যৌন নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রƒত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে অনেক সময় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। এ কারণে এটি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ইউজিসি চেয়ারম্যান গতকাল ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত কমিশনের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক সুলতান মাহমুদ ভূইয়া স্বাগত বক্তব্য দেন। ইউজিসির উপসচিব মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় ইউজিসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট দেখা দিলে তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউজিসি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকে জানিয়ে ড. আলমগীর বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, ইউজিসি এককভাবে সকল সংকটের সমাধান দিতে পারে না। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, নিপীড়ন ও অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট সমাধানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্ষমতার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না করা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা, অছাত্রদের হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা, প্রকৃত ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, বাইরের প্রভাব জোরালোভাবে মোকাবেলা করা, গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, মাস্টার প্ল্যান অনুসারে একাডেমিক ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিনি পরামর্শ দেন।
বিশ^্িদ্যালয়ে ‘যোগ্য’ ব্যক্তিদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আহবান জানিয়ে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট সমাধানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্ষমতার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না করা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা, অছাত্রদের হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা, প্রকৃত ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, বাইরের প্রভাব জোরালোভাবে মোকাবেলা করা, গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, মাস্টার প্ল্যান অনুসারে একাডেমিক ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিনি পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘কিন্তু, উচ্চশিক্ষায় কাক্ষিত অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা পিছিয়ে আছি। এখনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিকতার ঘাটতি রয়েছে। তিনি জানান, বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে যেটি অপ্রত্যাশিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক।
মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
যৌন নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রƒত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে অনেক সময় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। এ কারণে এটি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ইউজিসি চেয়ারম্যান গতকাল ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত কমিশনের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক সুলতান মাহমুদ ভূইয়া স্বাগত বক্তব্য দেন। ইউজিসির উপসচিব মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় ইউজিসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট দেখা দিলে তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউজিসি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকে জানিয়ে ড. আলমগীর বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, ইউজিসি এককভাবে সকল সংকটের সমাধান দিতে পারে না। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, নিপীড়ন ও অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট সমাধানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্ষমতার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না করা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা, অছাত্রদের হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা, প্রকৃত ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, বাইরের প্রভাব জোরালোভাবে মোকাবেলা করা, গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, মাস্টার প্ল্যান অনুসারে একাডেমিক ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিনি পরামর্শ দেন।
বিশ^্িদ্যালয়ে ‘যোগ্য’ ব্যক্তিদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আহবান জানিয়ে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট সমাধানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্ষমতার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না করা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা, অছাত্রদের হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা, প্রকৃত ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, বাইরের প্রভাব জোরালোভাবে মোকাবেলা করা, গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, মাস্টার প্ল্যান অনুসারে একাডেমিক ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিনি পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘কিন্তু, উচ্চশিক্ষায় কাক্ষিত অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা পিছিয়ে আছি। এখনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিকতার ঘাটতি রয়েছে। তিনি জানান, বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে যেটি অপ্রত্যাশিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক।