নিরসন না করলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির’ ব্যানারে শিক্ষা ক্যাডারদের নেতারা। আজ মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষা রূপান্তরের অন্যতম কারিগর শিক্ষা ক্যাডাররা। কিন্তু প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তা ১০-১২ বছর ধরে পদোন্নতি পাচ্ছেন না।
পদোন্নতির মতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেও এই ক্যাডাররা অন্য ক্যাডারের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না এ ক্যাডারের সদস্যরা। দীর্ঘ সময় পর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলেও যোগ্য সকল কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি।
২৯ বছর চাকরি করেও ‘যোগ্য’ কর্মকর্তাদের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে দাবি করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বর্তমানে প্রায় সাত হাজার শিক্ষা ক্যাডার পদোন্নতিযোগ্য রয়েছেন। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে এক হাজার ২০০ জন, সহযোগী অধ্যাপক পদে তিন হাজার জন ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য রয়েছেন প্রায় তিন হাজার জন। এসব কর্মকর্তা পদোন্নতিযোগ্য পদের বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় আছেন, অথাৎ তাদের পদোন্নতি দিলে সরকারের বাড়তি কোনো অর্থে প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পদোন্নতি না পাওয়ায় এই শিক্ষা ক্যাডাররা চাকরিজীবনে হতাশা প্রকাশ করছেন, চাকরিতে সন্তুষ্টি পাচ্ছেন না।’
শিক্ষা ক্যাডার নেতারা বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে ‘প্রাপ্যতা’ অনুযায়ী পদোন্নতি হচ্ছে না, পদসৃজনও হচ্ছে না- এর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ছে শিক্ষায়। পদোন্নতি না পেয়ে শিক্ষকরা সামাজিকভাবে ‘অমর্যাদাকর’ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ক্যাডারে দ্রƒত পদোন্নতি দেওয়া না হলে খুব শিগগিরই বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্যা।
তিনি বলেন, অন্য ক্যাডারে ২৪তম ব্যাচ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এডিশনাল ডিআইজি, জেলা জজ হয়েছেন। কিন্তু এই ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডারের ‘সিংহভাগ’ কর্মকর্তা এখনো সহকারি অধ্যাপকই রয়ে গেছেন।
এছাড়া অন্য ক্যাডারের ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে পরবর্তী পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের ২৮ ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা প্রভাষকই থেকে গেছেন।’
শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ১৬ হাজার সদস্য রয়েছেন। তারা সারা দেশের সরকারি কলেজ, শিক্ষা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও অধিদপ্তরে কর্মরত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক দবিউর রহমান, অধ্যাপক মামুন উল হক, প্রচার সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর, আইন সচিব দেলোয়ার হোসেন, সহ-প্রচার সচিব সরকার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ দিদার উপস্থিত ছিলেন।