alt

শিক্ষা

বাকি মাত্র ৩৬ দিন

সময়মতো নতুন পাঠ্যবই হাতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো এখন একটা রেওয়াজে দাঁড়িয়ে গেছে। আর এ জন্য প্রতিবছরই শেষবেলা তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট মহলের। নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে বাকি আর মাত্র ৩৬ দিন। আর এই সময়ের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শেষ করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন ছাপাখানার কর্মীরা।

জানা গেছে, এখনও প্রায় ১৫ কোটি বই ছাপানো বাকি বয়েছে। এতসংখ্যক বই ৩৬ দিনে ছাপানো নিয়ে শঙ্কিত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। যদিও এনসিটিবির তোড়জোড় চলছে সময়ের মধ্যে বই ছাপানো শেষ করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার।

একদিকে, চুক্তি অনুযায়ী ১ মাস ৬ দিনের মধ্যে বই তুলে দেয়া অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে পেপারমিল থেকে কাগজ আনতে নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন ছাপাখানার মালিকদের অনেকে। কাগজবোঝাই গাড়িতে অবরোধকারীরা আগুন দিলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।

ছাপাখানার মালিকদের এমন সমস্যার কথা শুনে সমস্যা নিরসনে পদক্ষেপ নিয়েছে এনসিটিবিও। ছাপাখানায় কাগজ নিরাপদে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম। এখন স্ব-স্ব এলাকার থানা পুলিশ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।

অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে পেপারমিল থেকে ছাপাখানায় কাগজ আনতে পারছেন না অনেকে। এটা নিয়েও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে আমরা চিঠি দিয়েছি। সেখান থেকে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যারা পেপারমিল থেকে কাগজ কিনবেন, মিল থেকে প্রেস পর্যন্ত কাগজবোঝাই ট্রাক পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাস্তায় নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

তবে মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, কাগজের সংকটও নেই। হরতাল-অবরোধে কাগজ আনা-নেয়াতে সমস্যাও নেই। এনসিটিবি অনিয়ম করে ছোট ছোট প্রেসকে বেশি কাজ দিয়েছে। সক্ষমতা নেই এমন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় তারা এখন অজুহাত দেখাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মুদ্রণশিল্প সমিতির সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, ‘কাগজের সংকট কাদের? যাদের কাজ করার সক্ষমতা নেই, তাদের। এনসিটিবি নোয়াখালীর এক অগ্রণী প্রেসকে ৯৮ লটের মধ্যে ৯৪ লটের কাজ দিয়ে রেখেছে। ওদের কাজ করার কোনো তো অভিজ্ঞতায় নেই। ওরা এখন যথাসময়ে বই দিতে পারছে না। এজন্য নানা অজুহাত দেখাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে কোন কাজটা বেঁধে আছে? বই ছাপার জন্য কাগজ আনবে, এটা তো জরুরি পণ্য। সেখানে আগুন দেবে কে? আমরাও তো কাগজ আনছি। এগুলো এনসিটিবি চেয়ারম্যানের মনগড়া কথা। তিনি নিজের ব্যর্থতা ও অনিয়ম ঢাকতে ছোটখাটো এবং কাজে অক্ষম প্রেসগুলোর মালিকদের কথাই সাংবাদিকদের জানাচ্ছেন। এটা উনাদের ব্যর্থতা।’

এদিকে আশঙ্কা প্রকাশ করে ‘আর প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং’য়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাগজ সংকট নয়, সংকটটা এনসিটিবির। তারা চালাকি বেশি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। এখন শেষবেলায় লাফালাফি করছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে বই ছাপা কেউ শেষ করতে পারবে না। জানুয়ারির ১ তারিখে শতভাগ বই শিক্ষার্থীদের দেয়া সম্ভব হবে না।’

এনসিটিবি চিঠি দিয়ে মিডিয়ায় কোনো তথ্য দিতে নিষেধ করেছে জানিয়ে কাগজ সংকটে পড়া নোয়াখালীর অগ্রণী প্রেসের স্বত্বাধিকারী কাওছারুজ্জামান রুবেল বলেন, ‘আমাদের সংকট আছে কি, নেই; সেটা আমরা এনসিটিবিকে জানাবো। কিন্তু আপনাদের (গণমাধ্যম) জানাতে পারবো না।’

সংকট কাটিয়ে বই যথাসময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো হবে দাবি করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রাথমিকের বেশিরভাগ বই আমরা উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। ষষ্ঠ ও সপ্তমের বই তো চলেই গেছে বেশিরভাগ। ষষ্ঠ ও সপ্তমের দুই বিষয়ের বই আটকে আছে। অষ্টম ও নবম নিয়ে সমস্যা।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ ছাড় না হওয়ায় প্রেসগুলোকে বিল দিতে পারছি না। টাকা পেলে বিল দিতে পারলে সব সমস্যা কেটে যাবে। ওরা (প্রেস মালিক) যে কথাটা বলছে, তা হলো টাকা ও কাগজ পেলে তাদের জন্য বই ছাপিয়ে দেয়া কোনো সমস্যাই না। তাছাড়া অর্থছাড়ের পর যদি সময় হাতে কম থাকে, তাহলে ফাঁকা প্রেসগুলোতে কাজ ভাগাভাগি করে দেয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই বই ছাপিয়ে পৌঁছে দেয়া হবে।’

ছবি

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা ১১ আগস্টের পরে

ছবি

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা ১১ আগস্টের পরে

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা

ছবি

ডিজিটালাইজিং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বিষয়ে আইসিসি’র কর্মশালা

ছবি

গোপালগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

শেষ ধাপেও কলেজ পায়নি ১২ হাজার শিক্ষার্থী, আবার থাকবে আবেদনের সুযোগ

ছবি

বেসিসে সেন্ট্রাল লজিস্টিকস ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম (সিএলটিপি) বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কর্মশালা

ছবি

পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম নেই

ছবি

নবম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে জবি শিক্ষকরা

ছবি

এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনে এইউএসটি’র শিক্ষার্থীরা

ছবি

গোপালগঞ্জে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং ভাষার উপর ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন করলেন ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার

ছবি

‘স্মার্ট শিক্ষা ও স্মার্ট গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তুলতে হবে’

ছবি

প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে শুদ্ধাচার চর্চার আঁতুড়ঘর : প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ছবি

নারী, প্রতিবন্ধী ও নৃগোষ্ঠীর জন্য কোটা চায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট

ছবি

সপ্তাহ পেরোলো জবি শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি 

ছবি

কুমিল্লায় বৃত্তি প্রদান ও পুরস্কার বিতরণ, প্রাথমিকে সেরা সাহস স্কুল

ছবি

বারি ও ডিআইইউ এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

ছবি

মোবাইল ও ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে বাংলাদেশে অষ্ট্রেলিয়ার ২২ শিক্ষার্থী

প্রত্যয় স্কিম নিয়ে পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখা শুভঙ্করের ফাঁকি : জবি শিক্ষক সমিতি

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্বর্ণপদক পেলেন

ছবি

শাহরাস্তিতে মোবাইল ফোনে নকল করার দায়ে শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষার দিনে বৃষ্টি হলে সময় বাড়ানোর নির্দেশ

ছবি

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

ছবি

জামালপুরে একটি সংস্থার কার্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান

এইচ এসসি পরীক্ষা শুরু আগামীকাল

ছবি

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে এবার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে জবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ছবি

ঢাবিতে দুদিনব্যাপী সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত

ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজারমুখী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে -শিক্ষামন্ত্রী

ছবি

পেনশন নয়, এটা তো ইন্স্যুরেন্স!

ছবি

গবেষণায় বাজেট বরাদ্দে বৈষম্যের শিকার জবি

ছবি

২০ কোটি টাকা ঢাবির বাজেট গবেষণায় বরাদ্দ

ছবি

বৃষ্টি উপেক্ষা করে জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

যবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৯ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

ছবি

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে জবি শিক্ষককদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

প্রথম ধাপে কলেজ পায়নি ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী

tab

শিক্ষা

বাকি মাত্র ৩৬ দিন

সময়মতো নতুন পাঠ্যবই হাতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো এখন একটা রেওয়াজে দাঁড়িয়ে গেছে। আর এ জন্য প্রতিবছরই শেষবেলা তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট মহলের। নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে বাকি আর মাত্র ৩৬ দিন। আর এই সময়ের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শেষ করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন ছাপাখানার কর্মীরা।

জানা গেছে, এখনও প্রায় ১৫ কোটি বই ছাপানো বাকি বয়েছে। এতসংখ্যক বই ৩৬ দিনে ছাপানো নিয়ে শঙ্কিত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। যদিও এনসিটিবির তোড়জোড় চলছে সময়ের মধ্যে বই ছাপানো শেষ করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার।

একদিকে, চুক্তি অনুযায়ী ১ মাস ৬ দিনের মধ্যে বই তুলে দেয়া অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে পেপারমিল থেকে কাগজ আনতে নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন ছাপাখানার মালিকদের অনেকে। কাগজবোঝাই গাড়িতে অবরোধকারীরা আগুন দিলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।

ছাপাখানার মালিকদের এমন সমস্যার কথা শুনে সমস্যা নিরসনে পদক্ষেপ নিয়েছে এনসিটিবিও। ছাপাখানায় কাগজ নিরাপদে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম। এখন স্ব-স্ব এলাকার থানা পুলিশ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।

অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে পেপারমিল থেকে ছাপাখানায় কাগজ আনতে পারছেন না অনেকে। এটা নিয়েও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে আমরা চিঠি দিয়েছি। সেখান থেকে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যারা পেপারমিল থেকে কাগজ কিনবেন, মিল থেকে প্রেস পর্যন্ত কাগজবোঝাই ট্রাক পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাস্তায় নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

তবে মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, কাগজের সংকটও নেই। হরতাল-অবরোধে কাগজ আনা-নেয়াতে সমস্যাও নেই। এনসিটিবি অনিয়ম করে ছোট ছোট প্রেসকে বেশি কাজ দিয়েছে। সক্ষমতা নেই এমন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় তারা এখন অজুহাত দেখাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মুদ্রণশিল্প সমিতির সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, ‘কাগজের সংকট কাদের? যাদের কাজ করার সক্ষমতা নেই, তাদের। এনসিটিবি নোয়াখালীর এক অগ্রণী প্রেসকে ৯৮ লটের মধ্যে ৯৪ লটের কাজ দিয়ে রেখেছে। ওদের কাজ করার কোনো তো অভিজ্ঞতায় নেই। ওরা এখন যথাসময়ে বই দিতে পারছে না। এজন্য নানা অজুহাত দেখাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে কোন কাজটা বেঁধে আছে? বই ছাপার জন্য কাগজ আনবে, এটা তো জরুরি পণ্য। সেখানে আগুন দেবে কে? আমরাও তো কাগজ আনছি। এগুলো এনসিটিবি চেয়ারম্যানের মনগড়া কথা। তিনি নিজের ব্যর্থতা ও অনিয়ম ঢাকতে ছোটখাটো এবং কাজে অক্ষম প্রেসগুলোর মালিকদের কথাই সাংবাদিকদের জানাচ্ছেন। এটা উনাদের ব্যর্থতা।’

এদিকে আশঙ্কা প্রকাশ করে ‘আর প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং’য়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাগজ সংকট নয়, সংকটটা এনসিটিবির। তারা চালাকি বেশি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। এখন শেষবেলায় লাফালাফি করছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে বই ছাপা কেউ শেষ করতে পারবে না। জানুয়ারির ১ তারিখে শতভাগ বই শিক্ষার্থীদের দেয়া সম্ভব হবে না।’

এনসিটিবি চিঠি দিয়ে মিডিয়ায় কোনো তথ্য দিতে নিষেধ করেছে জানিয়ে কাগজ সংকটে পড়া নোয়াখালীর অগ্রণী প্রেসের স্বত্বাধিকারী কাওছারুজ্জামান রুবেল বলেন, ‘আমাদের সংকট আছে কি, নেই; সেটা আমরা এনসিটিবিকে জানাবো। কিন্তু আপনাদের (গণমাধ্যম) জানাতে পারবো না।’

সংকট কাটিয়ে বই যথাসময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো হবে দাবি করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রাথমিকের বেশিরভাগ বই আমরা উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। ষষ্ঠ ও সপ্তমের বই তো চলেই গেছে বেশিরভাগ। ষষ্ঠ ও সপ্তমের দুই বিষয়ের বই আটকে আছে। অষ্টম ও নবম নিয়ে সমস্যা।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ ছাড় না হওয়ায় প্রেসগুলোকে বিল দিতে পারছি না। টাকা পেলে বিল দিতে পারলে সব সমস্যা কেটে যাবে। ওরা (প্রেস মালিক) যে কথাটা বলছে, তা হলো টাকা ও কাগজ পেলে তাদের জন্য বই ছাপিয়ে দেয়া কোনো সমস্যাই না। তাছাড়া অর্থছাড়ের পর যদি সময় হাতে কম থাকে, তাহলে ফাঁকা প্রেসগুলোতে কাজ ভাগাভাগি করে দেয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই বই ছাপিয়ে পৌঁছে দেয়া হবে।’

back to top