দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সিআইডির অভিযানে আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিআইডির সাইবার টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তাদের মধ্যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষিকা ও ৬ জন ডাক্তার রয়েছেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে, প্রশ্নফাঁসের বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মালিবাগ সিআইডি অফিস থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ১. মাকসুদা আক্তার মালা ২. ডা. একেএম বশিরুল হক ৩. ডা. অনিমেষ কুমার কুন্ড ৪. জাকিয়া ফারইভা ইভানা ৫. সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী ৬. জাকারিয়া আশরাফ ও ৭. মৈত্রী সাহা।
সিআইডির তথ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃত মাকসুদা আক্তার মালা (৫২) মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। তিনি ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে ইকরাসহ আরও ৭ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ডা. একেএম বশিরুল হক (৪৮) থ্রি ডক্টর কোচিং সেন্টারের পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত একাধিক আসামির স্বীকারোক্তিতে ডা. বশিরুলের নাম রয়েছে বলে সিআইডি জানিয়েছে। এছাড়া প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিমের গোপন ডাইরিতে নাম রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ডা. অনিমেষ কুমার কুন্ড (৩৩) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসার। ২০১৫ সালে ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্ন পড়িয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত জাকিয়া ফারইভা ইভানা (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। ডা. ইভানা ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৬০তম স্থান অর্জন করেছেন। মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যতম মূল হোতা ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমে প্রধানের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী (২৫) রংপুর মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির চান্স পেয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া আশরাফ (২৬) ও মৈত্রী সাহা (২৭), ২০১৫-২০১৬ সেশনের ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষাথী। এ দুজন অভিযুক্ত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির চান্স পেয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রয়েছে। তাদের হেফাজত থেকে ৮টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ১২ ডাক্তারসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার টিম। তাদের মধ্যে ১০ জন মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
অভিযুক্ত আসামিদের কাছ থেকে মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রের অন্য সদস্য ও মেডিকেল প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন কলেজে অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া যায়।
এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন ডায়েরি থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সিআইডির অভিযানে আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিআইডির সাইবার টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তাদের মধ্যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষিকা ও ৬ জন ডাক্তার রয়েছেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে, প্রশ্নফাঁসের বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মালিবাগ সিআইডি অফিস থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ১. মাকসুদা আক্তার মালা ২. ডা. একেএম বশিরুল হক ৩. ডা. অনিমেষ কুমার কুন্ড ৪. জাকিয়া ফারইভা ইভানা ৫. সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী ৬. জাকারিয়া আশরাফ ও ৭. মৈত্রী সাহা।
সিআইডির তথ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃত মাকসুদা আক্তার মালা (৫২) মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। তিনি ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে ইকরাসহ আরও ৭ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ডা. একেএম বশিরুল হক (৪৮) থ্রি ডক্টর কোচিং সেন্টারের পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত একাধিক আসামির স্বীকারোক্তিতে ডা. বশিরুলের নাম রয়েছে বলে সিআইডি জানিয়েছে। এছাড়া প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিমের গোপন ডাইরিতে নাম রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ডা. অনিমেষ কুমার কুন্ড (৩৩) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসার। ২০১৫ সালে ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্ন পড়িয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত জাকিয়া ফারইভা ইভানা (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। ডা. ইভানা ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৬০তম স্থান অর্জন করেছেন। মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যতম মূল হোতা ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমে প্রধানের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী (২৫) রংপুর মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির চান্স পেয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া আশরাফ (২৬) ও মৈত্রী সাহা (২৭), ২০১৫-২০১৬ সেশনের ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষাথী। এ দুজন অভিযুক্ত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির চান্স পেয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রয়েছে। তাদের হেফাজত থেকে ৮টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ১২ ডাক্তারসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার টিম। তাদের মধ্যে ১০ জন মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
অভিযুক্ত আসামিদের কাছ থেকে মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রের অন্য সদস্য ও মেডিকেল প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন কলেজে অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া যায়।
এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন ডায়েরি থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে।